বই এর চরিত্রে

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

পৃথিবীর সবচেয়ে পছন্দের কাজ যদি আমাকে কয়েকটা বলা হয়। তাহলে তার মধ্যে হুট করে কোনো চিন্তা ভাবনা ছাড়াই যেটা আমার মাথায় আসবে, সেটা হচ্ছে বই পড়া। অর্থাৎ গল্পের বই অবশ্যই। কারণ একাডেমিক বই পত্র পড়া সত্যিই অনেকটা একঘেয়েমীর একটা কাজ। অর্থাৎ ওই বইগুলো নিয়ে অনেক চিন্তা করতে হয়, অনেক মাথা খাঁটাতে হয়। বিশেষ করে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। সে কারণে একাডেমিক বইগুলোর চেয়ে গল্পের বই আমাকে অনেক বেশি আনন্দ দেয়। আর এজন্যেই বললাম যে গল্পের বই পড়া।

তবে আজকে কথা বলতে এসেছি একটি ভিন্ন ব্যাপার নিয়ে। হঠাৎ আমি মাঝে মধ্যে বইয়ের চরিত্রে নিজেকে যেনো খুঁজে পাই। অর্থাৎ বেশিরভাগ সময়ই আমার সাথে এটা কেনো হয়, আমি জানিনা। হয়তো আমার বই বাছাই করাটা একেবারেই আমার নিজের মতো করে করি, সে কারণে। অর্থাৎ একটা ব্যাপার খেয়াল করবেন যে। যেই মানুষটা যেমন, সে সব সময় তার চারপাশে ওই ধরনের মানুষকে বেশি পছন্দ করবে। অর্থাৎ সে চাইবে যেনো তার ধরনের মানুষই তার আশেপাশে থাকুক। ঠিক তেমনটাই, তাই আমি নিজের বইগুলোর সাথে সবসময় কেনো জানি অনেক বেশি রিলেট করতে পারি।

শুধু তাই নয়, বেশিরভাগ সময় বইগুলো পড়ার সময় বই এর চরিত্রে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। আর আমার অনেক বেশি পছন্দের একটি কাজ হলো, ওই বইয়ের চরিত্রগুলোতে নিজেকে কল্পনা করা এটা আমার বিশেষ পছন্দের কাজ বলা যায়। অর্থাৎ আকাশ, বাতাস সব কিছুর সাথে নিজেকে মেলাতে তখন প্রচন্ড ভালো লাগে। বইয়ের কল্পনার চরিত্রগুলো যদি বাস্তবিকভাবে ঘটতো এবং বাস্তবে যদি তাতে আমি থাকতাম। তখন কেমন হতো! এসব ভাবতে ভাবতেই যেনো আমি অন্য এক দেশে হারিয়ে যাই। অর্থাৎ ভাবতে ভাবতেই যেনো আমার ওই বইয়ের দেশটাকেই আমার নিজের দেশ, আমার নিজের অবস্থান, আমার নিজের স্বপ্ন বলে মনে হয়।

হয়তো কথাগুলো অনেকটা কাব্যিক কিংবা কল্পনীয়। কিন্তু আপনারা নিজেরাও একটু ট্রাই করে দেখবেন যে, গল্পগুলোর চরিত্রে যখন আপনি নিজেকে কল্পনা করবেন। ওই পরিবেশ, ওই পরিস্থিতিতে গুলো যখন আপনারা নিজেদের বিবেচনা করবেন। তখন সত্যিই অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করবে। কারণ বই আমি মনে করি কখনোই খারাপ হতে পারে না। আর ভালো কিছুতে যখন আপনি সবসময় নিজেকে চিন্তা করবেন। তখন সেটা অবশ্যই আপনাকে আলাদা শান্তি প্রশান্তি দেবে।