লিংক
আসলে আপনারা সবাই বুঝতে পারছেন যে রিমাল নামক ঝড়টি আমাদের দেশে আঘাত করবে কিছুক্ষণ পরে। আসলে আজকে আমি এই ঝড় সম্পর্কে কিছু সতর্ক বাণী আপনাদের মধ্যে প্রকাশ করতে যাচ্ছি। আসলে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে প্রতিবছর কোনো না কোনো একটা বড় ঝড় এসে আমাদের দেশে আঘাত হানছে এবং এর ফলে প্রচুর সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। আসলে সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হলেও সেইসব সম্পত্তিকে আবার পুনরায় অর্জন করা যায়। এইসব ঝড়ের ফলে যেসব মানুষ মারা যাচ্ছে অর্থাৎ যেসব প্রাণ যাচ্ছে সেই প্রাণকে কখনো আর ফিরিয়ে আনা যায় না। আসলে আমরা যদি এইসব ঝড়ের পূর্ব সতর্কতা বাণী শুনে যদি নিজেরা সবাই মিলে সচেতন হই এবং ঝড়ের সময় যেসব কাজকর্ম করা প্রয়োজন সেসব কাজকর্ম যদি করি তাহলে কিন্তু আমরা এসব ঝড়ের হাত থেকে একটু হলেও রক্ষা পেতে পারবো। অর্থাৎ যেসব সতর্কতা বাণী রয়েছে সেসব সতর্কতা বাণী যদি আমরা ঠিকঠাক পালন করি তাহলে কিন্তু এতে করে আমাদেরই ভালো হবে।
আমার মনে হয় এইসব ঝড় প্রতিবছর হচ্ছে। এসব ঝড়ের জন্য কিন্তু আমরা নিজেরাই দায়ী। কেননা আমরা যে হারে গাছ কাটছি এর ফলে কিন্তু পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। আসলে পরিবেশ দূষিত হলে বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে প্রতিবছর। আমার মনে হয় গাছ কাটার ফলে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয় পরিবেশের। আর গাছ হল এমন এক বন্ধু যে বন্ধু সবসময় নিঃস্বার্থের মত আমাদের জন্য করে যায়। একটা জিনিস কি আপনি কখনো খেয়াল করে দেখেছেন যে এইসব ঝড় যখন কোন উপকূলে আঘাত হানে সর্বপ্রথম কিন্তু ওই উপকূলের গাছপালা এই ঝড়ের গতিবেগকে অনেকটা বেশি কমিয়ে দেয়। অর্থাৎ উপকূলে যেসব বনাঞ্চল রয়েছে সেসব বনাঞ্চলের উপর দিয়ে যখন ঝড় প্রবাহিত হয় তখন এসব গাছপালায় ঝড়ের গতি বেগ অনেকটা কমে যায়। আর এর ফলে আমরা একটু হলেও কম অনুভব করতে পারি এই ঝড়ের প্রভাব। আসলে দিন দিন মানুষের সব বনাঞ্চল ধ্বংস করে ফেলছে।
আসলে এইসব ঝড় যেহেতু প্রতিবছর হচ্ছে তাই মানুষ আগে থেকে বিভিন্ন ধরনের সর্তকতা বাণী জানে। কিন্তু এসব সতর্কতা বাণী জানার সত্ত্বেও মানুষ এগুলোকে উপেক্ষা করে নিজের খেয়াল খুশির মতো চলাফেরা করে। আসলে ঝড় আসার পূর্বে আমরা সব সময় একটা নিরাপদ স্থানে গিয়ে আশ্রয় নেব। আসলে সরকার যেসব ঝড় প্রবণ এলাকা রয়েছে সেই সব ঝড় প্রবণ এলাকাতে বিভিন্ন ধরনের আশ্রয় কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। যাতে করে মানুষ এই ঝড় বন্যার সময় সেইসব আশ্রয়স্থানে গিয়ে নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারে। আসলে অনেকেই রয়েছে যে যাদের বাড়িঘর খুবই নিম্নমানের অর্থাৎ নড়বড়ে টাইপের। আর এই সামান্য হওয়াতে সেই সব ঘর গুলো ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাহলে এই যে বড় ঝড় হবে তাহলে সেসব ঘরের কি অবস্থা হবে আপনার একবার ভেবে দেখুন। আসলে এইসব লোকেদের জন্যই কিন্তু এইসব নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।
আসলে মানুষ যেহেতু ঝড়ের সর্তকতা বাণী জানে তাই এই ঝড় আসার পূর্বে মানুষকে অবশ্যই আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়া উচিত। আসলে এজন্য সরকারও ঝড় আসার পূর্বে আমাদের সতর্ক করে দেয়। যাতে করে আমরা ঝড়ের সময় ঝড়ের মোকাবেলা করতে পারি সকলে মিলে। আর এজন্য আমাদের সবার উচিত এইসব ঝড়ের সতর্কতা বাণী মেনে চলা এবং ঝড়ের ফলে যেসব ক্ষয়ক্ষতি হয় সেই সব ক্ষয়ক্ষতিকে সবাই মিলে একসাথে পুনরায় ঠিক করা। আসলে প্রতিবছর তো দুর্যোগ আসবে তাই বলে কিন্তু আমরা ভেঙ্গে পড়লে চলবে না। আমরা সবাই মিলে এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবেলা করব। আসলে দু একজনের পক্ষে এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবেলা করা কখনোই সম্ভব হয় না। আর এজন্য সরকারের পাশাপাশি আমাদের সবাইকে এইসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলা করতে হবে এবং এইসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরে বিভিন্ন ত্রাণের ব্যবস্থা করতে হবে।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।