অতি চালাকের গলায় দড়ি

rahnumanurdisha -
❤️আসসালামুআলাইকুম/আদাব❤️

আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।

ছবির উৎস

আজকের দিনটি শুরু হতে হতে অনেকটা লেইট হয়ে গেল আমার।প্রতিদিন চেষ্টা করি একটু সকাল করে ঘুম থেকে ওঠার।যদিও একই টাইমে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল অলসতার জন্য উঠতে ইচ্ছে করছিল না।শীত না পড়তেই অলসতা শুরু হয়ে গিয়েছে আমার।সামনে ডিসেম্বর মাস প্রচুর শীত পড়বে সেই সাথে আবার রয়েছে পরীক্ষা আমাদের।কি যে হবে সেটাই ভাবছি খুব সকালে কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে প্রকৃতি।আর এই বিষয়টা রিস্ক অনেকটা গাড়িতে ওঠার ক্ষেত্রে।যাইহোক চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করি আমার আজকের জেনারেল রাইটিং পোস্ট।

আজ আপনাদের সাথে তথাকথিত একটি প্রবাদ এবং সেই বিষয় নিয়ে আমার অভিমত লিখতে চলেছি।আপনারা সবাই নিশ্চয়ই জেনেছেন যে অতি চালকের গলায় দড়ি।এই প্রবাদ টি আমারও বেশ পরিচিত।তবে এই প্রবাদ টি যিনি করে গিয়েছেন তিনি নিঃসন্দেহে একজন মেধাবী ব্যক্তি ছিলেন।

আমরা আমাদের জীবনে চলার পথে অনেক মানুষের দেখা পাই।যাদের মধ্যে কেউ বোকা,কেউ চালাক,কেউ সহজ - সরল আবার কেউ বা ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের।এখন আমার এইটুকুনি জীবনে আমি যত চালাক মানুষ দেখেছি।তারা জীবনের গুরুত্বপুর্ণ পয়েন্ট গুলোতে বড় রকমের ধোঁকা খেয়েছে।আর তাদের পরিণতি হিসেবে সারা জীবনটা খুব কষ্টে কেটেছে।আর যেখানে তারা ধরা খায় সেখান থেকে মূলত আর বের হওয়ার কোনো রাস্তা থাকেনা।চালাক মানুষ যারা তারা সাধারণত নিজেদেরকে চালাক ভাবে ।আর অন্যদিকের মানুষকে স্বভাবত দিক দিয়ে বোকা মনে করে।তাদের নিজের মতো করে অন্যের মনকে পরিচালিত করতে পছন্দ করেন এই চালাক ব্যক্তিরা।এটা তাদের একটি বৈশিষ্ট্য।

চালাক ব্যক্তিরা সাধারণত শান্ত প্রকৃতির হয়ে থাকে আর খুব ঠাণ্ডা মস্তিষ্কের মানুষ হয় তারা।ব্যবসায়িক বা পারিবারিক গুরুত্বপুর্ণ কাজগুলোতে এই ধরনের মানুষ জিততে জিততে এমনভাবে ঠকে যায় সেখান থেকে আর বেরিয়ে যেতে পারেনা।অন্যদিকে বোকা মানুষ যারা তারা জীবনে কোনো রিস্ক নেয় না।অনেকটা সৃষ্টিকর্তা ভীরু হওয়ায় তাদের জীবনটা খুব একটা খারাপ পরিস্থিতিতে পড়েনা। কারণ তারা নিজেদের দিকে সৎ থাকে মাইন্ড গেইম খেলতে যায়না কখনোই।আর অতঃপর গিয়ে দেখা যায় জীবন যুদ্ধে তারা খুব একটা সফল না হলেও কোথাও একটা গিয়ে যেন জিতেই যায়।জীবনের পরিস্থিতি সবগুলোই আপেক্ষিক থাকে তাদের কাছে।কিছু ভালো সময়,কিছু খারাপ সময় মিলেই জীবন হয়ে থাকে ।এটাই চিরন্তন সত্য।

আমরা যেকোনো মার্ডার বা কিডন্যাপ কেস গুলোতে দেখতে পাই। খুনীরা কোনো না কোনো প্রমাণ ঠিক রেখে যায়।অথচ এই ব্যক্তি গুলো কিন্তু চতুরতার সাথেই অন্যায় কাজ গুলো করে থাকে।আমার বেশ ক্রাইম এলার্ট ,আদালত,সিআইডি , ক্রাইম পেট্রোল দেখা হয়।তাই দেখি খুব জটিল কেস গুলোতেও কোনো না কোনো প্রুফ অন্যায়কারী রেখেই দেয়।এই যেমন হাতের ছাপ যাতে না পড়ে তার জন্য তারা কত ধরনের ব্যবস্থা নেয় এরপরেও দেখা যায় একটা না একটা ক্লু রেখেই গিয়েছে।এগুলো টিভিতে দেখা যায় তবে বাস্তব কেসগুলোর উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয় এগুলো।

জীবনযুদ্ধে আমার মতে চালাক হওয়াটা জরুরি কিন্তু অতিরিক্ত ধূর্ত হওয়া নয়।ধূর্ত ব্যক্তিরা তাদের জীবনকে দাবার গুটি মনে করে চালায় ।দাবার গুটি কোনোভাবে ভুল পড়লে যেমনি গো হারা হারতে হয় তাদেরও একপর্যায় গিয়ে সেটি হয়।

ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।


❤️আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি❤️
আমি রাহনুমানূর দিশা।আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী।আমি বর্তমান অনার্স চতুর্থ বর্ষে পড়াশুনা করছি।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সাথে দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় থেকে যুক্ত রয়েছি।বাংলা ভাষায় লিখতে, পড়তে এবং নতুন নতুন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে আমার ভালো লাগে।এছাড়াও ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতে অনেক ভালো লাগে।অবসর সময়ে গান শুনতে এবং বাংলা নাটক দেখতে পছন্দ করি।

Post by-@rahnumanurdisha
Date -20th November,2024


VOTE @bangla.witness as witness



OR

VOTE @bangla.witness as witness



Posted using SteemPro Mobile