১০সেপ্টম্বর ২০২৪খ্রিস্টাব্দ ।
|
---|
প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আমি আজকে একটি লাইফস্টাইল পোস্ট করবো।লাইফস্টাইল বলতে আমার মেয়েকে নিয়ে আরকি।আপনারা হয়তো জানেন আমার একটা পরী আছে।ওকে আজকে টিকা দিতে নিয়েছিলাম।সাধারণ আমি যেতে চাই না টিকা দিতে আমার বাচ্চাদের কান্না দেখলে বেশ কষ্ট লাগে,তাছাড়া সুই দেওয়া দেখলেও খারাপ লাগে।আমার ছেলের বেলা একবারও যায়নি তবে মেয়ের বেলা অনিচ্ছা থাকা স্বত্তেও যাওয়া লেগেছে।
ও আমার কোল ছাড়া কারো কাছে থাকে না।যাই হোক আমার মেয়ে টিকার ডেট ছিলো জুলাই মাসের ১২ তারিখে।আমি সেটা ভুলে গিয়েছিলাম।পরে যখন পাঁচ সাতদিন পরে মনে পরলো তখন দেখি ওর জ্বর উঠেছে। জ্বর উঠলে আবার টিকা দেওয়া যায় না।তারপর আবার ডিলে হলো।তারপর যখন কিছুটা সুস্থ হলো তখন আবার দেশের বিভিন্ন সমস্যার কারনে দিতে পারলাম না। আসলে দেশের তখনকার পরিস্থিতে বাচ্চা নিয়ে বের হওয়া বেশ মুশকিল ছিলো।
আর টিকা দেওয়ার স্থান আমাদের বাসা থেকে একটু দূরে।যদি সরকারিটা কাছাকাছিই থাকে কিন্তু সেটা আবার সবসময়ই থাকে না। তারা তাদের সময় অনুযায়ী ডেট দেয় তাই আমি আবার বাবুকেই বেসরকারিটাই দেই কারন যখন খুশি তখন দেওয়া যায়।অনেক সময় জ্বর কিংবা অসুস্থ থাকে তখন যদি সরকারি টা আসে তখন দেওয়া যায় না।
তারা তো আর আমাদের সুবিধা মত আসে না।যাই হোক তারপর যখন টিকা দিবো ভাবছি সেই দিন থেকে প্রচুর জ্বর। পরে দেখি তার ডেঙ্গু পজিটিভ হলো।পুরো গায়ে ছোট ছোট রেশ এ ভরে গেলো আর প্রচুর জ্বর ছিলো।প্রায় একসপ্তাহ ছিলো এমন,ও ভালো হলো একটু আবার আমার ছেলেটারোও ডেঙ্গু হলো এই নিয়েই দিন যাচ্ছিলো।
ছেলেটা সুস্থ হলো, এখন ভাবলাম আর দেরি না করে দিয়ে দেওয়া উচিত।কারন প্রায় দুইমাসের কাছাকাছি হয়ে গিছেয়ে। পরে পরের টিকাটা দিতে আরো দেরি হয়ে যাবে।সবগুলো টিকা সব বাচ্চার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ, যদিও কষ্ট হয়।একেবারে প্রথম দের মাসের চারটা টিকা বেশ কষ্ট কর।দুই পায়ে দুই হাতে দেওয়া হয়, যার জন্য বেশ ব্যাথা হয় এবং অনেক জ্বর উঠে।আর তো জ্বালানো অনেক।আমার মেয়ে প্রথম টিকা দেওয়ার সময় আমি যাইনি।
সে নাকি অনেক কান্না করছিলো তারপর আবার বাসায় এসে কান্না থামছিলো না।পুরো একদিন এবং একরাত বেশ জ্বালিয়েছিলো।এরপর থেকে টিকার পরিমান কমেছে ঠিক কিন্তু জ্বালানোর পরিমান কমেনি।তবে আজকে দিতে যখন নিয়েছিলাম সে কোন ভাবেই কোলে বসবে না বেশ কান্না করছিলো পরে হঠাৎ করে দিয়ে দেয় বেশ কান্না করে।এখন আগের নড়াচড়া বেশি করে তাই দিতে সময় লাগবে মনে করেছিলাম পরে দেখি তার হঠাৎ করেই দিয়ে ফেলেছে যদিও কান্না করেছে।
তারপর বাসায় নিয়ে আসতে আসতে কান্না থেমে গেলো। এরপর আবার বাসায় এসে ঘুমিয়ে গিয়েছে, এরমধ্যে বিদ্যুৎ চলে গিয়েছে। যাই হোক আজকে সারাদিন একটু আকটু কান্না করেছে এরপর পরবর্তী টিকার ডেট পঁচিশ সালের ফেব্রুয়ারী র ১২ তারিখে।এই ছিলো আমার পরীর টিকার গল্প।
আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
device | samsung SM-A217F |
---|---|
Location | Dhaka |
আমি রাহিমা খাতুন নেভি। আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর B.S .C করেছি। আমার ভালো লাগে নতুন নতুন জিনিস দেখতে এবং শিখতে।আমার বাংলা ব্লগের সাথে সকল নিয়ম কানুন মেনে থাকতে চাই।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |