"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে নাটক রিভিউ:-পাগলপুর আমি প্রতি সপ্তাহে আপনাদের মাঝে একটি করে নাটক রিভিউ শেয়ার করি।তো তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য আজকেও একটি সুন্দর নাটক নিয়ে উপস্থিত হলাম। বাংলা রোমান্টিক নাটক গুলো কিন্তু দেখতে বেশ ভালোই লাগে। আবার কিছু কিছু নাটক রয়েছে যেগুলো ফ্যানের মতো।তার পরেও সেই নাটক গুলো দেখে বিনোদন নেওয়া যায়। যাইহোক দেরি না করে শুরু করা যাক।
নাটকের নাম | পাগলপুর |
---|---|
অভিনয় | আরশ খান,তাসনুভা আক্তার তিশা, আরো অনেকে |
পরিচালক | আদিফ হাসান |
মুক্তির তারিখ | ২৫ শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
দৈর্ঘ | ৫৫.৫৭ |
নাটকের শুরুতেই তার একটি মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়।কিন্তু সেই মেয়েটি এই নাটকের নায়িকা না,এটা হচ্ছে নায়িকার বোন।যাই হোক সর্ব শেষে তারা একটি বিয়ের ডেট ঠিক করেন।এবং সেই সাথে তাদের এনগেজমেন্ট টি হয়ে যায়।তো তাদের বিয়ে ঠিক হতে আরশ কিন্তু এই বিয়েতে ওমত জানায়।কারণ সে যাচ্ছে আরো কিছুদিন পর বিয়ে করবো।কিন্তু তার বাবা-মা না বুঝে তাদের বিয়েটা ঠিক করেন। যাইহোক বিয়ে দুইজনের ঠিক হওয়ার পরে তার বাইরে এসে অনেক ধরনের গল্প করলো।সেই সাথে তাদের দুইজনের জীবন কাহিনী উপস্থাপন করলো।
এর পরে আরশের যার সাথে বিয়ে ঠিক হয় তার বড় বোন নাকি বিয়েতে আসতে পারবে না।এখন এই কথাটি শোনার পর তার বোনটি অনেক রাগান্বিত হলো।তো তার পরে আরশের মা এগুলো শোনার পর তাকে বললো যে তুই গিয়ে ওই মেয়ে কে নিয়ে আয়।কিন্তু আরশ তো সেই মেয়েকে চেনে না,তো তার বোন তাকে একটি ছবি দিলো এবং তার ফোন নাম্বারটি দিলো।এখন আরশ গাড়ি নিয়ে সেই জায়গা মতো রওনা দিলো।তো এখানে নায়িকা কিন্তু অনেক মদ পান করতো এবং হাবিজাবি খাওয়া দাওয়া করতো।মানে বলতে গেলে সব সময় মাথাল অবস্থায় থাকে।যাইহোক তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর দেখা হয়।এবং এই দেখা হওয়ার পরে যখন তাকে গ্রামে নিয়ে আসা হয়।তখন গ্রামের কিছু লোক তাদেরকে দেখতে পায়। এবং সেই বিষয়টা গ্রামের মানুষজন অন্য ভেবে নেই।গ্রামের লোক তাদেরকে আটকে রাখে।এবং কয়েকটি ছেলে এসে তাদের উদ্ধার করে।এবং এই কাহিনী গুলো হওয়ার পরে নায়িকার বড় বোন তার কাছে মাফ চায়।
তো এখানে একটা মজার বিষয় হচ্ছে যে, নায়িকা আরশকে মনে মনে ভালোবাসতো যেটা আরশ বুঝতে পারর নাই। কারণ এখানে আসার পরে আরশ কিন্তু তার সঙ্গে ২৪ ঘন্টায় মেলামেশা করছে। যার কারণে নায়িকা তার উপর ফিদা হয়।তো যখন আরশ তার বোনের সাথে কথা বলে এই দিকে সে অনেক রেগে থাকে।বুঝতেই তো পারছেন এইরকম বিষয় গুলো অন্যজনকে কেমন লাগে।সে তাকে ভালোবাসে কিন্তু কখনো কোন সময় বলতে পারে নাই।যাইহোক এইভাবে কিন্তু অনেক দিন চলে গেলো তাদের।
তো বিয়ের ঠিক একদিন আগে নায়িকা ওয়াশরুমে তার বোনের সঙ্গে কথা বলে।এবং কি বিষয় নিয়ে কথা বলা হয়েছে সব গুলো বিষয় আরশ জানতে পারে। তো বিয়ের দিন যার সঙ্গে বিয়ে হবে সে হঠাৎ করে বলে যে আমি ওয়াশরুমে যাবো।এখন সে ওয়াশরুমে গিয়ে হারিয়ে গেছে মানে আর আসেনি।এখন তো সবাই অবাক হয়ে গেলো বিয়েটা কিভাবে হবে না হবে এতো আয়োজন।পরে জানা যায় যে ওই মেয়েটির নাকি অন্য একটা রিলেশন ছিলো তার সঙ্গে পালিয়ে গেছে। তো যখন তারা অনেক টেনশনে পড়লো তখন আরশ বললো যে আমি বিয়ে করবো।কিন্তু বিয়েটা হবে তার বোনের সঙ্গে,এই কথাটি শোনার পর সবাই অবাক হয়ে গেলো।তো যখন সব বিষয় গুলো খুলে বললো তারা সবাই এই বিয়েটা মেনে নিলো।তার পর দুইজনের বিয়ে টা হয়ে যায়।
নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।তবে আমি বুঝতে পারি নাই শেষের দিকে এই কাহিনী হবে।কারণ শুরু থেকে যেভাবে তার সঙ্গে ওঠাবসা করলো এবং কথা বার্তা বললো যেটা একেবারে এই শেষের কাহিনির মতো না।যাই হোক নায়িকা তাকে মনে মনে ভালোবাস ছিলো সেটা তার সফল হয়েছে। আসলে এই নাটকটা খুবই সুন্দর লাগছে আমার।বলতে গেলে পুরোই রোমান্টিক নাটক।আশা করছি আপনাদের কাছে নাটক টি ভালো লাগবে।তাহলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস | Tecno camon 20 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @polash123 |
লোকেশন | দিনাজপুর |
You can also vote for @bangla.witness witnesses