Better Life with Steem|| The Diary Game|| 14th May 2024

piya3 -

Hello Friends,
বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আজ আমি উপস্থাপন করবো ১৪ই মে ২০২৪ তারিখের দিনটি সম্পর্কে। ঐ দিনটি ছিল একটু ব্যতিক্রম। তবে আজ লেখার জন্য বসতেই অবস্থা খারাপ। কারণ আজ যেন তাপমাত্রা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।

Morning

যদিও রাতে ঘুম হয়নি তবুও সকাল ছয়টার দিকে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। অনেকদিন পরে ভোরের আলো দেখার সুযোগ মিললো। শরীরটা যেন সাথ দিচ্ছিল না কিন্তু সকালের আবহাওয়াটা শীতল থাকায় বেশ ভালো লাগছিল।

আমাকে ঝিমোতে দেখে আমার মা রাস্তাতে হাঁটতে যেতে বলেছিল। আমিও ব্রাশ করতে করতে রাস্তায় বেরিয়েছিলাম। রাস্তার পূর্ব পাশে আছে বড় বড় পুকুর যার পাশে রয়েছে সবুজ ঘাস। আগের দিন বৃষ্টি হওয়ার কারণে ঘাসের উপর জমে ছিল বিন্দু বিন্দু জল।

ভোরে ওঠা সূর্যের যদি আলোতে ঘাসের উপর জমে থাকা বিন্দু বিন্দু জল ঝলমল করছিল। এটাই যেন গ্রাম বাংলার এক অনিন্দ্য সুন্দর দৃশ্য। গ্রাম বাংলার প্রকৃতি এক এক সময় এক এক রূপ ধারণ করে। শুধুমাত্র ঋতু কালীন পরিবর্তন না বরং সকাল, দুপুর, বিকেল এবং রাত এই সময়েও প্রকৃতির রং বদলাতে দেখা যায়।

আমি হাঁটতে হাঁটতে কিছুটা দূরে চলে গিয়েছিলাম। সূর্যের মৃদু আলো গাছের পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছিল। আমি মোবাইলটা হাতে নিয়েই এই দৃশ্য ধারণ করার চেষ্টা করেছিলাম। তবে এই মুহূর্তে দেখলাম যে এই ছবিটা সত্যিই অসাধারণ হয়েছিল। প্রকৃতির আসল রূপ যেন ক্যামেরাবন্দি হয়েছিল।

এদিকে আমার বোন কল দিচ্ছিল বাড়িতে ফেরার জন্য। আমি দ্রুত বাড়িতে ফিরে সকালের খাবার খেয়েছিলাম। তারপর কয়েকটি পোস্ট যাচাইকরণের জন্য রিচেক শুরু করেছিলাম। এভাবে প্রায় দুপুর হয়ে এসেছিল।

Noon

ঐ দিন আমার ছোট ঠাকুরদার ঘরে আবার কালি পূজো ছিল। যে কারণে আমাদের বাড়িতে অনেক মানুষের সমাগম। তাই চিন্তা করলাম একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসার জন্য। এরই মধ্যে আমার বাল্যবন্ধু কল করে দ্রুত বাজারে যেতে বলেছিল।

আমি পৌঁছে দেখলাম ওরা ফ্রিজ থেকে গোটা তরমুজটাই বের করে নিয়ে এসেছে। যাইহোক, আমি আর কিছু বললাম না । সারিবদ্ধভাবে কেটে রাখা তরমুজের একটি বড় খন্ড নিলাম খাওয়ার জন্য।

পাশেই ছিল একটি ছোট্ট বিড়াল ছানা। যদিও বিড়াল তরমুজ খায় না কিছু আমি ছোট একটি টুকরো দিয়েছিলাম। আমি তো দেখেই অবাক বিড়াল ছানাটি যেভাবে তরমুজ চেটেপুটে খাচ্ছিল। প্রকৃতপক্ষে ঐ বিড়াল ছানাটির জল পিপাসা পেয়েছিল যেটা আমরা বুঝতে পারিনি।

Afternoon

এখন গ্রীষ্মকালীন ফলের সময় যেগুলোর আম একটি। আমি বাড়িতে পৌঁছাতেই মা একটি আম দিয়েছিল খাওয়ার জন্য। আমি আমটি খাওয়া শেষ করে স্নান করেছিলাম। তারপর হালকা কিছু খাবার খেয়েছিলাম। তাছাড়া বাড়িতে আমিষ খাবারের পদে না থাকায় কিছু খেতেই ইচ্ছে করছিল না। এরকমটা অন্য সময়েও হয় যখন বাড়িতে নিরামিষ রান্না করা হয়।

আমি খাবার খেয়ে একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। তখন বোন এসে বলল এক ফেরিওয়ালা নাকি জামাই পিঠা বিক্রি করতে এসেছে। আমি বিলম্ব না করে সেই ফেরিওয়ালার কাছে গেলাম এবং ৮টি জামাই পিঠা নিয়েছিলাম।

কালীপূজা সাধারণত মাঝ রাতে হয়। তবে প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ করতে করতে প্রায় বিকেল হয়ে এসেছিল। প্রতিমা তৈরি করেছিল আমাদের পাশের গ্রামের এক ভাস্কর। যিনি আমাদের সার্বজনীন মন্দিরের প্রতিমা তৈরি করেন প্রতিবছর। ঈশ্বর এক একজন মানুষের মধ্যে এক একটি প্রতিভা দিয়ে থাকেন।

রাতে নিমন্ত্রিত পাড়ার এবং অনেক অতিথি আত্মীয়-স্বজনের সমাগম হয়েছিল। যেহেতু পূজো হয় মাঝরাতে এবং প্রসাদ বিতরণ শেষ রাতের দিকে তাই সকলের উপস্থিতি তখন সম্ভব না। যে কারণে পুজো শুরুর আগেই নিমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য জলখাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

এভাবেই ঐ দিনটি অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি।

END