নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলেই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। সকলের সুস্থতা কামনা করে আমি আমার আজকের ব্লগটি শুরু করছি। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
আপনারা যারা আমার আগের পোস্ট গুলো পড়েছেন তারা অনেকেই দেখে থাকবেন আমি একবার আমার তেঁতুল মাখার একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। আর ছোটো বেলার কিছু স্মৃতি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছিলাম। এই ছোটোবেলার আরও একটি স্মৃতি হলো -- শীতকালের দুপুরে জলপাই মেখে খাওয়ার স্মৃতি।
দুপুরবেলায় আমরা বাড়ির সব বাচ্চারা স্নান করে দুপুরের খাবার খেয়ে একজোট হতাম। তারপর সবাই মিলে দুই-তিন টাকা করে চাঁদা তুলে সেটা দিয়ে পাড়ার একটা সবজির দোকান থেকে কিছু জলপাই কিনে আনতাম। তারপর এক এক জন যে যার বাড়ি থেকে নুন, লঙ্কা, ধনেপাতা ইত্যাদি নিয়ে আসত। তারপর সেগুলো মাখানোর দায়িত্ব দেওয়া হতো একজনের ওপর। কে মাখাবে সেই নিয়েও একটা ভোট হতো। যাকে বেশি ভোট দেওয়া হতো সেই মাখত।
এরপর সেটাকে ভাগ করে দেওয়ার জন্যেও একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হত। একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হতো কলা পাতা কেটে আনার জন্য। তারপর সবাইকে সমান ভাগে ভাগ করে জলপাই মাখা দেওয়া হতো। পোস্ট টা লিখতে লিখতেই জিভে জল চলে এলো। জলপাই মাখা খেতে খেতে আমাদের গল্পের আসর বসতো। কোথায় যেন হাড়িয়ে গেল সেই আনন্দমুখর দিনগুলো। এখন কে কোথায় আছে তাও জানি না। সবার বিয়ে হয়ে গেছে। আমি এখন থাকি অন্য পাড়ায়। খুব মিস করি সেই সব দিনগুলো , সাথে সেই বন্ধু -বান্ধবদেরও। বড়ো হওয়ার সাথে সাথে সব কিছু কেমন যেন পরিবর্তন হয়ে যায়। তবুও পরিবর্তনই জীবন। তাই সব কিছুকেই আমাদের মেনে নিতে হয়।
আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে আমাদের ছোটবেলার সেই জলপাই মাখার রেসিপি শেয়ার করতে চলেছি। ছোটবেলায় যা যা উপকরণ দিয়ে মাখা হতো সবই দিয়েছিলাম তবে ছোটবেলার মতো সেই স্বাদ আর পাইনি।
নং | সামগ্রী | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | জলপাই | ১০০গ্রাম |
২ | নুন | পরিমাণ মতো |
৩ | কাঁচা লঙ্কা | চারটে |
৪ | ধনেপাতা | পরিমাণ মতো |
প্রথমে জলপাই গুলোকে কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছিলাম।
এরপর লবণ দিয়ে লঙ্কাগুলোকে ভালো করে লবণ দিয়ে
মেখে নিয়েছিলাম।
এরপর ধনেপাতা গুলোকেও ভালোভাবে লবণ লঙ্কার সাথে মিশিয়ে নিয়েছিলাম।
এরপর জলপাই গুলোকে সেই মিশ্রণের সাথে ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।
তাহলেই রেডি আমাদের ছোটবেলার স্পেশাল জলপাই মাখা।
ফাইনাল লুক-----