বন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের কাছে আমার গত রবিবার সারাদিন অর্থাৎ ২৪শে মার্চের কার্যাবলী নিয়ে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
“সকাল” |
---|
আজকে সকাল আটটার সময় আমি ঘুম থেকে উঠে পড়েছি। তারপর ফ্রেশ হয়ে নিয়ে এক কাপ চা করে খবরের কাগজ পড়তে বসলাম।
খবরের কাগজ পড়া হয়ে গেলে আমি বাসি বাসনপত্র সব মেজে ফেললাম। এরপর কাকিমার ঘর থেকে আমার জন্য ব্রেকফাস্ট পাঠালে আমি ব্রেকফাস্ট করে নিলাম। আমার ব্রেকফাস্টের মেনু ছিল লুচি, সবজি এবং বোঁদে। এর সাথে এক কাপ চাও খেলাম।
ব্রেকফাস্ট হয়ে যাবার পর আমি পোশাক পরিবর্তন করে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাঘাযতীন স্টেশনের দিকে রওনা দিলাম। আজকে আর সাথে কোনো লাগেজ নিলাম না কারণ রাতে আমি আমার নিজের বাড়িতে ফিরে আসবো।
“দুপুর” |
---|
আমি শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে পৌঁছালাম দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ। প্রিন্সেস তখন সবে স্নান করে উঠেছে। ঠিক দুই সপ্তাহ বাদে আমার সাথে মেয়ের দেখা হলো। আমি ওকে কোলে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটালাম।
দুপুর দুটোর সময় মেয়েকে নিয়ে আমি, আমার স্ত্রী এবং শালি ডাক্তার দেখাতে গেলাম। ডাক্তারের চেম্বারে আমাদের চারজনের পিছনে লাইন দিয়ে দাঁড়াতে হলো। ডাক্তারবাবু প্রথমে মেয়ের ওজন মাপলেন। তারপর উনি কিছু ওষুধপত্র লিখে দিয়ে আবার দুই সপ্তাহ পরে দেখা করতে বললেন।
ডাক্তার দেখিয়ে ফিরে এসে আমরা সবাই লাঞ্চ করে নিলাম। আজকে আমাদের লাঞ্চের মেনু ছিল মুসুর ডাল, আলুভাজা, মাটন এবং আমের চাটনি। আমার এতটাই খিদে পেয়ে গিয়েছিল যে আমি ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছি।
লাঞ্চ হয়ে যাবার পর আমি, আমার স্ত্রী এবং মেয়ে নিচের ঘরেই বিশ্রাম নিলাম। আমার স্ত্রীকে ডাক্তার সিঁড়ি ভাঙতে বারণ করেছেন। তাই আর দোতলার ঘরে বিশ্রাম নিতে গেলাম না।
“বিকেল ও সন্ধ্যে” |
---|
বিকেল পাঁচটার সময় আমি সকলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিজের বাড়িতে ফেরার জন্য রওনা দিলাম। ট্রেনে করে ফেরার সময় আমি দুই স্টেশন আগে গড়িয়াতে নেমে পড়লাম। বাজার থেকে মাংস, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, টমেটো এবং কাঁচা লঙ্কা কিনলাম। আগামীকাল দোলের দিন আমি আর জামাইবাবু মিলে ফিস্ট করব। তাই আজকে সন্ধ্যেবেলায় সবকিছু কিনে নিলাম।
এরপর অটোয় করে বাড়ি পৌঁছে আমি সন্ধ্যে দিয়ে নিলাম। তারপর আমি এক কাপ চা করে নিয়ে স্টিমিটের জন্য ডেইলি ডায়েরী গেম লিখতে বসলাম।
“রাত” |
---|
ডেইলি ডায়েরী গেম লেখা শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমি স্টিমিটে পোস্ট করে দিলাম। তারপর আমি বেশ কিছু কমেন্টের রিপ্লাই দিলাম। এরপর আমি একটু পাড়ার মুদি দোকানে গিয়ে জিরের গুঁড়ো, ধনিয়ার গুঁড়ো এবং লঙ্কার গুঁড়ো কিনে আনলাম।
রাত দশটার সময় দিদি আমার ফ্ল্যাটে আসলো। ও আমার জন্য মুরগির মাংস রান্না করে এনেছিল। দিদির সাথে বেশ কিছুক্ষণ গল্প করার পরে ও বাড়িতে চলে গেলো। তারপর আমি ডিনার করে নিলাম। ডিনার হয়ে যাবার পর আমি ঘন্টাখানেক ইউটিউব ভিডিও দেখে তারপর ঘুমাতে চলে গেলাম।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার ২৪শে মার্চের দিনলিপি। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন, এই শুভকামনা জানিয়ে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।