লিংক
আসলে এই নামটি শুনলে এখন আমাদের সেই পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে যায়। কেননা যখন আমরা ছোট ছিলাম তখন কিন্তু আমরা সবাই এই বিদ্যালয়ে যেতাম জ্ঞান অর্জন করার জন্য। বিদ্যালয় এমন একটা জায়গা যেখানে মানুষ আসে শূন্য জ্ঞান নিয়ে এবং ফিরে যায় জ্ঞানের প্রাচুর্য নিয়ে। আসলে মন্দিরের মতো বিদ্যালয় হল একটা পবিত্র জায়গা। যে জায়গায় গিয়ে আজ বহু মানুষ জীবনে উন্নতি লাভ করতে পেরেছে। আসলে আমাদের জীবনে এই বিদ্যালয়ের গুরুত্ব অনেক বেশি। কেননা পৃথিবীতে যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ এই বিদ্যালয় না থাকতো তাহলে সারা পৃথিবীর মানুষ মূর্খ হয়ে থাকতো। আর এই মূর্খ হয়ে থাকার ফলে আমরা কখনো এই আধুনিক যুগে এসে পৌঁছাতে পারতাম না। আসলে জীবনে যারা বিদ্যালয় থেকে সঠিক জ্ঞান অর্জন করে তারাই জীবনে একমাত্র বড় হয়।
আসলে এই বিদ্যালয় পরিচালনা করেন অনেক জ্ঞানী ব্যক্তিরা। আর আমি জ্ঞানী বলতে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কথা বলেছি। কেননা বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা একটা বিদ্যালয়কে পবিত্র জায়গা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। একজন শিক্ষক তার সারা জীবনের প্রচেষ্টা থাকে যে কি করে তারা তাদের ছাত্রকে মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে এবং প্রকৃত শিক্ষা দান করবেন। আমাদের প্রথম জ্ঞান অর্জনের জায়গা হল এই বিদ্যালয়। আসলে এই বিদ্যালয় জীবনে আমরা কোনটা সঠিক এবং কোনটা ভুল এই ধরনের পার্থক্য বিচার করতে শিখি। কেননা জীবনে বড় হতে গেলে অনেক কিছু জানার প্রয়োজন রয়েছে। আসলে বিদ্যালয়ে সব সময় আমাদের কোন জ্ঞানের সারাংশ টুকু দিয়ে থাকে এবং বাকি অংশটুকু আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনে পেয়ে থাকি।
আসলে বর্তমান সময়ে আমরা দেখি যে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদেরকে সুষ্ঠু শিক্ষা কখনো গ্রহণ করায় না। আসলে তাদের সন্তানকে যদি তারা বিদ্যালয়ে না পাঠায় তাহলে তাদের সন্তানেরা সারাজীবন মূর্খ থাকবে এবং এই পৃথিবীতে ভালো-মন্দের কোন বিচার করতে পারবে না। আসলে যারা ছোটবেলা থেকে জ্ঞান অর্জন না করে তাদের বাকি জীবনটা অনেক বেশি কষ্টের মধ্যে দিয়ে কাটাতে হয়। কেননা বাকি জীবনে এই পৃথিবীর প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে তাদের সবসময় লড়াই করতে হয়। আসলে বিদ্যালয় হলে এমন একটা জায়গা যেখানে মানুষের জ্ঞান বিকাশের সাহায্য করে। আর তাদের জীবনে যদি জ্ঞান বিকাশ না হয় তারা পৃথিবীতে নিজেদের দ্বারা তেমন কোন কিছু একটা করে যেতে পারবে না। আসলে এই দোষটা কিন্তু সম্পূর্ণ সেই সন্তানের অভিভাবকদের।
আসলে যারা বিদ্যালয়কে সম্মান করে এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষা গ্রহণের জন্য সব সময় ইচ্ছুক থাকে তারাই কিন্তু একমাত্র জীবনের শিক্ষা অর্জন করতে পারে। কিন্তু এখনকার জেনারেশনরা বিভিন্নভাবে বিদ্যালয়কে অপমানিত করছে। কেননা চাকরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের অসাধু লোক এই বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে প্রবেশ করছে এবং বিদ্যালয়ের মত পবিত্র জায়গাটাকে অপবিত্র করে ফেলছে। খারাপ শিক্ষকদের কাছ থেকে যেসব ছাত্ররা খারাপ শিক্ষা গ্রহণ করে তারা কখনো একজন ভালো মানুষ হিসেবে নিজেদেরকে পরিচিত করতে পারেনা এবং তাদের এই খারাপ আচরণের জন্য তারা সারা জীবন অনেক বেশি দুঃখ কষ্ট লাভ করে। আর এই জন্য আমরা পবিত্র স্থানের পাশাপাশি বিদ্যালয়কে সবসময় সম্মান করবো এবং বিদ্যালয়ের সম্মান রক্ষার জন্য আমরা সবসময় সঠিক জ্ঞান গ্রহণ করব।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।