ধার্মিকতা ও ধর্মান্ধতা

ocean-trench -
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

made by canva

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আমরা মানুষ হিসেবে যখন জন্মগ্রহণ করি। তখন সকলেই একটা পরিবারের মধ্যেই বড় হয়ে উঠি। এবং সেখান থেকে আমরা আমাদের নিজেদের ধর্ম টা পাই। হয়তো অনেক সময় অনেকেই ধর্ম পরিবর্তন করে। আমি সেই দিকে যাচ্ছি না। কারণ সেসব আসলে অনেকটা কমপ্লেক্স ব্যাপার। কিন্তু আমি এখন যে ব্যাপারটিতে ফোকাস করছি। সেটা হচ্ছে আমাদের নিজেদের ধার্মিকতা এবং আমাদের নিজেদের ধর্মান্ধতা নিয়ে অর্থাৎ আমার যা মনে হয়।

অনেকেই দেখবেন যে কোনো একটা অন্য ধর্মকে অনেক বেশি অপছন্দ করে, ঘৃণা করে কিংবা ওই ধর্মটি নিয়ে সবসময় খারাপ কিছু কথা বলার চেষ্টা করে। কারণ তাদের কাছে একটা ভালো যুক্তি ও থাকে। অর্থাৎ তারা একটা এমন একটা অন্যায়কে সামনে আনে। যেটা ওই ধর্মের সত্যিই একটা অন্যায় কাজ।

কিন্তু এতে যে অন্য একটি ব্যাপার আছে, সেটা কেউ দেখে না। অর্থাৎ ওই মানুষটা যে ব্যাপারটিকে তুলে ধরছে, সেই কাজটা হতে পারে ধর্মান্ধতা। যেটা আসলে মানুষ ধার্মিকতা বলে চালিয়ে দেয়। এবং অন্য মানুষেরা অর্থাৎ অন্য ধর্মের মানুষেরা ওই ধর্মান্ধতা ব্যাপারটি দেখেই ওই ধর্মকে ঘৃণা করা শুরু করে। কিন্তু আমাদের প্রতিটি ধর্মের বলা হয়েছে যে অন্য ধর্মকে সম্মান করতে হবে। তাদেরকে তাদের ধর্ম পালন করতে দিতে হবে।

ঠিক সেই সাথে আমাদের প্রতিটি ধর্মে আরও একটি ব্যাপার খুব ভালোভাবে উল্লেখ রয়েছে যে, ধার্মিকতা ভালো কিন্তু ধর্মান্ধতা নয়। কারণ ধর্মান্ধতা আসলে ব্যাপারটি একেবারেই আলাদা। ধার্মিকতা হলো যে ধর্মের প্রতিটি নিয়ম খুব সুন্দর এবং প্রপার ভাবে মেইনটেইন করে। আর ধর্মান্ধতা হলো, যে ধর্মের নামে কুসংস্কার কে অনেক বেশি প্রমোট করে। নিজে ও সেই অনুযায়ী বিশ্বাস করে ও কাজ করে এবং অন্য কেউ করতে বাধ্য করে। কুসংস্কার কখনোই কোনো ধর্মের অংশ হতে পারে না। কিন্তু সত্যি কথা বলতে, কেনো জানিনা আমাদের এই ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে এই কথাটি কোনোভাবেই ঢুকতে চায় না।

তাই আপনার সামনে কেউ যখন ধর্মের কোনো খারাপ জিনিস নিয়ে একই কথা বারবার বলার চেষ্টা করবেন। তখন তাকে ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলবেন যে, কোনো ধর্মে কিন্তু খারাপ কিছু প্রমোট করা হয় না। কোনো খারাপ কিছু যদি প্রমোট করা হয় তখন বুঝে নিতে হবে যে সেটা একেবারেই ধর্মান্ধতা এবং কুসংস্কার।