রজব আলীর আত্মত্যাগ (ষষ্ঠ পর্ব)

ocean-trench -

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


যদিও তার কিছু টাকা সঞ্চয় ছিলো। যার ফলে রিক্সা চালাতে না পারলেও সেই টাকা দিয়ে কোনরকম চলতে পারছিলো। কিন্তু তার সাথে রিক্সা চালায় এমন অনেকেই অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছিলো। সবকিছু দেখে রজব আলীর খুবই খারাপ লাগছিলো। সে তার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে কথা বলে ঘটনা কি সেটা জানার চেষ্টা করে। সমস্ত ঘটনা শুনে তার মনে হয় ছাত্রদের দাবি তো ঠিকই আছে। সে চিন্তা করে তার ছেলে মেয়ে যখন বড়ো হয়ে লেখাপড়া শেষ করে চাকরি করতে যাবে। তখন যদি তারা যোগ্য হওয়া সত্বেও চাকরি না পায় তাহলে এই সিস্টেম তো পরিবর্তন করা উচিত।

সেই কারণে সেও আন্দোলনরতো ছাত্রদের প্রতি মনে মনে সমর্থন দেয়। তবে ভয়ে কখনো আন্দোলনের আশেপাশেও যায় না। বেশ কয়েকদিন বসে থাকার পর রজব আলী একদিন রিক্সা নিয়ে বের হয়। সে চিন্তা করতে থাকে এইভাবে বাড়িতে বসে থাকলে এক সময় না খেয়ে মরতে হবে। তাই যত ঝুকিই থাকুক। তাকে রিক্সা চালাতেই হবে। শহরের আন্দোলনকারীদের এলাকাটুকু বাদে সে আশপাশ দিয়ে রিকশা চালাতে থাকে। অনেকদিন পর রিক্সা চালিয়ে মোটামুটি তার ভালোই আয় হয়। সন্ধ্যার দিকে যখন সে রিকশা জমা দেয়ার জন্য গ্যারেজের দিকে যাবে।

তখন হঠাৎ করে দেখতে পায় ছাত্রছাত্রীরা দিগ্বিক জ্ঞানশূন্য হয়ে দৌড়ে যাচ্ছে। সে রিকশা চালাতে থাকে আর অনেক ছাত্রছাত্রীকে রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে। তাদের কেউ ইতিমধ্যে মারা গিয়েছে। আর কেউ কেউ গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ সমস্ত দৃশ্য দেখে রজব আলি আর না থেমে পারে না। সে তার রিক্সায় কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে উঠিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দেয়। এইভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের হাসপাতালে আনা নেয়া করতে করতে রাত দশটা পার হয়ে যায়। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।




🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩