সেই কারণে সেও আন্দোলনরতো ছাত্রদের প্রতি মনে মনে সমর্থন দেয়। তবে ভয়ে কখনো আন্দোলনের আশেপাশেও যায় না। বেশ কয়েকদিন বসে থাকার পর রজব আলী একদিন রিক্সা নিয়ে বের হয়। সে চিন্তা করতে থাকে এইভাবে বাড়িতে বসে থাকলে এক সময় না খেয়ে মরতে হবে। তাই যত ঝুকিই থাকুক। তাকে রিক্সা চালাতেই হবে। শহরের আন্দোলনকারীদের এলাকাটুকু বাদে সে আশপাশ দিয়ে রিকশা চালাতে থাকে। অনেকদিন পর রিক্সা চালিয়ে মোটামুটি তার ভালোই আয় হয়। সন্ধ্যার দিকে যখন সে রিকশা জমা দেয়ার জন্য গ্যারেজের দিকে যাবে।
তখন হঠাৎ করে দেখতে পায় ছাত্রছাত্রীরা দিগ্বিক জ্ঞানশূন্য হয়ে দৌড়ে যাচ্ছে। সে রিকশা চালাতে থাকে আর অনেক ছাত্রছাত্রীকে রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে। তাদের কেউ ইতিমধ্যে মারা গিয়েছে। আর কেউ কেউ গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ সমস্ত দৃশ্য দেখে রজব আলি আর না থেমে পারে না। সে তার রিক্সায় কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে উঠিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দেয়। এইভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের হাসপাতালে আনা নেয়া করতে করতে রাত দশটা পার হয়ে যায়। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।