অদম্য রবিনের সংগ্রামের গল্প (চতুর্থ পর্ব)

ocean-trench -

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


তখন রবিন আবার দলের ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হয়। সে মাত্র দুই ওভারের ব্যবধানে চারটি উইকেট নিয়ে তাদের বিপক্ষ দলের ব্যাটিং লাইনআপ একাই ধসিয়ে দেয়। তার ব্যাটিং বোলিং দেখে নির্বাচকেরা মুগ্ধ হন। নির্বাচনের পরে রবিনের নাম ঘোষণা করা হলো জাতীয় দলের ট্রায়ালের জন্য। এটা ছিল রবিনের জীবনের সবচেয়ে বড় সুযোগ। সে জানতো যদি সে এই ট্রায়ালে সফল হয় তবে তার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। কয়েক সপ্তাহ কঠোর প্র্যাকটিসের পর রবিন জাতীয় দলের ট্রায়ালে অংশ নেয়। সেখানেও নিজের সবটা দিয়ে খেলতে থাকে। তার খেলায় ছিল আত্মবিশ্বাস, দৃঢ়তা, আর সেই অদম্য জেদ।

অবশেষে রবিন জাতীয় দলে জায়গা পায়। গ্রামের সেই ছোট্ট ছেলেটা যে পুরোনো ব্যাট হাতে গ্রামের মাঠে খেলতো আজ সে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে। রবিনের জীবন যেন একটি রূপকথার গল্প। তবে এই গল্পের নায়ক হওয়ার পেছনে ছিল তার অদম্য ইচ্ছাশক্তি, কঠোর পরিশ্রম, আর আত্মত্যাগ। রবিন জানে, তার সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। কিন্তু সে ভীত নয়। তার চোখে আজও সেই পুরোনো স্বপ্ন জ্বলজ্বল করছে—দেশের হয়ে মাঠে নামা, জয় নিয়ে ঘরে ফেরা।

জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে সে নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে খেলতে থাকে। দলের ভেতরে সে সবচাইতে পরিশ্রমি ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিতি পায়। তার পরিশ্রমকে সবাই অনুপ্রেরণা হিসেবে নেয়।তাকে শুধু যে পরিশ্রমী ক্রিকেটার হিসেবে সবাই চেনে তা নয়। সবাই এক বাক্যে স্বীকার করে নেয় তার মতো বিনয়ী ক্রিকেটার ও সবাই অনেক কম দেখেছে। রবিন কখনোই উদ্ধত আচরণ করে না। কারণ সে তার পুরনো দিনের স্মৃতি সব সময় মনের ভেতরে লালন করে। সে জানে যদি সে তার শেকড় কে ভুলে যায়। তাহলে হয়তো আবার তার পতন হবে। রবিন এখনো যখন মাঠে নামে সে তার প্রথম ব্যাটের কথা মনে করে। মনে করে বাবার সেই কথাগুলো, “ছেলের স্বপ্নে বাধা দিলে পিতার জীবন বৃথা।” তার চোখে জল আসে, কিন্তু সেই জল তার সংগ্রামের গল্প। রবিন জানে জীবনটাও একটি খেলা। আর এ খেলায় জয় পেতে গেলে লড়াই করতেই হয়। (সমাপ্ত)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।




ধন্যবাদ