দেশের শ্রমবাজারের উপর কুচক্রীদের কালো থাবা (শেষ পর্ব)

ocean-trench -

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


মাঝে মাঝে নামে মাত্র অভিযান পরিচালনা করা হয় এদের বিরুদ্ধে। দু'চার দিন পর আবার সেটা বন্ধও হয়ে যায়। আমি সৌদি আরব গিয়ে সেখানে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের সাথে কথা বলে দেখেছি। তারাও এই কুচক্রী মহলের কারণে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার গল্প শুনিয়ে ছিলো। তারা এই কুচক্রী মহলের নানা রকম প্রতারণার গল্প আমার কাছে করেছিলো। এই কুচক্রী মহল দেশে থাকা মানুষজনকে উচ্চ বেতনের কথা বলে তাদের কাছ থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নেয়। শেষ পর্যন্ত যাদের কাছ থেকে টাকা নেয় তাদের ভেতর অনেকেই বিদেশে যেতে পারে না। শেষ পর্যন্ত যারা বিদেশে যেতে পারে তারা সেখানে গিয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন রকমের পরিস্থিতি সম্মুখীন হয়।

যে কাজের কথা বলে বা যে পরিমাণ বেতনের কথা বলে তাদেরকে বিদেশে নেয়া হয়। তারা বেশিরভাগ সময়ই সেই ধরনের কাজ বা বেতন পায় না। যার ফলে তারা যে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করে বিদেশে যায়। সেই কারণে তাদেরকে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এখন এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সরকারকে সচেষ্ট হতে হবে। জনগণের ভেতর সচেতনতা তৈরি করতে হবে। দালালদের বিরুদ্ধে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। মানব পাচারকারী দলগুলোকে চিহ্নিত করে তাদেরকে সমূলে বিনাশ করতে হবে। আর সবচাইতে ভালো হয় যদি সরকার নিজের দায়িত্বে শ্রমিক রপ্তানি শুরু করে। তাহলে এখানে আর দালাল চক্রের দৌরাত্ম থাকবে না। তখন মানুষ খুব অল্প টাকায় বিদেশে যেতে পারবে।

বাংলাদেশের জন্য বিদেশের শ্রমবাজার ধরতে পারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদের দেশের আয়ের অন্যতম বড় একটা উৎস হচ্ছে এই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স। এখন এই কুচক্রী মহলের কারণে যদি একে একে আমাদের শ্রমবাজারগুলো হাতছাড়া হয়ে যায়। তখন দেশ গভীর সংকটে পড়বে। দেশের অর্থনীতির সুরক্ষার জন্য হলেও সরকারকে এখনই এই বিষয়ে তৎপর হতে হবে।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।




ধন্যবাদ