New to Nutbox?

সোহাগের স্বপ্ন পূরণের গল্প ( নবম পর্ব)

2 comments

ocean-trench
75
5 days agoSteemit2 min read

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


সুযোগ পেয়ে সোহাগ প্রতিজ্ঞা করে যেভাবেই হোক এই সুযোগটা মিস করা যাবে না। তাকে যেকোনো মূল্যে ভালো খেলতেই হবে। প্রথম সুযোগেই সোহাগ দারুন পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে। পরা পর দুটো ম্যাচে সোহাগ দারুন অলরাউন্ড নৈপুন্য প্রদর্শন করে। তার অলরাউন্ড পারফরমেন্সের জন্যই দল জিতে যায়। একদিন যখন দলের সবাই সোহাগের প্রশংসা করছিলো। তখন হঠাৎ করে এ দলের কোচ সোহাগকে এসে জানায় তার সমস্ত কিছু তাড়াতাড়ি গুছিয়ে নিতে হবে। সোহাগ অবাক হয়ে তার কোচের দিকে তাকিয়ে রয়।

Black and Gold Fancy New Year Card_20240823_000814_0000.png

তখন তার কোচ তাকে বলে তোমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তুমি জাতীয় দলে চান্স পেয়েছো। জাতীয় দলের একজন বোলার হঠাৎ করে ইনজুরিতে পড়েছে। সেই বোলারের জায়গায় তোমাকে দলভুক্ত করা হয়েছে। সোহাগ তখন এ দলের সাথে দেশের বাইরে ট্যুর করছিলো। আর তখন তার জাতীয় দলের খেলা ছিলো দেশের মাটিতে। সোহাগ সেদিন রাতের ফ্লাইটেই দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। রওনা দেয়ার আগেই সে জানতে পারে দেশে পৌঁছানোর তিনদিন পরেই তাকে তার জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে হবে।

সোহাগ উত্তেজনায় প্লেনে একটুও ঘুমাতে পারে না। প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে সে কি করবে কিভাবে খেলবে সবকিছু নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে থাকে। প্রতিপক্ষ দলে কোন কোন প্লেয়ার আছে কে কেমন করে সবকিছু নিজের মনের ভেতরে পরিকল্পনা সাজাতে থাকে। মনে মনে পরিকল্পনা করে দেশে ফিরে সে তার বাবা-মাকে ম্যাচ দেখার আমন্ত্রণ জানাবে। সেই সাথে সোহাগ আরো ঠিক করে তার সেই প্রতিবেশী এবং তার জীবনের প্রথম কোচ এই দুজনকে সে দুটো টিকিট পাঠাবে খেলা দেখতে আসার জন্য। সোহাগ জানে তার এত দূর আসার পেছনে তার সেই প্রতিবেশী আর তার জীবনের প্রথম কোচের অবদান সবচাইতে বেশি। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।




ধন্যবাদ

Comments

Sort byBest