সততার পুরস্কার (সপ্তম পর্ব)

ocean-trench -

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


সেদিন যখন ফুয়াদ অফিস থেকে বের হয়। তখন সে খেয়াল করে তার পিছু পিছু তিন চারজন মানুষ আসছে। কিন্তু ফুয়াদ ব্যাপারটাতে তেমন একটা গুরুত্ব দেয় না। যখন সে তার বাসার কাছাকাছি চলে এসেছে তখন হঠাৎ করে তার পেছন থেকে গুলির শব্দ শুনতে পায়। গুলির শব্দ শুনে ফুয়াদ কিছুটা ভয় পেয়ে যায়। সে তাড়াতাড়ি দৌড়ে তার বাসার ভিতরে ঢুকে যায়। পরদিনও অফিস থেকে ফেরার পথে ফুয়াদ এর সাথে একই ঘটনা ঘটে। তারপর দিন সকালে উঠে সে স্থানীয় থানায় যায় কমপ্লেন করতে। কিন্তু থানার দারোগা তাকে কোনো সাহায্য করতে অপারগতা জানায়।

ফুয়াদ প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়ে থানা থেকে বের হয়ে আসে। সেদিন ফুয়াদের কাছে আবার সেই অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন আসে। ফোন দিয়ে বলে আজকের দিন তোমার জন্য শেষ সময়। আজকের বিকালের ভিতর যদি ফাইলটা ক্লিয়ার না হয়। তাহলে তোমার অবস্থা খুব খারাপ হবে। ফুয়াদ কোনো কথা না বলে ফোনটা কেটে দেয়। তারপর সে তার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সেদিন যথারীতি ফুয়াদ তার অফিস থেকে বের হয়ে বাসার দিকে যাচ্ছিলো। অফিস থেকে বের হয়ে একটা রিকশা নিয়েছিল বাসায় যাওয়ার জন্য। রিক্সাটা যখন তার বাসার কাছাকাছি পৌঁছেছিলো।

তখন হঠাৎ করে পিছন থেকে একটা মাইক্রোবাস এসে জোরে তার রিক্সাটাকে ধাক্কা দেয়। রিক্সায় ধাক্কা লাগার পর ফুয়াদ রিকশা থেকে দূরে ছিটকে গিয়ে পড়ে পরে। আশেপাশের লোকজন ফুয়াদ এবং রিক্সাওয়ালাকে উঠিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায়। দু একদিন হাসপাতালে থাকার পর সে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাই। তারপর ফুয়াদ তার এক বন্ধুকে ফোন দিয়ে তার সমস্যার কথা খুলে বলে। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।




ধন্যবাদ