সোর্স
জীবনে যারা উন্নতি করেছে তারা সবাই সময় মতো কাজ করেছে। আসলে সময় মত কাজ করাটা খুবই প্রয়োজন। সময়মতো কাজ না করলে কাজ ঠিকমতো করা যায় না এবং সঠিক কাজ সঠিক সময় হয়ে ওঠেনা। যেমন আমরা যদি রাতের বেলায় সঠিক সময়ে ঘুমিয়ে না পরি তাহলে আমরা সকালবেলায় সঠিক সময়ে উঠতে পারব না। আর সকাল বেলা সঠিক সময়ে উঠতে না পারলে আমরা সারাদিনের কাজ সঠিক সময়ে করতে পারবো না। আর সারাদিন যদি আমরা সময়ের কাজ সময় না করি তাহলে আমরা জীবনে উন্নতি কখনোই করতে পারব না। ছোটবেলায় বইতে পড়েছিলাম, ''আর্লি টু বেড এন্ড আর্লি টু রাইস মেক্স এ ম্যান হেলদি ওয়েলদি এন্ড ওয়াইজ '' । অর্থাৎ আমরা যদি তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ি এবং তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে যাই তাহলে আমাদের শরীর ভালো থাকে আর কাজে মনোযোগ বাড়ে এবং কাজের মাধ্যমে আমাদের বুদ্ধির বিকাশ ঘটে।
তাই আমরা যদি সময় মত কাজ করতে পারি তাহলে আমাদের শরীরও ভালো থাকবে এবং জীবনে উন্নতি করা যাবে।আমাদের জীবন অনেকগুলি ধাপে ধাপে চলে। জীবনের এই প্রত্যেকটা ধাপের অর্থাৎ সঠিক সময়ের কাজ যদি সঠিক সময়েই সম্পন্ন করা না হয় তাহলেও জীবনের উন্নতি করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। ছোটবেলায় আমাদের উচিত মন দিয়ে পড়াশুনা করা, এবং অনেক দূর পড়াশোনা করার পরে যখন আমাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা হবে কিছু করে দেখানোর জন্য, তখন আমাদের নিজের পায়ে দাঁড়ানো উচিত অর্থাৎ অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে। এবং পরিবারকে সাথে নিয়ে সুন্দর একটা ভবিষ্যৎ গড়ে তুলে নিতে হবে। কিন্তু আমরা যদি সময় মতো পড়াশোনা না করি, আর পড়াশোনার সময় যদি অন্য কোন বাজে কাজ করে সময় নষ্ট করে ফেলি। তাহলে অর্থ উপার্জনের পথ অনেকটাই কষ্টকর হয়ে উঠবে। এবং সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে।
তাই আমাদের সবার উচিত সময় নষ্ট না করে ছোটবেলায় মন দিয়ে পড়াশোনা করে নিজেকে সক্ষম করে তোলা। এবং সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা। অনেকেই মনে করেন যৌবন বয়সে জীবনটা উপভোগ করে নিতে হয়। ঘুরেফিরে মজা করে জীবন কাটিয়ে তারা মনে করেন এটাই এই সময়ের সঠিক কাজ। কিন্তু তারা সম্পূর্ণ ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে জীবন এগিয়ে চলেছেন। কারণ যৌবন বয়সে যদি অর্থ উপার্জন না করে নিজের সুন্দর ভবিষ্যৎ না গড়ে রাখা হয়। তাহলে বার্ধক্য বয়সে অনেক কষ্টকর পরিস্থিতির মুখোমুখি পড়তে হতে পারে। কারণ বার্ধক্য বয়সে শরীরের জোর থাকে না যে সে কিছু অর্থ উপার্জন করে তার চিকিৎসা বা অন্যান্য প্রয়োজন মেটাবে। তাই যৌবন বয়সেই বার্ধক্যের কথা চিন্তা কিছু সঞ্চয় করে রাখতে হয়।
আবার যদি কেউ মনে করেন যে যৌবন বয়সে অর্থ উপার্জন করা একমাত্র কাজ। তাহলেও সে কিছুটা ভুল চিন্তা করছেন। কারণ এই সময় অর্থ উপার্জন করার সঠিক সময় হলেও তার পাশাপাশি আমাদের প্রয়োজনীয় অনেক কাজ করে নিতে হয়। কারণ সঠিক সময়ে যদি আমরা সঠিক কাজ করে না রাখি বা আমাদের যৌবন বয়সের শখ যদি সেই বয়সে পূরণ না করি, তাহলে বার্ধক্য বয়সে সেই শখ বা সেই প্রয়োজন মেটানোর ক্ষমতা আমাদের নাও থাকতে পারে। যেমন ধরুন একজন ব্যক্তি 25 বছর বয়সে পাহাড়ে ভ্রমন করতে পারবেন। কিন্তু সে বিভিন্ন কাজের অজুহাতে সেই ইচ্ছাটা অপূরণ রেখে বার্ধক্য বয়সের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। কিন্তু বার্ধক্য বয়সে তার হয়তো হাঁটু ব্যথা বা বয়স জনিত কারণে কোন রোগ বা কোন সমস্যা হয়ে গেল। তখন সে আর সেই ইচ্ছাটা পূরণ করতে পারবে না। তাই আমাদের উচিত যে কাজটি যে সময় করতে হয় সেই কাজ সে সময় করে ফেলা। নইলে সঠিক সময় চলে গেলে সেই কাজ অপূরণ থেকে যাবে।
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।