দুর্গাপূজা। পর্ব:- ০২

nilaymajumder -

কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ দুর্গাপূজার বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন ঘটনা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।





আমরা স্টেশনে ঢুকেই বুঝতে পেরেছিলাম যে এবারের এই পুজোতে অনেক বেশি ভিড়। আর স্টেশনে যখন পৌঁছে নামলাম তখন তো আপনারা সবাই আগের পর্বে জানতে পেরেছেন কি ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও আরো বেশি ভয় পাচ্ছিলাম যে ওই পূজা মণ্ডপে ঢুকতে গেলে আমাদের আরো কত বেশি কষ্ট করতে হবে। কেননা যে পরিমাণ লোক স্টেশনে নেমেছে এবং স্টেশনের চারিপাশ দিয়ে ঘোরাফেরা করছে তা দেখে মনে হচ্ছে যে আমাদের একটা পুজো দেখতে দেখতে পুরো রাত কেটে যাবে। যাইহোক সর্বপ্রথম তো জুতোটা মোটামুটি ঠিক করে একটু চলার ব্যবস্থা করে দিলাম। আসলে একটা জিনিস অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে কোন পুজোর সময় যদি নতুন জুতো কেনা হয় তাহলে সেটি পূজার অনেক আগে কিনে কিছুদিন পরে নিতে হবে। এতে করে আমাদের পায়ের সাথে এডজাস্ট হয়ে যাবে।





কেননা আমরা যদি একদম নতুন জুতো পড়ে প্রথম দিন অনেক হাঁটাহাঁটি করি তাহলে পায়ে ফোসকা পড়ার সম্ভাবনা থাকে। আর এজন্য আমি নতুন জুতো কেনার শর্তেও এই পুরাতন জুতো পড়ে আমি পুজো দেখতে এসেছি। তাই আর বেশি স্টেশনে দেরি না করে আমরা আস্তে আস্তে পূজা মন্ডপের দিকে এগোনোর জন্য রওনা দিলাম। আসলে একটা সুবিধা হল যে কোথাও যদি অচেনা জায়গায় আমরা পূজা দেখতে যাই তাহলে সেখানে চেনার কোন প্রয়োজন থাকে না। আসলে লোকজন যেদিকে যাচ্ছে তাদের পিছন পিছন যদি আমরা চলতে শুরু করি তাহলে আমাদের আর অচেনার কোন কিছুই আর থাকবে না। আসলে পূজা মন্ডপ গুলো এমন ভাবে তৈরি করা হয় যে আমরা যে কোন একটা পূজা দেখতে দেখতে আস্তে আস্তে লাইন দিয়ে অন্য আরও অনেক জায়গায় ঘুরে আসতে পারবো।





আসলে আপনাকে সঠিক রাস্তা প্রথমে চিনতে হবে অর্থাৎ যে পুজো দেখে আপনি অন্য পুজো গুলো দেখতে পারবেন এজন্য আপনাকে সর্বপ্রথমে সেই প্রথম পূজার মন্ডপের জায়গাটা নির্বাচন করতে হবে। কেননা আপনি যদি উল্টোপাল্টা ভাবে বিভিন্ন মন্ডপে ঘুরে বেড়ান তাহলে আপনার সব পূজো কখনোই দেখা হবে না। এজন্য আমরা স্থানীয় লোকদের জিজ্ঞাসা করলাম যে কোন পুজো আমরা সর্বপ্রথম দেখা শুরু করব। তাই তিনি আমাদের এই কল্যাণী আইআইটি মোর এর পুজো সর্বপ্রথম দেখতে বললেন। এটি মোটামুটি আমাদের আশেপাশের অনেক এলাকার ভেতর সব থেকে বড় একটি পুজো। আসলে বড় পুজো বললে ভুল হবে। কেননা পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে এটি সবথেকে বড় একটি দুর্গা পূজার প্যান্ডেল।





যাইহোক আর দেরি না করে আমরা লোকের পিছনে পিছনে সেই পূজা মন্ডপের দিকে যাওয়ার জন্য হাঁটা শুরু করলাম। আসলে আমাদেরকে অনেকটা বেশি পথ হেঁটে ওই বড় পূজা মন্ডপের কাছে যেতে হবে। তাই আমরা বেশি সময় নষ্ট না করে দুজন মিলে জোরে জোরে হাঁটা শুরু করলাম। এরপর আমরা দূর থেকে ভিড় লক্ষ্য করতে শুরু করলাম। অর্থাৎ যত সামনে যাচ্ছি ততই এই ভিড় যেন বেড়েই চলেছে। আর এজন্য আমরা মানুষের পাশ কাটিয়ে আগে দেওয়ার চেষ্টা করলাম। সামনে গিয়ে আমরা পুরো অবাক হয়ে গেলাম। মনে হচ্ছে যে ভারতবর্ষের অর্ধেক লোক এই পুজো দেখতে এই মণ্ডপের সামনে চলে এসেছে। কেননা আমাদের থেকে এখনো প্রায় পূজা মন্ডপের দূরত্ব ৩০ সেকেন্ড হবে। কিন্তু ওই ৩০ সেকেন্ডের পথ যদি প্রায় আমাদের ৪০ মিনিটের উপর সময় লাগবে। আসলে এত মানুষের ভিড় আমি এই সর্বপ্রথম দেখতে পেলাম।

ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola

ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro

ক্যামেরা লেংথ : 5.89 mm



আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।



সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।



ধন্যবাদ সবাইকে।

আমার নাম নিলয় মজুমদার। আমি একজন কম্পিউটার সাইন্সের ছাত্র। আমার মাতৃভাষা হলো বাংলা। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি। আমি একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। নতুন নতুন জিনিস তৈরী করতে আমি খুব ভালোবাসি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে আমার খুব ভালো লাগে।