সুখের মরীচিকা। কবিতা নং :- ১৩৫

nilaymajumder -

কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে আমার লেখা একটি কবিতা পোস্ট করলাম । আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।




সোর্স


এই জীবনে একটা জিনিস আমরা সব সময় পেতে চাই। সেটি হল সুখ। অনেকের কাছে এই সুখ অনেকটা মরীচিকার মতো হয়ে থাকে। কেননা সে যত সুখের খোঁজে সামনের দিকে এগোতে থাকে ততই সুখ আরও সামনের দিকে চলে যায়। আসলে জীবনে যারা খারাপ কপাল নিয়ে জন্মগ্রহণ করে তাদের জীবনটাই পুরো কষ্টের মধ্যে কেটে যায়। কিন্তু এখানে একটা জিনিস আমার একটু ভুল হচ্ছে যে মানুষের কপাল কখনো খারাপ হতে পারে না। কেননা মানুষ যদি চেষ্টা না করে শুধুমাত্র ঘরে বসে বিভিন্ন জিনিস পাওয়ার জন্য আশা করে তাহলে সেই জিনিসগুলো তারা কখনো পূরণ করতে পারবে না এবং এর জন্য সারা জীবন তাকে অনেক বেশি কষ্টের মধ্যে দিন কাটাতে হয়। কিছু কিছু মানুষ আছে যারা নিজেদের সুখ বিসর্জন দিয়ে অন্যের সুখের জন্য কাজ করে।


আসলে কিছু কিছু হতভাগা মানুষের আছে যারা কখনো নিজের সুখকে বড় করে দেখেনা। তারা সবসময় নিজের পরিবারের লোকেদের সুখের জন্য কাজ করে এবং কি করে তাদেরকে আনন্দে রাখা যায় সেজন্য তারা দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে। কিন্তু এই মানুষগুলোর জন্য কেউ কখনো চিন্তাভাবনা করে না। তারা সবসময় নিঃস্বার্থভাবে অন্য মানুষদের জন্য কাজ করে এবং সারাজীবন তারা দুঃখ-কষ্ট নিয়ে বড় হতে থাকে। আসলে এই মানুষগুলোর দুঃখ কষ্ট বোঝার মত কেউ কখনো থাকে না। আর তারা সবসময় মরুভূমিতে মরীচিকার মতো চারিদিকে সুখ দেখতে পাই কিন্তু জীবনের সুখ জিনিসটা যে কি তারা কখনো তা উপলব্ধি করতে পারে না। আসলে এদের মত কষ্টের জীবন আর কারো কখনো থাকেনা।


এজন্য একটা জিনিস আমাদের সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে আমরা কখনো সুখের পিছনে ছুটবো না। আমরা যদি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের ভালো কাজকর্ম করতে পারি এবং জীবনে বড় হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে পারি তাহলে সুখ আমাদের পিছনে ছুটে বেড়াবে। একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে যে আমরা যদি অন্য কাউকে খুশি করতে পারি তাহলে ওই খুশি দেখে আমাদের জীবনের আসল খুশিকে আমরা উপলব্ধি করতে পারব। কেননা যারা অন্যের খুশিতে নিজেরা খুশি হতে পারে তারাই কিন্তু প্রকৃত ভালো মানুষ এবং এই মানুষদের মতো মানুষ এই পৃথিবীতে বর্তমান সময় খুঁজে পাওয়া বড়ই কঠিন। তাইতো নিজেদেরকে অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে এবং মরীচিকার মতো সুখের পিছনে কখনো ছুটে বেড়ালে চলবে না।

✠ সুখের মরীচিকা ✠


মরীচিকার মতো আমি সুখ খুঁজে বেড়াই,
কিন্তু কোথাও আমি সুখ পাই না।
সবাই বলে হতভাগা এ জীবন আমার,
তাইতো সুখ কপালে আমার জোটে না।


কত মানুষ কত বেশি আনন্দে থাকে,
তাদের দেখে আমার হিংসা হয় না।
শুধু কষ্ট আমার এই জীবনে,
পরিবারকে কেন আমি সুখে রাখতে পারি না।


যত কষ্ট পাই আমি এই জীবনে,
এতে আমার কোন কিছু যায় আসে না।
পরিবারের লোকগুলোকে একটু সুখে রাখতে হলে,
ঘরে বসে থাকা আমার আর চলে না।


তাইতো সবার মুখে হাঁসি ফোটানোর জন্য,
দিনরাত আমি ছুটে বেড়াই।
কাজ করতে করতে জীবনের শেষ সময়ে,
সবকিছু থেকে আমি হারিয়ে যাই।


হারানো নিজেকে খোঁজার জন্য,
কোন কুল কিনারা আমি খুঁজে না পাই।
মরুভূমির মধ্যে আমি মরীচিকার মত,
নিজে বারবার আমি হারিয়ে যাই।


তবুও এই আশা জাগে আমার মনে,
মরীচিকার মাঝে হয়তোবা বাস্তবতা হবে।
একদিন আমি নিজেকে খুঁজে পাবো,
পৃথিবী ছেড়ে আমি মৃত্যুর পরে।


অভাগা এখন আমি পড়ে থাকি,
কেহ আমাকে আর ভালোবাসে না।
সবাই মনে করে কপালে আমার,
কখনো আর সুখ জুটবে না।


তাইতো মনটাকে শান্ত করে আমি,
নিজের মনোবলকে আবার দৃঢ় করি।
মনোবল যদি আমার শক্ত থাকে,
জীবনে আমি অবশ্যই জয়ী হব।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

সবাইকে ধন্যবাদ।

আমার নাম নিলয় মজুমদার। আমি একজন কম্পিউটার সাইন্সের ছাত্র। আমার মাতৃভাষা হলো বাংলা। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি। আমি একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। নতুন নতুন জিনিস তৈরী করতে আমি খুব ভালোবাসি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে আমার খুব ভালো লাগে।