তোরা মানুষ হবি কবে নাটকের রিভিউ। |
---|
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
---|
নাটকের নাম | তোরা মানুষ হবি কবে |
---|---|
পরিচালক | মহিন খান |
অভিনয় | শামিম হাসান সরকার, তানিয়া বৃষ্টি সহ আরো অনেকে |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |
প্রথমে নাটকটি শুরু হয়ে যাবে এবং এখানে একজন ব্যক্তিকে দেখানো হয় যে বাজার করছিল। সে অনেক টাকার বাজার করার পরে টাকা দেওয়ার সময় আর টাকা দেয় না। সে বলে যে এখন সে টাকা দিবে না৷ সে পরে টাকা দিবে৷ তখন দোকানদার বলে যে তার আগেরও অনেক টাকা বাকি রয়ে গিয়েছে এবং এখনো যদি সে টাকা না দেয় তাহলে দোকানদার কিভাবে ব্যবসা করবে৷ তখন তিনি তাকে অনেক জোর গলায় বিভিন্ন ধরনের কথা বলতে থাকে৷ পরবর্তীতে সেখানে নায়ক এবং তার বন্ধুবান্ধবরা তাকে জিজ্ঞাসা করতে থাকে যে কি হয়েছে। তখন দোকানদার তাকে সবকিছু খুলে বলে এবং সেখানে যে ব্যক্তি বাজার করছিল তার বাসার কাজের লোক ছিল৷ সেও তার দুঃখের কথা বলতে থাকে৷ সে বলে যে সে অনেক মাস ধরে তাদের বাসায় কাজ করে আসছে। কোন ভাবে তিনি তাকে বেতন দেয় না৷ তখন নায়ক এবং নায়কের বন্ধু-বান্ধবরা তাকে বিভিন্ন ধরনের কথা বলে৷ তখন তিনি তাদের উপর অনেকটাই জোর খাটাতে থাকেন৷ তখন তারা লাইভে চলে যায়৷ তার যে সকল কর্মকান্ডগুলো রয়েছে সব কিছুই লাইভের মাধ্যমে মানুষের কাছে প্রকাশ করে৷ তখন তিনি তার ভুল স্বীকার করে এবং লাইভ ডিলেট করার জন্য বলে৷ তবে কোনভাবেই তারা লাইভ ডিলিট করে না৷ এর পরবর্তীতে যখন ওই ব্যক্তির মেয়ে অর্থাৎ নায়িকা এই লাইভটি দেখে তখন সে নায়ককে অনেক ধরনের কথা বলে। তার সাথে অনেক ঝগড়া করতে থাকে৷ কারণ তার বাবার অপমান নায়ক করেছিল৷ এর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য নায়িকাও নায়কের যে ভাইয়ের অফিস ছিল সেখানে সে যখন সুদ খাচ্ছিল তখন সেখানে সে পুলিশ নিয়ে হাতেনাতে তাকে ধরে ফেলে। এভাবে সে নায়ক এর কাছ থেকে প্রতিশোধ নিয়ে নেয়।
এরপর একদিন রাতের বেলা যখন মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয় যে এলাকায় ডাকাত ঢুকেছে৷ তখন সবাই এলাকার মানুষজন একসাথে বের হয়ে আসে। তারা সবাই মিলে একসাথে ডাকাতের খোঁজ করতে থাকে। তারা সবাই একসাথে যেভাবে ডাকাতের খোঁজ করছিল তা খুব সুন্দর ছিল৷ এর পরবর্তীতে দেখানো হয় যে নায়িকা একটি রিকশা করে তার বাসার সামনে এসেছিল। তার কাছ থেকে কিছু টাকা যখন চাচ্ছিল তখন নায়িকা তার উপর অনেক জোরালো গলায় চিৎকার করছিল৷ তাকে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলছিল৷ তখন সেখানে নায়ক আসে এবং নায়ক নায়িকাকে বলে যে রিক্সাওয়ালা মানুষ, সে সারা দিন কষ্ট করে অল্প কিছু টাকা রোজগার করে৷ তাকে একটু টাকা বাড়িয়ে দিলে কি হয়৷ এর পরবর্তীতে দেখানো হয় ট্রাফিক পুলিশ কোনভাবেই কোন ধরনের কাজ করছে না৷ প্রতিনিয়তই রাস্তায় যে জ্যাম লেগে রয়েছে৷ কোনো গাড়ি কোনভাবেই নিয়ম পালন করছে না৷ ট্রাফিক পুলিশ এক পাশে বসে শুধুমাত্র তার হাজিরা দিচ্ছে৷ তখন নায়ক এবং নায়কের বন্ধু-বান্ধবরা মিলে তাকে বুঝিয়ে বলে। সবকিছু বুঝিয়ে বলার পরে সে আবারো তার দায়িত্বে অনেকটাই আগ্রহী হতে থাকে৷ এর পরবর্তীতে সবকিছুই আবারো খুব সুন্দরভাবে চলতে থাকে।
তারপর দেখানো হয় যে নায়িকা এবং নায়িকার বন্ধু বান্ধবরা রয়েছে তারা সবাই মিলে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ করছিল। সেই ত্রাণগুলো তারা দেওয়ার জন্য বন্যার্তদের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে এরকম প্ল্যান করছিল। তখন তারা সবাই প্ল্যান করে যে বন্যার্তদের জন্য তারা যে টাকাগুলো ওইখানে পেয়েছে তার ৯০% দিয়ে তারা ভ্রমণ করবে। যে ১০% টাকা বেঁচে থাকবে সেগুলো দিয়ে তারা বন্যার্তদের জন্য খাবার নিয়ে আসবে৷ তবে নায়ক ওখানে ঘটনাটি দেখতে পায় তখন সে তাদেরকে খুব ভালোভাবে সবকিছু বুঝিয়ে বলে৷ কারণ বন্যার্তরা এখানে পরিস্থিতির শিকার হয়েছে৷ তারা কোনোভাবেই গরিব নয় অথবা তাদের কোন টাকা পয়সার অভাব নেই৷ এখন যদি তারা কিছু পরিমাণে খাবার নিয়ে গিয়ে তাদেরকে ছোট করে তাহলে তা কোনভাবেই সঠিক হবেনা৷ একই সাথে তারা এখানে বন্যা ট্যুর দেওয়ার কথা বলছিল সে বিষয়টিও নায়ক তাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে বলে৷ নায়ক তাদেরকে এই কথাটিও ভালোভাবে বুঝিয়ে বলে৷ তারা যেন এখন বন্যা ট্যুর না দিয়ে কোন একটা ভালো, বিশ্বস্ত সংগঠনকে এই টাকাগুলো দেয়৷ যাতে করে তারা ত্রাণের সবকিছুই বিপদগ্রস্ত মানুষদেরকে পৌঁছে দিতে পারে৷ এর পরবর্তীতে সব কিছু শেষ হয়ে যাওয়ার পরে নায়ক এবং নায়িকার মধ্যে যে সম্পর্ক ছিল সেটি যেরকম প্রথমে খারাপ ছিল তা পরবর্তীতে ধীরে ধীরে সম্পর্ক ভালো হতে থাকে৷ তাদের দুজনে মিল হতে থাকে৷ কারণ তাদের যে মনোভাব ছিল দুটি এক ছিল এবং এভাবেই নাটকটি শেষ হয়ে যায়।
খুব সুন্দর ছিল এই নাটকটি৷ আমি যখন এই নাটকের নাম প্রথমে ইউটিউবে দেখে নিলাম তখন আমি ভাবছিলাম যে ঠিক বাস্তবিক কিছু ঘটনাকে, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাকে নাটকের মধ্যে ফুটিয়ে তোলা হবে৷ ঠিক তেমনি এই নাটকের মধ্যে সবকিছুই সাম্প্রতিক ঘটনাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷ ধাপে ধাপে যেভাবে সবকিছু ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তা খুব সুন্দর ছিল৷ প্রথমেই যে দুর্নীতিবান ব্যক্তি ছিল এবং সে অনেক অত্যাচারী ছিল৷ প্রতিবাদ করার মাধ্যমে তিনি তার সৎ পথে ফিরে আসেন৷ এর পরবর্তীতে অনেক ধরনের ঘটনা এখানে ফুটিয়ে তোলা হয়৷ বন্যার্তদের সাহায্য করার লক্ষ্যে যে মানুষরা ট্যুরের কথা ভাবছিল সে ক্ষেত্রেও নায়ক তাদেরকে বোঝায়। তারা বুঝতে পারে এর পরবর্তীতে আরো অনেকগুলো ঘটনাকে এখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷ এখানে প্রতিবাদ মুখর অনেক ঘটনা ফুটে উঠেছে যা আমরা সাম্প্রতিক সময়ে অনেকেই দেখেছি৷ এই নাটকের মধ্য দিয়ে যেভাবে প্রতিবাদপ্রবন মনোভাব এবং শিক্ষনীয় কিছু বিষয়কে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তা দেখে আমরা অনেক কিছু এখান থেকে শিখতে পারি। বাস্তব জীবনে আমরা সবগুলো ঘটনা আমরা দেখে আসছি। বাস্তবিক সবগুলো ঘটনাকে যেভাবে এখানে নাটকের মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ প্রবণ মনোভাব এবং শিক্ষনীয় বিষয়কে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তা খুব সুন্দর ছিল। আমি যখন এখান থেকে এই নাটকটি দেখলাম তখন আমার চোখের সামনে সবকিছুই খুব ভালোভাবে ভেসে আসছিল৷ আমি মনে করি যে আপনারাও যখন এই নাটকটি দেখে নিবেন তখন আপনাদের মনের মধ্যেও এরকম কথাগুলো মনে আসবে এবং আপনাদের চোখের সামনে সব কিছুই ভেসে আসবে।
আমার ব্যক্তিগত মতামত অনুসারে নাটকের রেটিংঃ |
---|
ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি।আগামিতে অন্য কোন নাটকের রিভিউ নিয়ে আবারও হাজির হবো।ভালো থাকবেন সবাই।আর কষ্ট করে রিভিউটি যারা পড়ছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | নাটক রিভিউ । |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।