এক বন্ধুর আবেগ জড়ানো প্রথম প্রেমের একটি গল্প।পর্ব-৩

nevlu123 -
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।

এক বন্ধুর আবেগ জড়ানো প্রথম প্রেমের একটি গল্প।


Source

আজকে আমি আমার এক বন্ধুর প্রথম প্রেমের একটি গল্প শেয়ার করতে যাচ্ছি।হয়তো এক পর্বে তুলে ধরা সম্ভব নয় তাই কয়েক পর্বে শেয়ার করবো।তবে গল্পটা আমি তার আবেগ জড়ানো নিজ কন্ঠে শুনেছি। তো কথা না বাড়িয়ে শুরু করি বন্ধুর প্রথম প্রেমের গল্প।প্রেম নিয়ে প্রথমেই দু-চারটা লাইনে নিজের মত করে কবিতা লিখি, তারপর গল্পতে ফিরে যাবো।

প্রেম সে তো মরীচিকা,
ধরা নাহি যায়।
যার নসিবে রাখে বিধাতা,
সেই শুধু পায়।
কেউবা আবার প্রেম করে,
সদ্য প্রেম হারায়।
কেউবা আবার প্রেম করে,
বিয়ের কাঠগড়ায়।

আমার বন্ধুর প্রেমের কথা বলতে গেলে কোথায় থেকে শুরু করবো, কোথায় শেষ করবো সেটা আসলে বলা মুশকিল। তাই চিন্তা করলাম একপাশ থেকে শুরু করি যেখানে গিয়ে শেষ হয়।তবে গল্পের আকর্ষণ বজায় রাখতে বন্ধুর জায়গাতে আমি নিজেকেই কল্পনা করে গল্পটি লিখছি চলুন শুরু করা যাক।

দ্বিতীয় পর্বের শেষ যেখানে হয়েছিল।👇

বাড়িতে গিয়ে ফ্যামিলির লোকজনকে জিজ্ঞেস করলাম মেহমান কি চলে গেছে?তখন চাচাতো বোন বলে তারা তো অনেক আগেই চলে গেছে। তখন তো মাথায় আসমান ভেঙ্গে পড়লো।কেন যে খেলতে গেলাম কেন যে তাকে হারালাম।তবে তখনো জানতাম না যে মেয়েটি কার সাথে এসেছিল এবং কার সাথে গেলো।কারণ ঘরে অনেক মেহমান ছিল এখন কাকে জিজ্ঞাসা করি কার সাথে এসেছে এবং কে কি মনে করে সেজন্য লজ্জায় কাউকে জিজ্ঞাসাও করতে পারেনি।আর এভাবেই মেয়েটি আমাদের বাড়ি থেকে চলে গেল। যাওয়ার সময় এক পলকও দেখা হলো না।
তৃতীয় পর্ব শুরু।👇

তখন মনে হলো অনেক আপন কেউ একজন আমাকে ছেড়ে চলে গেছে।তবে তখন জানতে পারলাম যে মেয়েটা কার সাথে এসেছিলো।যাইহোক কি আর করার তখন ভারাক্রান্ত মন নিয়ে চলে গেলাম বাইরে নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য। অবশেষে পরের দিন দেখতে পাই আমার এক খালামণি মানে হচ্ছে আমার জেঠিমার বোন এসেছে আমাদের বাড়িতে, আর সেই মেয়েটি গত কাল ওই খালামণির সাথেই এসেছিলো।

তখন আমি জেঠিমার বোন মানে খালামণিকে জিজ্ঞেস করলাম, খালামণি আপনার সাথে যে মেয়েটা এসেছে সেটা কে। তখন তিনি পরিচয় দেন সেই মেয়েটা ওই খালামনির জা এর মেয়ে। তার সাথে নিয়ে এসেছে আমাদের বাড়িতে।তখন খালামণি আমাকে বলে তার নাম্বারে একটা কল দিতে। তো তখন আমি বললাম আপনার নাম্বার তো আমার কাছে নেই।তিনি বলেন আমার মোবাইলটা রেখে এসেছি, একটা কল দাও আর তুমি এখন কল দিলে ও ধরবে।

তখন খালামণি সর্বপ্রথম ওই মেয়েটার নাম নিলো আমার সামনে। আর আমি জানতে পারি মেয়েটার নাম।তবে নাম শুনে আমি ন্যাকামো করে জিজ্ঞেস করলাম খালামণি ও কে।খালামণি বললো গতকালকে আমার সাথে যে মেয়েটা এসেছিল ওই মেয়েটা। তখন আনন্দে মনটা আনচান আনচান করছিল মেয়েটার নাম অন্তত জানতে পারলাম।

তারপর আমি আমার এক বন্ধুর দেওয়া একটি বাংলা লিংক সিম দিয়ে মেয়েটিকে কল দিই। মানে আমার খালামণির ফোনে কল দিলাম। কল দেওয়াতে ফোনটি উঠালো সেই মেয়েটি আমার মোবাইলে ব্যালেন্স ছিল 2 টাকা 67 পয়সা। সেই টাকা দিয়ে বড়জোর দেড় মিনিটের মত কথা বলতে পারলাম। প্রথমেই আমাকে সালাম দিলো, আমিও দিলাম।

তখন কূশল বিনিময় করলাম তারপর আমাকে বলে যে আপনি কে? আমি বললাম আমাকে চিনতে পারলেন না, আপনিই তো আমাকে নাম্বারটা দিয়েছেন। তখন সে খুব সুন্দর ভাবে টেনে ন্যাকামো করে একটা ডাক দিয়ে বললো উউউহহহ আমি দিয়েছি?আর এরই মাঝে আমার ফোনের ব্যালেন্সটা শেষ হয়ে যায়।যাই হোক খালামণিকে বুঝতে দিলাম না যে আমি ওই মেয়েটার ভালোবাসায় ফিদা হয়ে গেছি।

তখন আমি রুম থেকে বাইর হয়ে চলে গেলাম এক প্রিয় বন্ধুর বাসায়। তাকে বাসা থেকে বের করে অনেক জোরে জড়িয়ে কোলাকুলি করলাম আর হাসতে লাগলাম। তখন সে জিজ্ঞেস করল কিরে কি হয়েছে আমি বললাম বলবো চল বাইরে গিয়ে তাকে সম্পূর্ণ বিষয়গুলো বলি এবং নিজের ভালোবাসা অনুভূতি শেয়ার করলাম। সেই শুরু হলো মনের ভিতর এক ভালবাসা কিভাবে যে একটা মেয়েকে এভাবে পছন্দ করে ফেললাম নিজে কখনো কল্পনাও করিনি।

এতো লাজুক একটা ছেলে হয়ে কিভাবে মেয়েটাকে ভালোবেসে ফেললাম। যাই হোক পুনরায় আগের পয়েন্টে ফিরি।মেয়েটির মুখের ভাষা ও গলা এত মিষ্টি এত সুন্দর ছিল যেটা আমার কানে এখনো বাজে, এত সুন্দর ভাবে কথা বলছিল মেয়েটি। পরের দিন খালামণি চলে যায় এবং খালামণি থেকে আমি তার নাম্বারটা সেভ করে রাখি। বলি আমি যে কোন সময় আপনাকে দেখতে আসবো।

খালামণি অনেক আন্তরিক ছিলো।বললো আমার বোনের কোন ছেলে নেই। তুই আমার বোনের ছেলের মত, যে কোন সময় আসবি খালামণিকে দেখার জন্য। আমি বললাম ঠিক আছে খালামনি আমি যখনই আপনাদের ওদিকে যাব আপনার সাথে দেখা করে আসবো। খালামণির প্রতি অনেক বেশি আন্তরিক হয়ে গেলাম। কিন্তু আপনারা বুঝতে পারছেন আমার তো টার্গেট আমার সেই প্রথম ভালবাসাকে দেখতে হবে কাছে থেকে। তাই এই বাহানা বানানো আর কি।আজ এতটুকু বাকিটা আগামী পর্বে।

আগের পর্ব গুলো পড়তে চাইলে এখানে লিঙ্ক রয়েছে পড়ে নিতে পারেন।
https://steemit.com/hive-129948/@nevlu123/yrypv
https://steemit.com/hive-129948/@nevlu123/2ea7ll

তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।


VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy





ফোনের বিবরণ

ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণঅনুভূতি।
ক্যামেরা.মডেলএম ৩২
ক্যাপচার@nevlu123
সম্পাদনারিসাইজ &সেচুরেশন।
অবস্থানবাংলাদেশ

𝒩ℰ𝒱ℒ𝒰123

আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।

সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং এই পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile