"এসো নিজে করি"- ইভেন্টে বানিয়ে ফেললাম অনেকটাই পরিবেশবান্ধব হাওয়াকল।

neelamsamanta -

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,



আশাকরি আপনারা বেশ ভালোই আছেন৷ আমিও ভালো আছি। দেখতে দেখতে ছুটির দিন ফুরিয়ে এলো। আগামীকাল আমার ফেরার ট্রেন। সারাদিন গোছগাছের হাজার ব্যস্ততার মধ্যেই ঠিক করলাম একটা কিছু বানাই৷ এমাসের এসো নিজে করি সপ্তাহ শেষের পথে এদিকে সময়ের অভাবে কিছুই করে উঠতে পারিনি৷

যেহেতু দেশের বাড়িতে আছি আর গ্রামেই আছি তাই গ্রামের সমস্ত পরিবেশ বান্ধব জিনিসপত্রগুলো চোখের সামনে যেন ঘুরঘুর করে। এই সব দিয়েই কিছু একটা বানাবো ভাবছি মাথায় এলো হাওয়াকলের কথা৷ ধান চাষ বাবাদের বাড়িতে হয় না৷ তাই মাকে বললাম খড় জোগাড় করে দিতে। মা পাশের বাড়ির কাকিমার থেকে নিয়ে এনে দিলেন৷ বাকি জিনিস আমিই ঘরে খুঁজে বার করেছি। সকাল সকাল হলুদ কাগজের ঠোঙায় মোড়া পাঁউরুটি ডিমের টোস্ট খেয়ে প্রায় ন'টা নাগাদ বসে গেলাম। সাড়ে এগারোটায় বাবা বাজার থেকে বাড়ি ফিরলেন যখন কান্ডকারখানা দেখে আমারই ছোটবেলায় স্মৃতি আওড়াচ্ছিলেন৷ আমি নাকি ছোট থেকেই ঝাঁটা শুকনো পাতা বাঁশের কাঁঠি এই সব নিয়েই ছুটির দিনগুলো কাটিয়ে দিতাম। বিশ্বাস করুন আমার সেসব যে বিরাট মনে আছে তা নয়৷ খুবই আবছা স্মৃতি। তবে বড় বেলার ক্রাফটের কাজ মনে পড়ে। যাইহোক বেলা একটা দেড়টা নাগাদ যজ্ঞ শেষ হল৷ খিদেও পেয়ে গেছিল। আবার এবাড়ি আসার তাড়া। কোনমতে সব বোঁচকাবুচকি বেঁধে চলে এলাম৷ এখন শান্ত হয়ে বসে ব্লগ লিখছি।

হ্যাঁ বন্ধুরা, আজ আমি এসো নিজে করি সপ্তাহের জন্য বানিয়েছি পরিবেশ বান্ধব (যদিও পুরোটা না) হাওয়া কল৷ চলুন উপকরণ ও কিভাবে বানিয়েছি সেই সব কিছু দেখাই।

🌼উপকরণ🌼




🌿হাওয়া কল বানানোর পদ্ধতি🌿


ধাপ-১

এই ভাবে বেসটা মোটা তৈরি করলাম।

ধাপ-২

এভাবেই হয়ে গেল মিলের দেওয়াল।

ধাপ-৩
ধাপ-৪
ধাপ-৫

এই কাজটি করতে সবথেকে বেশি সময় লেগেছে প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি। কারণ নানান জায়গা ফাঁকা থাকার ফলে ছোট বড় মাপের খড় কেটে কেটে একটা একটা করে ফেভিকল আঠা লাগিয়ে ছিটিয়েছি।

ধাপ-৬

সামনে কিছুটা ফাঁকা রেখেছি কারণ রাস্তারও জায়গা দরকার।

ধাপ-৭

তৈরি হলো হাওয়া কলের পাখার ব্লেড বা ডানা৷

ধাপ-৮
ধাপ-৯

এভাবেই প্রায় তিন চারঘন্টা ধরে তৈরি করে নিলাম বেশ খানিকটা পরিবেশবান্ধব হাওয়াকল

🪷🪷অন্তিম দর্শন🪷🪷


বন্ধুরা, কেমন লাগল আমার অনেকটা পরিবেশ বান্ধব হাওয়াকল? আমার তো বেশ ভালোই লেগেছে। বহুদিন বাদে এমন কিছু বানালাম। বাবা মা দু'জনেই বেশ খুশি৷ বাড়িতে নতুন বইয়ের আলমারি করা হয়েছে৷ মা সেখানেই তুলে রেখেছে৷ কি জানি কতদিন ভালো থাকবে৷ তবে আজ আছে৷ অনেকদিন পর আমার হাতের কাজ দেখে বাবা মা দুজনেই বেশ খুশি৷ আপনাদের কেমন লাগল জানার অপেক্ষায় রইলাম।

আবার আসব নতুন কিছু নিয়ে৷ আজ এ পর্যন্তই।

টা টা



পোস্টের ধরণআমার বাংলা বল ইভেন্ট, এসো নিজে করি
ছবিওয়ালানীলম সামন্ত
মাধ্যমস্যামসাং এফ৫৪
লোকেশনপশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ
ব্যবহৃত অ্যাপক্যানভা,ইনশট



১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক খ্যাঁককে





আমি নীলম সামন্ত। বেশ কিছু বছর কবিতা যাপনের পর মুক্তগদ্য, মুক্তপদ্য, পত্রসাহিত্য ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করেছি৷ বর্তমানে 'কবিতার আলো' নামক ট্যাবলয়েডের ব্লগজিন ও প্রিন্টেড উভয় জায়গাতেই সহসম্পাদনার কাজে নিজের শাখা-প্রশাখা মেলে ধরেছি। কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধেরও কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গের নানান লিটিল ম্যাগাজিনে লিখে কবিতা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷ ভারতবর্ষের পুনে-তে থাকি৷ যেখানে বাংলার কোন ছোঁয়াই নেই৷ তাও মনে প্রাণে বাংলাকে ধরে আনন্দেই বাঁচি৷ আমার প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ হল মোমবাতির কার্ণিশইক্যুয়াল টু অ্যাপল আর প্রকাশিতব্য গদ্য সিরিজ জোনাক সভ্যতা



কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সব্বাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ ভালো থাকুন বন্ধুরা। সৃষ্টিতে থাকুন।

🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾