নার্সারিতে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি। (প্রথম পর্ব)

nazmul01 -

শুভ সকাল 🌅
আজ ২২ ই ডিসেম্বর,
রবিবার ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।

আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ জেলা, বাংলাদেশ থেকে।


"ছবিটি InShot অ্যাপস দিয়ে তৈরি"।

হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নার্সারিতে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি পোস্ট নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি।

আমার বাসার পিছনে বেশ কিছু খালি জায়গা পড়ে ছিল। তাই আমি চিন্তা করেছি খালি জায়গায় কিছু শাকসবজি রোপন করবো। শীতকালে শাক-সবজি ফলন খুব ভালো হয়। তাই আমি গত সপ্তাহে গিয়েছিলাম নার্সারিতে চারা কেনার জন্য। বেগুন, টমেটো, কাঁচা মরিচ, ফুলকফি শীত লাউ জন্য প্রস্তুত করেছিলাম৷ বর্তমান বাজারে সিন্ডিকেটের জন্য এখনো শাকসবজির দাম আকাশচুম্বী। তাই নিজের জমিতে চাষ করে শাকসবজি হলে নিজেও খেতে পারবো এবং আত্মীয়-স্বজনদের কেউ দিতে পারব। আমি জানতে পারি কিছুদিন আগে আকুয়া বাইপাশ র‍্যাব অফিস মোড়ের সমনে নতুন একটি নার্সারি হয়েছে। তাই আমি চলে গিয়েছিলাম কিছু চারা কেনার জন্য। সে অনুভূতি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

ছবি তোলার যন্ত্র:- শাওমি রেডমি ৯
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ

নার্সারিতে ঢুকে প্রথমে আমি বিভিন্ন ধরনের কলবের লেবু চারা এবং ফুল ফলের চারা দেখতে পাই। নার্সারিতে চারাগুলোকে খুব যত্ন করা হয়। তাই প্রতিটি চারা সতেজ এবং পরিপক্ক হয়ে ওঠে। আমি যেহেতু শাকসবজির চারা নেওয়ার জন্য এসেছিলাম তাই সোজা গ্রিনহাউজ ঘরে চলে যাই। তবে নার্সারিতে গেলে মনে হয় সব কিছু কিনে নিয়ে বাড়িতে চলে যাই। আলাদা আলাদা সেডের ভিতরে খুব সুন্দর লাইন করে চারা রোপন করা হয়েছে। দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।

ছবি তোলার যন্ত্র:- শাওমি রেডমি ৯
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ

এই নার্সারিতে আমি প্রথমবার গিয়েছিলাম। অনেক বড় এরিয়া নিয়ে নার্সারিটি তৈরি করা হয়েছিল। ছোটবেলায় পাঠ্যপুস্তকে পড়েছিলাম গ্রীন হাউস ঘর। নার্সারিতে গিয়ে সে গ্রিনহাউস ঘর দেখার সৌভাগ্য হয়। সেখানে মূলত আদ্রতা নিয়ন্ত্রনে ও শুষ্ক অবস্থায় চারা রোপন করা হয়। আমি মূলত ফুলকপি, কাঁচা মরিচ এবং বেগুনের চারা নেওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। প্রতিটি চারা আধুনিক প্রযুক্তিতে রোপন করা হয়। চারা রোপনের অপরূপ দৃশ্য দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। প্রতিটি চারা খুব সুন্দরভাবে বেড়ে উঠছিল। আমি তখন বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করি। কিন্তু নার্সারিতে ভিন্ন ধরনের মাটি ইউজ করা হয়। তাই গাছের খাদ্য সঠিক পরিমানে পেয়ে গাছগুলো খুব দ্রুত বেড়ে ওঠে। প্রতিটি চারা সেডের সামনে সে বীজের প্যাকেট ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। প্যাকেটে সেই বীজের গুনাগুন সম্পর্কে লেখা থাকে। যারা কিনতে আসবে তারা খুব সহজে বুঝতে পারবে প্যাকেট গুলো দেখে। আমি এখান থেকে বেশ কিছু চারা কিনে নিয়েছিলাম আমার ফসলের জমিতে রোপন করার জন্য।

ছবি তোলার যন্ত্র:- শাওমি রেডমি ৯
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ

নার্সারিতে প্রায় সকল ধরনের শাকসবজির চারা আমি দেখতে পাই। শুধু তাই নয় প্রতিটি সবজি বিভিন্ন জাতের সেখানে দেখতে পেয়েছিলাম। হাইব্রিড দেশি-বিদেশি উচ্চ ফলনশীল জাতের চারা সে নার্সারিতে উৎপাদন ও বিক্রি করা হয়। নার্সারিতে কর্মরত একটি ছোট ছেলে আমাকে বিভিন্ন চারা সম্পর্কে বিস্তারিত বলছিল। এভাবে চারা উৎপাদন করা আমি এর আগে কখনো দেখিনি। তখন আমি নার্সারির ভিতরে একটি সেলফি দিয়েছিলাম। সকাল সকাল নার্সারিতে চারা কিনতে গিয়ে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। সে চারাগুলো আমার ফসলী জমিতে রোপন করেছি। যাইহোক দ্বিতীয় পর্বে আরোও বেশ কিছু তথ্য এবং ফুল ও ফল সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।💞

বিভাগভ্রমণ পোস্ট।
ডিভাইসশাওমি রেডমি ৯।
বিষয়নার্সারিতে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি (প্রথম পর্ব)।
লোকেশনআকুয়া বাইপাশ র‍্যাব অফিস মোড়, ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
রাইটার@nazmul01

🙎‍♂️আমার পরিচয়🙎‍♂️

আমি মোঃ নাজমুল হাসান, আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং ঢাকা বিভাগের ময়মনসিংহ জেলায় থাকি। আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি বাঙালি। বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে আমি গর্ব বোধ করি। আমি একজন শিক্ষার্থী এবং ডিগ্রিতে অধ্যয়নরত। আমি বর্তমানে বাংলাদেশে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছি। ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া কবিতা,আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না করা আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের সাথে ঘুরতে যাওয়া এবং বাহিরে খাবার খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটি একটি পরিবারের মতো। আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।

ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্যএখানে ক্লিক করেন