লাইফ স্টাইল :- শেষ থেকে শুরু, বিদায়ের মুহূর্ত। ভালোবাসার বন্ধনের জন্য নাশিয়ার কান্না kibreay001 জন্য।

narocky71 -

ABB 21 ডিসেম্বর ২০২৪

বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম।

নাশিয়া kibreay001 চাচ্চু জন কান্না করার ভিডিও

https://youtube.com/shorts/Y0qE0Z0Vg9U?feature=share

শেষ থেকেই শুরু করলাম। আসলে ইতিমধ্যে সবাই জানেন আমরা ঘুরতে বের হয়েছিলাম। স্মৃতিগুলো খুবই মধুর ছিল। সিদ্ধান্ত নিয়েই আমরা কুষ্টিয়া মেহেরপুর ঢাকা ভ্রমণ করেছিলাম। সেই গল্পটা না হয় ধীরে ধীরে আপনাদের সবার মাঝে শেয়ার করব। ভ্রমণের মধ্যে মেহেরপুর থেকে বিদায়ের সময় টা আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আসলে অল্প কিছুদিনের মধ্যে এত ভালবাসা হতে পারে।

আমরা মাত্র চার থেকে পাঁচ দিন ছিলাম মিরপুর কুষ্টিয়া। এর মধ্যেই @kibreay001 সাথে নাশিয়ার সম্পর্কটা অনেক বেশি হয়ে গিয়েছে। আমাদের থেকেও তার সাথে বেশি সময় কাটাতো। দিনরাত তার সাথে যেন দীর্ঘদিনের সম্পর্ক এমনটাই বুঝা যেত। কিবরিয়া নিজেও তাকে অল্প দিনে আপনের চাইতেও যেন আপন করে নিয়েছে।

মজার বিষয় হল দিনের বেলা যেমনি সময় কাটে তারপর আসে রাত। রাত হলেও তার সাথেই থাকবে। আমাদের সাথে থাকবে না। কিছুক্ষণের জন্য যদি কিবরিয়া থেকে দূরে থাকে তখন কান্না করতে শুরু করে। একদিন সকালবেলা তার সাথে দুষ্টামি করতেছিল। কয়েক মিনিটের জন্য সে ওয়াশরুমে গিয়েছিল। তার মধ্যে এত বেশি কান্নাকাটি করছে, বাড়ির সব মানুষ তার কাছে চলে এসেছে। সবাই মনে করছে নাদিয়াকে কেউ মারতেছে।

রাতের বেলা ও তার কাছে থেকে যেত। গভীর রাতে আবার আমাদের কাছে চলে আসতো আবার কিছুক্ষণ থেকে আবার চাচ্চুর কাছে চলে যেত। এমন করে করে এই দিনগুলো কাটিয়েছি। সেখানে কাটানো মুহূর্তগুলো খুবই মনে পড়তেছে আজ। আমরা সেখানে কাটানো প্রত্যেকটি বিষয়ে আমরা ধীরে ধীরে প্রকাশ করব। আশা করি অনেক বেশি ভালো লাগবে। বিদায় বেলাটা ছিল খুবই দুঃখ ভরা।

আমরা যখন কিবরিয়া ভাইদের বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলাম তখন তার নানু এবং তার মা থেকে বিদায় নিয়েছি। তারা দুজন আমাদের সাথে এমনভাবে মিশেছেন মনে হলো যেন দীর্ঘদিনের সম্পর্ক আমাদের। দীর্ঘদিন পর্যন্ত আমাদের সাথে পরিচিত। আত্মীয়তার বন্ধন। কিছু কিছু বিষয়ে আমার হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে যা কখনোই বলার নয়। মাঝে মাঝে আমরা দুজন তার নানুর সাথে এবং মায়ের সাথে বসে বসে অনেক কথা বলতাম।

সেখানে আসার জন্য আমরা কোন গাড়ি পেলাম না। মিরপুর জেলায় ব্যান গাড়ির অনেক প্রচলিত। সে গাড়ি দিয়েই আমরা তাদের বাড়ি থেকে রওনা হলাম। এবং দীর্ঘ সময় সেই ব্যান গাড়ির মধ্যে ছিলাম। যা দেখে ভীষণ ভালো লেগেছিল। ভ্যানগাড়ি গুলো আমার কাছে খুবই রিক্সেবল মনে হয়েছিল। কারণ একটু ধাক্কা দিলেই যে কেউ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

এরপর আমরা সিএনজি স্টেশনে এসেছি। সেখানে দেখলাম বিদ্যুৎ ভাই আমাদের জন্য অপেক্ষা করতে ছিল। অবশ্যই এর আগে আমরা সবার থেকে বিদায় নিয়েছিলাম। এরপরেও বিদ্যুৎ ভাই ভালোবাসার তাগিদে চলে আসলো আবার দেখা করার জন্য। তখনো নাশিয়া বিদ্যুৎ ভাই এবং কিবরিয়া ভাই এর কাছে ছিল। শেষ মুহূর্তে যখন আমরা গাড়িতে উঠবো, তখন নাশিয়া কিবরিয়া ভাইয়ের কাছ থেকে আর আমাদের কাছে আসে না। বলতেছে আমি চাচ্চুর কাছে থাকবো। আমরা চলে যাওয়ার জন্য বলতেছে। তা কি আর হয়। এরপর জোর করে কিবরিয়ার কাছ থেকে নিয়ে নিলাম মেয়েটাকে। এরপর থেকেই শুরু করল কান্না।

কিবরিয়ার গলা থেকে তার হাত ছাড়তে চেনা অনেক কষ্ট হয়েছে। গলাটা ধরে রেখেছিল। তার কাছ থেকে আমাদের কাছে আসবে না শুধু কান্না আর কান্না। এই মুহূর্তটা এতই হৃদয়বিদারক ছিল যা কখনোই ভুলার নয়। সেজন্যই হয়তো আজ, শেষ থেকেই শুরু করলাম। এরপর গাড়িতে প্রায় দু ঘন্টা যাবত সে কিবরিয়ার জন্য কান্না করেছে। একটা সময় আমার হাতের মধ্যে এমন একটা কামড় দেয় যা অনেক বড় দাগ হয়ে যায়। আজ ৫ থেকে ৬ দিন হয়ে গেল কিন্তু আমার হাতের দাগটি এখনো গেল না। সেখান থেকে এসে আমরা ঢাকাতে ছিলাম এতদিন। গতকাল বাড়িতে আসি। মাঝে মাঝে এখনো প্রচুর ব্যথা করে হাতের মধ্যে। অল্প দিনের ভালোবাসা যে এত গভীর হয় তা এই মুহূর্তটা না দেখলে বুঝা যাবে না। আমার বাংলা ব্লগ আমাদের যেমন আয়ের আনন্দের ধারা দিয়েছেন তেমনি সবার সাথে ভালো সম্পর্ক করে দিয়েছে। যার কারণে হয়তো আজ আমরা মেহেরপুর কুষ্টিয়া শহর ঢাকায় আমাদের অনেকগুলো ইউজার সাথে দেখা করেছি এবং অনেক ভালো সম্পর্ক হয়েছে। যা আমাদের সারাজীবন মনে থাকবে। এভাবেই ভালোবাসার বন্ধন আমার বাংলা ব্লক পরিবার সবার হৃদয়ে যেন সারা জীবন থাকে এই কামনা করি।

যেখান থেকে আমাদের এই সম্পর্ক হয়েছে অর্থাৎ আমার বাংলা ব্লগ পরিবার থেকে তাহলে আমরা কখনোই এই পরিবারের বন্ধন ছাড়া প্রশ্নে আসে না। কখনোই এ পরিবারের সাথে বেইমানি করার প্রশ্ন আসেনা। কত বড় এক পরিবার দিয়েছেন আমাদের তা আমরা সবাই জানি। এ বন্ধন যদি আমরা নিয়মিত ধরে রাখতে পারি। অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারবো। এবং দাদার হাত ধরে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো। আমার বাংলা ব্লগ এর প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা। যার কারণে আজ আমরা এমন পরিবার পেয়েছি দাদার প্রতি অনেক ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা। এই কথা বলে আজকের মত এখানে শেষ করলাম। ধন্যবাদ সবাইকে।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীLifestyle
ক্যামেরাSamsung S23 Ultra
পোস্ট তৈরিnarocky71
লোকেশনবাংলাদেশ

নিজেকে নিয়ে কিছু কথা

আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)




VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy


আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ,
💖ধন্যবাদ💖