Better Life With Steem || The Diary game || 27 March 2024|| Today is a special day||

muktaseo -
বিশেষ দিনের প্রিয় কিছু মুহূর্ত

Hello,

Everyone,

আশা করি সকলে সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপা নিয়ে ভালো আছেন। আমিও সকলের আশীর্বাদ নিয়ে পরিবারসহ ভালোই আছি ।শত ব্যস্ততার মাঝেও আবার চলে আসলাম আমার প্রিয় প্লাটফর্মে আজকের এই বিশেষ দিনের কিছু কথা তুলে ধরতে।

প্রতিটি বাবা-মায়ের কাম্য থাকে তার একটি সুস্থ সন্তান এই পৃথিবীর আলো দেখুক এবং তাদের সকল অপূর্ণতা পূর্ণ করুক। আমাদের সেই স্বপ্ন সত্যি হলো ২৭ শে মার্চ এই তারিখে ।

মা না হলে মেয়েদের মাতৃত্বের স্বাদ পূর্ণ হয় না এই কথাটি একদমই সত্যি কথা । সেদিন ছিল সোমবার । ঢাকা সামরিক হাসপাতালে আমি ভর্তি হই ।তখন আর্মিবাবু প্রশিক্ষণের জন্য সৈয়দপুর ছিলেন । একজন আত্মসত্ত্বা স্ত্রীর কাছে তার স্বামীকে কাছে পাওয়াটাই সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। তবে সকল ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয় না।

সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসকগণ, আমার বাবা-মা এবং আমার শাশুড়ি মা সর্বদাই আমার পাশে ছিলেন ।তাদের সেবা ,যত্ন, ভালবাসা আমার ততটা কষ্ট হয়নি ।ডাক্তার এবং সিস্টাররা আমার সাথে এত সুন্দর ভাবে কথা বলছিলেন ।

আমি তখন সিএমএস এর গাইনি ওয়ার্ড ততটা ভালো চিনতাম না ।তখন আমি অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী । আমার বড় দাদা সব সময় আমার সঙ্গে ছিলেন । তখন দাদা মাস্টার্স ভর্তি হয়েছিল সবে মাত্র ।সব থেকে এটাই ভালো লাগলো যে , আর্মি বাবু কাছে ছিল না কিন্তু আমার চিকিৎসায় কোন ত্রুটি হয়নি।

যখনই চিকিৎসক আমাদেরকে বললেন ,আমার সিজার করতে হবে তখন দাদার সে কি কান্না তা আজও মনে পড়ে যায় ।আমি ততটা বুঝতে ছিলাম না। আমি ওটিতে হাঁটতে হাঁটতে গিয়েছিলাম । তারা সারাক্ষণ আমাকে গল্পের মাঝে এবং অনেক মিষ্টি মিষ্টি কথা বলছিলেন ।

আর্মি বাবুর একজন সহকর্মী একজন সেনা সদস্য রফিক ভাই পেপারে স্বাক্ষর করেন। ডাক্তারদের সাথে কথা বলা এবং সর্বদা আমাদের খোঁজখবর নেয়ার সকল দায়িত্ব নিয়েছিলেন ।

রাত ৯:০৫ মিনিটে সুন্দর ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান উপহার দিলেন সৃষ্টিকর্তা আমাকে। ওর স্পর্শে আমার দু’চোখে জল চলে আসে। তখন ইচ্ছে করছিল ওকে জড়িয়ে ধরি এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। তিনি আজ সবথেকে সেরা উপহার আমাকে দিয়েছেন ।

সেই দিনটি আজ । সন্তানকে পাওয়ার সেই প্রথম দিনটি কখনো ভুলতে পারে না মা ।শত ব্যস্ততার মাঝেও আমরা চেষ্টা করি এই দিনটি উদযাপন করতে ।প্রতিটা বাবা-মা সব সময় সন্তানের মঙ্গল কামনা করে ।

বাসা পরিবর্তনের জন্য এ বছর আমি কিছুই করতে পারিনি ।তাই ছোট্ট পরিসরের সন্ধ্যা বেলা মামনিকে নিয়ে ওর প্রিয় একটি রেস্টুরেন্টে গেলাম। সঙ্গে ছিল মামনির বান্ধবী ও আমরা ।

গতরাতে তোলা ছবি

আজকে যেহেতু আমার সে রকম কিছুই করবো না তাই গতকালকেই আমি মায়ের কাছে আমাদের মঙ্গলের উদ্দেশ্যে পূজো দিয়েছিলাম এবং একটি সোনার টিপ মাকে পড়িয়ে দিয়েছিলাম ।মা সবার মঙ্গল করুন ,সবাইকে ভালো রাখুক।

আমরা বিকাল ৫টার সময় বাসা থেকে বের হয়ে ”মাটির সাজ” রেস্টুরেন্টে যাই। সত্যি সেই পরিবেশটা অনেক সুন্দর ছিল। বরিশাল মেইন শহর থেকে একটু বাহিরে ।একদম গ্রামের মুক্ত পরিবেশে খুব সুন্দর একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ।

মাটি সাজ রেস্টুরেন্ট আসলে আমাদের গ্রামের বাড়ির কথা মনে পড়ে যায় । রাস্তার দুই পাশে সবুজ মাঠ, পাশে বিশখালী নদী ও মুক্ত পরিবেশে। অন্য   সময় এখানে অনেক লোক আসে যেহেতু এখন রোজার সময় তাই লোকজন নাই বললেই চলে 

যেহেতু এখন রোজার দিন তাই আমরা ইফতারের পরে খাবার গুলো অর্ডার করি । শুরুতেই আমরা ইফতারি আইটেম নিলাম ,তারপরে সুপ এবং অন্থন নিলাম , পরবর্তীতে সেট মেনু ও সফড্রিংক নিলাম ।

কিন্তু কি হবে আমরা যতটা চাইনিজ পছন্দ করি আর্মি বাবু ততটাই তার বিরোধিতা করেন । তিনি কখনোই চাইনিজ পছন্দ করেন না । তিনি সাদামাটা মানুষ । সে কাচ্চি বিরিয়ানি খুবই পছন্দ করেন। মাটন কষা ,সাদা ভাত ও ইলিশ মাছ এগুলো তার প্রিয় খাবার । আমরা মা মেয়ে বরাবরই চাইনিজটা খুবই পছন্দ করি ।

আর্মি বাবু আমাদের সাথে ইফতারি সুফ ও অন্থন নিয়েছিলেন । খাবার পর্ব শেষে আমাদের সেই মুহূর্ত চলে আসে। এবার আসলো কেক কাটার পালা । মামনির প্রিয় কেক দুটি। চকলেট কেক ও রেড ভেলভেট কেক । আজকে যেহেতু রেট পরেছে তাই আমি ওর জন্য রেড ভেলভেট কেক নিলাম ।

কেক কেটে সকলে মিলে ছোট্ট করে জন্মদিনের উৎসবটি পালন করলাম । এইতো সেদিনের কথাপ দেখতে দেখতে মেয়েটি বড় হয়ে যাচ্ছে ।সকলের ভালোবাসা ও আশীর্বাদ নিয়ে আমার মেয়ে একজন সুশিক্ষিত মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে।

সৃষ্টিকর্তার কাছে আমি সেই প্রার্থনা সব সময় করি, আমার সকল দায়িত্ব যেন সঠিকভাবে পালন করতে পারি। এই আশা রেখে আছে এখানেই শেষ করছি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং আমাদের জন্য আশীর্বাদ করবেন ।
|


◦•●◉✿ শুভ রাত্রি✿◉●•◦

Thank You So Much For Reading My Blog📖