ক্রিয়েটিভ রাইটিংঃ এ যেন আদিম যুগ

mostafezur001 -

আসসালামু আলাইকুম/আদাব
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরো একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। গত কয়েকদিন যাবত আমাদের দেশের অবস্থা কেমন ছিল সেটা হয়তো বা আপনারা সকলেই ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিটাকে আমরা যে কিভাবে সামাল দিয়েছি সেটা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। যাইহোক এই খারাপ অবস্থাতেও নতুন ধরনের একটা অনুভূতি লাভ করলাম যেটা আমরা মাঝে মাঝে চেয়ে থাকতাম। আমরা অনেকেই মাঝে মাঝে বলতাম যে যদি আদিম যুগে ফিরে যেতে পারতাম তাহলে হয়তোবা অনেক মনে করতে পারতাম। তেমনি একটা আদিম যুগের দেখা গেল পুরো বাংলাদেশের মানুষ। যেখানে ইন্টারনেট বিহীন একটা দিন ও কল্পনা করা যায় না সেখানে ছয় থেকে সাত দিন ইন্টারনেট সংযোগের বাইরে থাকলে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি যে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষের ইন্টারনেট হারানোর এই আর্তনাদ কতটা করুন ছিল।

যেহেতু ইন্টারনেট সংযোগ সব সময় থাকে তাই আমাদের কারোরই কোন জিনিস ডাউনলোড করার প্রয়োজন পড়ে না। যেহেতু ডাউনলোড করেন প্রয়োজন পড়ে না তাই আমরা নিজেরাও আর ডাউনলোড করি না। হঠাৎ যখন ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হয়ে গেল তখনই আমরা সকলে দিশেহারা হয়ে পড়লাম কিভাবে আমাদের সময় অতিবাহিত হবে। না পারছি কারো সাথে যোগাযোগ করতে না পারছি কোন ভাবে সময় অতিবাহিত করতে। আরো কষ্টের বিষয় হচ্ছে এই সময়টা আমাদেরকে বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে কারণ বাইরে পুলিশের হয়। যদিও আমি গ্রামে বসবাস করি তারপরও লক্ষ্য করে দেখেছি আমাদের গ্রামে এসে পুলিশ টহল দিয়ে যাচ্ছে যেন মানুষেরা বাড়ির বাইরে না আসে। তারপরেও খাঁচায় বন্দী হয়ে থাকা তো আর আমাদের দ্বারাই সম্ভব নয় তাই বেশিরভাগ সময়ে বাড়ির বাইরে কাটানোর চেষ্টা করতাম। আর খুঁজতে থাকতাম কার মোবাইলে কি ডাউনলোড করা আছে। আমার ভাগ্য ভালো ছিল যে আপনাদের আপু তার বাবার বাড়িতে যাবার জন্য আগে থেকেই বেশ কিছু নাটক সিনেমার ডাউনলোড করে নিয়ে গিয়েছিল। কথাটা মনে পড়ার পরেই আমি সেখানে চলে গেলাম এবং তার মোবাইল থেকে সব নাটক এবং সিনেমা নিয়ে আসলাম। আর সেই নাটক সিনেমা ভাগ করে দিলাম আমাদের গ্রামের প্রত্যেকটা ছেলেকে যেন তারা সঠিকভাবে সময় অতিবাহিত করার সুযোগ পাই। সত্য কথা আমরা এই মুহূর্তে অনেকটাই আদিম যুগের কিছুটা ছোঁয়া পেয়ে গেলাম। যাইহোক দীর্ঘ এই বিরতির পরে আমি আপনাদের মাঝে আবারো হাজির হবার সুযোগ পেয়েছি এজন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে অসংখ্য ধন্যবাদ। কারণ এই কোটা আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছে বাংলাদেশের অনেক ছাত্র-ছাত্রী। অনেকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে আবার অনেককে তো এখন পর্যন্ত খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না। তারা মারা গিয়েছে নাকি বেঁচে আছে কেউ জানে না। যাই হোক সেসব কথা বলছি না আজকের মত এ পর্যন্তই। পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্যে দিয়ে।

আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।

আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম

ফেসবুক টুইটার


VOTE @bangla.witness as witness



OR

SET @rme as your proxy

Posted using SteemPro Mobile