আমি
@monira999। আমি একজন বাংলাদেশী। আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। প্রত্যেক সপ্তাহে একটি করে নাটক রিভিউ শেয়ার করি। কিন্তু এই সপ্তাহে নাটক দেখার সময় একদমই হচ্ছিল না। অবশেষে খুঁজে খুঁজে একটি সুন্দর নাটক বের করেছি আর সেই নাটক রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করছি নাটক রিভিউ সবার ভালো লাগবে।
চরিত্রেঃ
- জিয়াউল ফারুক অপূর্ব(রাকিব)
- কেয়া পায়েল(মুনিয়া)
স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব
নাটকের শুরুতেই দেখতে পাই নাটকের নায়ক রাকিব এক্সিডেন্ট করে বিছানায় পড়ে আছে। এমন সময় তার মা সেখানে আসে। আর রাকিব জানতে পারে তার মায়ের সাথে আরো একজন এসেছে। সেই মেয়েটির নাম হল মুনিয়া। রাকিব মুনিয়ার কথা শুনে একদম রেগে গিয়েছে। রাকিব মুনিয়াকে একদম সহ্য করতে পারে না। মুনিয়া রাকিবকে অনেক পছন্দ করে। তাই রাকিব সবসময় মুনিয়ার থেকে নিজেকে দূরে রাখে। মুনিয়াকে সে একদমই পছন্দ করে না।
স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব
কিছুক্ষণ পরে মুনিয়া রাকিবের সাথে দেখা করতে আসে। আর মুনিয়াকে দেখে রাকিব বেশ রেগে যায়। সে তার মাকে বলতে থাকে সে কেন মুনিয়াকে তার সাথে এনেছে। মুনিয়ার অবশ্য এতে কিছুই যায় আসে না। সে হাসিমুখে সবকিছু মেনে নেয়। রাকিবের পাশে পাশে থাকার চেষ্টা করে। কারণ সে রাকিবকে অনেক ভালোবাসে। এমনকি রাকিবের সেবা যত্ন করার চেষ্টা করে। যাতে করে দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। অন্যদিকে রাকিব মুনিয়াকে একদম পছন্দ করত না। সব সময় তাকে দূরে সরিয়ে রাখে।
স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব
একদিন রাকিবের বন্ধু রাকিবের ফোন থেকে রাকিবের গার্লফ্রেন্ডকে ফোন করে আর এক্সিডেন্টের খবর জানায়। রাকিবের গার্লফ্রেন্ড রাকিবের সাথে দেখা করতে আসে। কিন্তু মুনিয়া রাকিবের গার্লফ্রেন্ডকে রাকিবের সাথে দেখা করতে দেয় না এবং বিভিন্ন রকমের তালবাহানা করে। এরপর যখন রাকিবের বন্ধু ও রাকিবের গার্লফ্রেন্ড দুজনে একসাথে আসে তখন মুনিয়া বাধ্য হয় তাদেরকে ভেতরে আসতে দিতে। এরপর তারা দুজনে মুনিয়ার নামে অনেক বাজে বাজে কথা বলে। এটা শুনে তো রাকিবের ভীষণ রাগ হয়। এরপর মুনিয়াকে ডাকে আর মুনিয়া আসার পর কিছু না শুনেই মুনিয়াকে চড় মেরে বসে।
স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব
রাকিবের ব্যবহারে মুনিয়া অনেক কষ্ট পায়। এরপর থেকে মুনিয়া আর রাকিবের কাছাকাছি যায় না। দূরে দূরে থাকার চেষ্টা করছিল। এমন সময় রাকিবের মামা বলে মুনিয়া খুবই ভালো মেয়ে। মুনিয়া যা কিছু করেছে সবার পারমিশন নিয়ে করেছে। আসলে তার বন্ধু মুনিয়ার সাথে বেয়াদবি করেছিল। তাই সে মুনিয়ার নামে মিথ্যা কথা বলেছে। অন্যদিকে রাকিবের গার্লফ্রেন্ড মেয়েটির সাথেও রাকিবের বন্ধুর একটা সম্পর্ক আছে। এটা মুনিয়া বুঝতে পেরেছিল। তাই মুনিয়া চায়নি মেয়েটা রাকিবের জীবনে থাকুক। সেজন্যই তাদেরকে ভেতরে আসতে দেয়নি। এগুলো শোনার পর রাকিবের খুবই খারাপ লাগে। মুনিয়ার কথা জানতে চাইলে তখন তিনি বলেন মুনিয়া বিয়ের শপিং করতে গিয়েছে। মুনিয়ার অন্য ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে।
স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব
মুনিয়ার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে এই কথা শুনে রাকিবের কেন জানি খুবই খারাপ লাগছিল। সে বারবার তাদের স্মৃতিগুলো মনে করছিল। এরপর ধীরে ধীরে রাকিব মুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা দেখাতে থাকে। অন্যদিকে মুনিয়া সেখান থেকে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়। তখন রাকিব মুনিয়াকে বলে সে তাদের সাথে যাবে। এরপর রাকিব বলে সে মুনিয়ার বিয়ে ভেঙে দিবে। তখন মুনিয়া বুঝতে পারে রাকিব তাকে ভালোবেসে ফেলেছে। এরপর নাটকটি শেষ হয়ে যায়।
স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব
এই নাটকের গল্পটি আমার কাছে ভালো লেগেছে। কাছের মানুষের ভালোবাসা গুলো আমরা হয়তো বুঝতে পারি না। হয়তো তাদেরকে সব সময় দূরে সরিয়ে রাখি। কিন্তু তারা যখন হারিয়ে যাওয়ার পথে চলে যায় তখন ভালোবাসা বুঝতে পারি। এই নাটকটির ক্ষেত্রেও তেমনটা হয়েছিল। যখন রাকিব জানতে পেরেছে মুনিয়ার বিয়ে ঠিক হয়েছে তখন সে নিজের ভালোবাসা বুঝতে পেরেছে।