নাটক রিভিউ-খুনসুটি||
14 comments
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি@monira999। আমি একজন বাংলাদেশী। আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। মাঝে মাঝে নাটক দেখতে অনেক ভালো লাগে। আর সেই নাটকগুলোর রিভিউ শেয়ার করতেও ভালো লাগে। তাই আজকে আমি একটি নাটক রিভিউ আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে চলে এসেছি। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।
নাম | খুনসুটি |
---|---|
পরিচালনা | জুবায়ের ইবনে বকর |
প্রযোজক | আফরিনা রহমান |
অভিনয়ে | খাইরুল বাশার, তানজিন তিশা ও আরো অনেকে |
দৈর্ঘ্য | ১ঘন্টা |
মুক্তির তারিখ | ১৪ নভেম্বর ২০২৪ |
ধরন | ড্রামা |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
- খাইরুল বাশার
- তানজিন তিশা
নাটকের শুরুতেই দেখতে পাই নাটকের নায়ক হানিফ নিজের বাড়িতে ফিরছে। আর নিজের বাড়ির সম্পর্কে বলছে। আসলে তার পরিবারের ছেলে সদস্যরা সবাই কুস্তি খেলায় পারদর্শী। কিন্তু হানিফ এগুলো একদমই পছন্দ করেনা। তাই সে বাড়ি ফিরতে চায় না। কিন্তু তার মায়ের জন্য আর ভালোবাসার মানুষটির জন্য ছুটির সময় বাড়ি ফিরে আসে। ভেতরে প্রবেশ করেই বাড়ির সবার সাথে দেখা হয় তার। এরপর দেখা হয় তার প্রিয় মানুষের সাথে। আর হানিফের প্রিয় মানুষ হলো সরলা।
সরলা যখন হানিফকে দেখে তখন উপর থেকে তাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানায়।আর দূর থেকে ইশারায় কথা বলে। এ থেকে বোঝা যায় আগে থেকেই তাদের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এরপর শুরু হয় তাদের দুষ্টু মিষ্টি প্রেমের খুনসুটি। হানিফ আর সরলা নিজেদের মতো করে সময় কাটায়। দেখতে দেখতে বেশ কয়েকদিন পার হয়ে যায়। পরিবারের সবাই মিলে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে। অন্যদিকে হানিফের বাবা সব সময় হানিফকে কুস্তি শেখার কথা বলে। কিন্তু হানিফ এই বিষয়গুলোতে একদমই অভিজ্ঞ নয়। এমন কি সে এগুলো পছন্দও করে না।
এভাবেই কেটে যাচ্ছিল দিনগুলো। কিন্তু হঠাৎ করে সরলা জানতে পারে অন্য একজন কুস্তিগীরের সাথে তার বিয়ে ঠিক করা হয়েছে। এরপর সে কি করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছিল না। তখন হানিফকে গিয়ে সবকিছু জানায়। হানিফ এবং সরলা দুজনে মিলে হানিফের মায়ের কাছে যায়। সরলা হল হানিফের মামাতো বোন। সে ছোটবেলা থেকেই তার ফুফুর কাছে থাকে। অর্থাৎ হানিফের মায়ের কাছে থাকে। তাই তারা দুজনে সাহস করে তাদের ভালোবাসার কথা তার মাকে জানায়। তখন হানিফের মা হানিফের বাবাকে জানায়। হানিফের বাবা বলে এটা অনেক দেরি হয়ে গেছে। কারণ সে বিয়ের কথা পাকা করে ফেলেছে।
কিভাবে তারা বিয়েটা ভেঙে দেবে এটা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আর বুঝে উঠতে পারছিল না কি করবে। অবশেষে বিয়ের পাত্র অর্থাৎ সেই কুস্তিগীর প্রস্তাব করে যদি হানিফ থাকে কুস্তি খেলায় হারাতে পারে তাহলে সে সরলাকে বিয়ে করবে না। আর এই সম্পর্ক থেকে সরে দাঁড়াবে। তাহলে আর তার কোন আপত্তি থাকবে না। হানিফ বুঝতে পারছিল না কি করবে। কারণ কুস্তি খেলায় তার একদম অভিজ্ঞতা নেই। কোন কিছু না ভেবে সে সরলার মুখের দিকে তাকিয়ে রাজি হয়ে যায়। এরপর সে প্র্যাকটিস শুরু করে।
হানিফ অক্লান্ত পরিশ্রম করতে শুরু করে। আর কুস্তি খেলা শিখতে শুরু করে। দেখতে দেখতে সেই কাঙ্খিত দিন চলে আসে। মঞ্চ সাজানো হয়। চারপাশে লোকজন আর দুজনে মাঠে নেমে পড়ে। প্রথমে তো হানিফ শুধু মার খাচ্ছিল। সে কিছুই করতে পারছিল না। কারণ সেই ছেলেটি ছিল ভালো কুস্তি খেলোয়াড়। হানিফ যখন বারবার আঘাত পাচ্ছিল তখন সবাই অনেক চিন্তায় পড়ে যাচ্ছিল। অবশেষে সরলার মুখের দিকে তাকিয়ে হানিফ নিজের শক্তি ফিরে পায়। আর আপ্রাণ চেষ্টা করে বিজয় ছিনিয়ে আনে। হানিফ অবশেষে বিজয়ী হয়। আর সবাই মিলে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে। এরপর নাটকটি শেষ হয়ে যায়।
নাটকের গল্পটি আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগেনি। হয়তো আরও একটু ভিন্নতা আনা প্রয়োজন ছিল। কেমন জানি মাঝখান থেকে শুরু হয়েছে আর মাঝে শেষ হয়েছে। এরকমটা মনে হয়েছে। তবে অভিনয় ভালো ছিল। কিন্তু গল্পটা আমার কাছে পারফেক্ট লাগেনি।
আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।
Comments