ক্রিয়েটিভ রাইটিং পোস্ট || কিছু কিছু মেয়ে মা হওয়ার যোগ্য না (ষষ্ঠ পর্ব)

mohinahmed -

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।


পঞ্চম পর্ব


প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই গল্পের পঞ্চম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে ষষ্ঠ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক সীমা সেই ছেলের সাথে কথা বলতে বলতে একেবারে দুর্বল হয়ে যায়। এদিকে সীমাকে ফোন দিয়ে রতন সেভাবে পায় না। রতন আগে ভিডিও কল দিয়ে তার মেয়েকে মন ভরে দেখতো,কিন্তু সীমা ইদানীং রতনের সাথে ভিডিও কলে সেভাবে কথা বলে না। তাছাড়া রতন ফোন দিলে সীমা বিরক্তও হয়ে যায়। এসব ব্যাপার গুলো রতন ভালোভাবে অবজার্ভ করতো। রতন মনে মনে অনেক কষ্ট পেতো,কিন্তু কাউকে শেয়ার করতে পারতো না। তাছাড়া সীমার এমন পরিবর্তন দেখে রতন সন্দেহ করতে লাগলো।


Source


আবার পরক্ষণেই রতন ভাবে যে,হয়তো রতনের মেয়ে সীমাকে রাতের বেলা অনেক জ্বালাতন করে,তাই সীমা রাতের বেলা ঘুমাতে পারে না। তাই রতনের সাথে খারাপ ব্যবহার করে এবং ফোনে ভালোভাবে কথা বলতে চায় না। তবুও রতনের মনে কিছুটা হলেও সন্দেহ থেকেই যায়। এদিকে সীমা এবং তার পরকীয়া প্রেমিক একে অপরের সাথে দেখা করার জন্য অস্থির হয়ে যায়। কিন্তু সীমা তার মেয়েকে বাসায় রেখে কিভাবে বের হবে, সেটা ভেবে পাচ্ছে না। তাছাড়া বাসা থেকে বের হতে চাইলে তো রতনের মা সন্দেহ করতে পারে, সেজন্য সে বাসা থেকে বের হতে পারছে না। তবে সীমা প্ল্যান করলো যে,তাদের বাসায় কয়েকদিন এর জন্য বেড়াতে যাবে এবং সেখান থেকে বের হয়ে তার পরকীয়া প্রেমিকের সাথে দেখা করবে। যাইহোক সীমা রতনকে ফোন দিয়ে বললো যে তাদের বাসায় বেড়াতে যাবে।


যদিও রতন প্রথমে রাজি হতে চায়নি। কিন্তু সীমার জোরাজোরিতে শেষ পর্যন্ত রতন রাজি হতে বাধ্য হয়। তারপর রতন ফোন করে তার মা'কে বলে দেয় যে সীমা কয়েকদিনের জন্য তাদের বাড়িতে বেড়াতে যাবে। তারপর সীমা তাদের বাড়িতে বেড়াতে যায় কয়েকদিনের জন্য। সীমা তাদের বাড়িতে যাওয়ার পর তো ইচ্ছেমতো তার পরকীয়া প্রেমিকের সাথে কথা বলতে থাকে। সীমার মা ভাবে যে,সীমা হয়তো রতনের সাথে কথা বলছে। সীমা সেখানে যাওয়ার ২ দিন পর বাসা থেকে বের হলো তার পরকীয়া প্রেমিকের সাথে দেখা করতে। সীমা বাসা থেকে বের হওয়ার সময় তার মা'কে বলে যে, তার বান্ধবীর সাথে দেখা করার জন্য বের হচ্ছে। মোটকথা সীমা মিথ্যা কথা বলেই বাসা থেকে বের হয়। পরবর্তীতে সে তার পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পার্কে দেখা করে।


সীমা তো তার পরকীয়া প্রেমিককে সামনা-সামনি দেখে ভীষণ পছন্দ করে। আর সীমার পরকীয়া প্রেমিক তো সীমাকে অনেক আগেই দেখেছিল। সীমা এমনিতে দেখতে খুব সুন্দর। তারা দু'জন সেদিন পার্কে ঘুরাঘুরি করে, তারপর রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করে। তারপর সীমাকে তার পরকীয়া প্রেমিক শপিংমলে নিয়ে গিয়ে ড্রেস এবং কিছু কসমেটিকস কিনে দিলো। এদিকে সীমার ছোট্ট মেয়েটা সীমাকে না পেয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে। তারপর সীমার মা সীমাকে বেশ কয়েকবার ফোন করে সীমাকে তাড়াতাড়ি বাসায় যাওয়ার জন্য। কিন্তু সীমা তো তার পরকীয়া প্রেমিকের সাথে শপিং করা নিয়ে খুব ব্যস্ত। তাইতো সে তার মায়ের ফোন রিসিভ করে না। যাইহোক এরপর আর কি কি হলো,সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)



পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিক্রিয়েটিভ রাইটিং(গল্প)
পোস্ট তৈরি@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy S9 Plus
তারিখ২৩.১১.২০২৪
লোকেশননারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমার পরিচয়

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

PUSS COIN: BUY/SELL