লাইফস্টাইল পোস্ট || চাঁদরাতে ওয়াইফকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া এবং ঘুরাঘুরি করার অনুভূতি
11 comments
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। মাত্র কয়েকদিন আগে আমরা সবাই ঈদুল ফিতর উদযাপন করলাম। তো ঈদের আগের রাত অর্থাৎ চাঁদরাতে ঘুরাঘুরি করতে আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে অনেক রাত পর্যন্ত ঘুরাঘুরি করতে। কারণ চাঁদরাতে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট এবং মার্কেটগুলোতে চমৎকার লাইটিং করা থাকে। যা দেখতে খুব ভালো লাগে আমার কাছে। তাছাড়া রাস্তা একেবারে ফাঁকা থাকে। কয়েক বছর আগেও বন্ধুদের সাথে চাঁদরাতে অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা দিতাম এবং মজা করতাম। তবে বিয়ের পর থেকে অর্থাৎ প্রায় ২ বছর যাবৎ বন্ধুদের সাথে এতো রাত পর্যন্ত আড্ডা দেওয়া হয় না। বলতে গেলে এখন ব্যস্ততার জন্য বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া অনেকটাই কমে গিয়েছে। যাইহোক এবার চাঁদরাতে ১০ টার দিকে হঠাৎ করে আমার ওয়াইফকে বললাম বাহিরে যাবে কিনা।
সে তো সাথে সাথেই রাজি হয়ে গেলো। এরপর আমার হাতে কিছু কাজ ছিলো, কাজ শেষ করে রাত ১১ টার দিকে বাসা থেকে বের হলাম। মূলত প্রথমে চাইনিজ রেস্টুরেন্টে ডিনার করে,তারপর আশেপাশে একটু ঘুরাঘুরি করার প্ল্যান করেছিলাম। যাইহোক আমাদের মদনপুর স্ট্যান্ডের আশেপাশে বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্টে রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ রেস্টুরেন্ট বন্ধ ছিলো তখন। হয়তোবা রেস্টুরেন্টের স্টাফরা ঈদের ছুটিতে বাড়িতে চলে গিয়েছে। পরবর্তীতে দূর থেকে লক্ষ্য করলাম টেস্ট অফ টাউন রেস্টুরেন্টের ভিতরে লাইট জ্বলছিল। তার মানে টেস্ট অফ টাউন রেস্টুরেন্ট খোলা রয়েছে। তারপর আমরা টেস্ট অফ টাউন রেস্টুরেন্টে গেলাম। টেস্ট অফ টাউন রেস্টুরেন্টে ঢোকার পর ভীষণ ভালো লাগলো। কারণ সেই রেস্টুরেন্টের ২ জন স্টাফ অনেক গুলো বেলুন ফুলিয়েছে।
একসাথে এতগুলো বেলুন দেখে ভীষণ ভালো লেগেছিল। তারপর স্টাফরা বললো ঈদের দিনও তাদের রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে। যাইহোক এর আগেও টেস্ট অফ টাউন রেস্টুরেন্টে বেশ কয়েকবার গিয়েছিলাম এবং পোস্টও শেয়ার করেছিলাম। আসলে এই রেস্টুরেন্টের ইন্টেরিয়র ডিজাইন অনেক সুন্দর এবং খাবারের মানও বেশ ভালো। তাছাড়া এই রেস্টুরেন্টের স্পেস বেশ বড় এবং বিশাল জায়গা জুড়ে আলাদা কেবিন রয়েছে। যাইহোক আমরা সেট মেন্যু অর্ডার করলাম। সেট মেন্যু সি এর মধ্যে ছিলো ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই, চিকেন কারি মাসালা,চাইনিজ ভেজিটেবল এবং থাই স্যুপ। সেট মেন্যু ই এর মধ্যে ছিলো ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই এবং চাইনিজ ভেজিটেবল। খাবার অর্ডার করার পর আমরা গল্প করতে লাগলাম এবং ফাঁকে ফাঁকে কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। আসলে এই রেস্টুরেন্টের অনেক গুলো ফটোগ্রাফি এর আগেও শেয়ার করেছিলাম বলে,এবার অল্প কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম।
কিছুক্ষণ পর আমাদের টেবিলে থাই স্যুপ দিয়ে গেলো। থাই স্যুপ আমার ওয়াইফ খেয়েছিল। কারণ আমার তখন স্যুপ খেতে ইচ্ছে করছিলো না। কিছুক্ষণ পর আমাদের টেবিলে খাবার দিয়ে গেলো। পুরো রেস্টুরেন্ট একেবারে ফাঁকা ছিলো। এমনিতেই অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল, আর পেটেও বেশ ভালোই ক্ষুধা ছিলো। তাই সব খাবার শেষ করতে ততোটা সময় লাগেনি আমাদের। প্রতিটি খাবার খুবই সুস্বাদু লেগেছিল। তারপর আমরা বিল দিয়ে রাত ১২ টার পর রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম। এরপর আশেপাশে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে, বাসার জন্য কিছু ফল কিনে রাত ১টার দিকে বাসায় চলে এসেছিলাম। চাঁদরাতে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া এবং ঘুরাঘুরি করে আমরা এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছিলাম। আর সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২৫.৪.২০২৪ |
লোকেশন | মদনপুর, নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Comments