নাটক রিভিউ || আমি বিদেশ যাবো

mohinahmed -

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।



আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে আমি বিদেশ যাবো। এই নাটকটি প্রায় মাসেক খানেক আগে রিলিজ হয়েছে। অল্প কয়েকদিনে এই নাটকটি বেশ ভালোই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যাইহোক এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে জাহের আলভি এবং ইফফাত আরা তিথি সামন্তী। এই নাটকটি একটি রোমান্টিক নাটক,তাই দেখতে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।



ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে


নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ


নাটকআমি বিদেশ যাবো
রচনানাজমুল হক ভূইয়া
পরিচালনাসোহেল রানা ইমন
অভিনয়েজাহের আলভি, ইফফাত আরা তিথি সামন্তী,আমিন আজাদ,ইকবাল হোসেন,মাসুদ হারুন,সাবিনা রনি,খান রশ্মি,ডাঃ মুকুল এবং আরও অনেকে।
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা ভাষা
প্রচার১০ই অক্টোবর ২০২৪
দৈর্ঘ্য৪২ মিনিট
প্লাটফর্মইউটিউব


নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী নিম্নরুপঃ


নাটকের শুরুতে আমরা দেখতে পাই,নাটকের নায়ক জাহের আলভি আমেরিকা যাওয়ার জন্য তার মা এবং বন্ধু বান্ধবদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছে। অর্থাৎ বাসা থেকে আমেরিকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হবে আর কি। কিন্তু একটু পরেই জাহের আলভির হুঁশ ফিরে তার মা যখন তার মুখে পানি ছুড়ে মারে। অর্থাৎ সে বসে বসে স্বপ্ন দেখছিল, সে আমেরিকা চলে যাচ্ছে হা হা হা। যাইহোক জাহের আলভি ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখে আসছে,সে বড় হয়ে আমেরিকা যাবে এবং কোটি কোটি টাকা ইনকাম করবে। সেজন্য সে ঘটককে বলে রেখেছে আমেরিকান সিটিজেন পাত্রী খুঁজে দিতে। পাত্রীর বয়স একটু বেশি হলেও সমস্যা নেই। তবে ঘটক আমেরিকান সিটিজেন পাত্রী সেভাবে খুঁজে পাচ্ছিলো না। যাইহোক হঠাৎ করে নাটকের নায়িকা তিথি জাহের আলভিদের গ্রামে আসে। অর্থাৎ তিথির মামার বাড়িতে বেড়াতে আসে আমেরিকা থেকে এবং তিথি আমেরিকান সিটিজেন।


ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

আলভি তিথিকে দেখে ভীষণ পছন্দ করে ফেলে এবং আলভি তিথির সাথে ইংরেজিতে কথা বলার জন্য ডিকশনারী ঘেঁটে শব্দার্থ শিখতে থাকে। যাইহোক একদিন আলভি তিথির সাথে রাস্তায় কথা বলার চেষ্টা করে ইংরেজিতে। আলভির ইংরেজি শুনে তো তিথি হাসতে হাসতে একেবারে শেষ। যাইহোক এভাবেই তিথি এবং আলভির মধ্যে বেশ ভালো সম্পর্ক হয়ে যায়। একে অপরকে পছন্দ করতে শুরু করে। তবে তিথি মন থেকে আলভিকে ভালোবাসতে শুরু করে। কিন্তু আলভি শুধুমাত্র আমেরিকা যাওয়ার জন্য তিথিকে বিয়ে করতে চায়। কিছুদিন পর আমেরিকা থেকে তিথির বাবা চলে আসে তিথির সাথে দেখা করতে। কিন্তু তিথির বাবা বাসায় ফেরার সময়, রাস্তায় অটো গাড়ি ভাড়া করা নিয়ে তিথির বাবা এবং আলভি ঝগড়া করে।


ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

এতে করে তিথির বাবা আলভির উপর প্রচন্ড রাগ করে। পরবর্তীতে তিথি যখন তার বাবার সাথে আলভিকে পরিচয় করিয়ে দেয়,তখন তো তিথির বাবা আলভিকে অনেক অপমান করে। তিথির বাবা কিছুতেই আলভির সাথে তিথিকে বিয়ে দিতে রাজি হয় না। তারপর তিথি নিজের ইচ্ছাতেই আলভিকে বিয়ে করে ফেলে। কিন্তু বিয়ের পরপরই তিথি বলে যে,সে আর আমেরিকা ফিরে যাবে না। অর্থাৎ আলভির সাথে বাংলাদেশেই থেকে যাবে। এটা শুনে তো আলভি একেবারে রেগে যায়। কারণ সে তো তিথিকে বিয়ে করেছে শুধুমাত্র আমেরিকা যাওয়ার জন্য। তো তিথি এসব শুনে অনেক কান্নাকাটি করে এবং তার মামার বাসায় ফিরে যায়। তারপর তিথির বাবা এবং মামার কাছে সবকিছু খুলে বলে। যাইহোক এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই নাটকটি দেখতে হবে।


ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে


নাটকের লিংক👇👇


Loading iframe


ব্যক্তিগত মতামত


আসলে কাউকে ভালোবাসলে মন থেকে ভালোবাসা উচিত। কোনো কিছু পাওয়ার উদ্দেশ্যে কিংবা যেকোনো স্বার্থ হাসিল করার উদ্দেশ্যে কাউকে ভালোবাসা মোটেই উচিত নয়। এই ধরনের কাজগুলো শুধুমাত্র লোভী মানুষেরাই করে থাকে। তবে যারা এই ধরনের লোভী মানুষদেরকে ভালোবাসে অর্থাৎ ভুল মানুষকে ভালোবাসে,তাদেরকে জীবনে অনেক কষ্ট পেতে হয়। জাহের আলভিকে নাটকের নায়িকা তিথি প্রচন্ড ভালোবেসেছে। তিথি যদি আগে বুঝতে পারতো আলভি লোভী মানুষ অর্থাৎ আমেরিকা যাওয়ার জন্য তাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে, তাহলে তো সে কখনোই আলভিকে বিয়ে করতো না। কিন্তু তিথি বিয়ের পরপরই আসল ঘটনা জানতে পারে। তখন তিথি তার বাবার কাছে ফিরে যায়। নাটকটি সবমিলিয়ে বেশ ভালোই লেগেছে। এমনিতে জাহের আলভির নাটকগুলো আমার খুব ভালো লাগে। কারণ তার অভিনয় বেশ ভালো হয়। তাছাড়া তিথিও এই নাটকে খুব ভালো অভিনয় করেছে।


আমার রেটিং


এই নাটকটিকে আমি ৮/১০ দিলাম।



পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিনাটক রিভিউ
স্ক্রিনশট ক্রেডিট@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy S9 Plus
তারিখ৮.১১.২০২৪
লোকেশননারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমার পরিচয়

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

PUSS COIN: BUY/SELL