আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সেই প্রেক্ষাপটে আজকে আবারও ভিডিওগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। অনেকের ভিডিওগ্রাফি পোস্ট দেখে আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত হই প্রতিনিয়ত। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই বা কোনো সুন্দর কিছু চোখে পড়লে ফটোগ্রাফি করি সচরাচর। তবে অনেক সময় ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু তুলে ধরা সম্ভব হয় না। তাই মাঝে মধ্যে ভিডিওগ্রাফি করার প্রয়োজন হয়।
এই ভিডিওগ্রাফিটা রাঙ্গামাটির শুভলং ছোট ঝর্ণার সামনে থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। তবে আমরা সেখানে পৌঁছাতে কিছুটা দেরী করে ফেলেছিলাম। সেদিন থেমে থেমে প্রায় সারাদিনই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছিল বলে,শুভলং ঝর্ণার সামনে যাওয়ার রাস্তাটা একেবারে কাঁদায় ভরে গিয়েছিল। তাছাড়া লাল মাটি হওয়ার কারণে,সেই রাস্তাটি একেবারে পিচ্ছিল হয়ে গিয়েছিল। যারা শুভলং ঝর্ণার পানিতে গোসল করতে গিয়েছিল, তারা গোসল করে সেই রাস্তা দিয়ে আসার সময় ঝামেলায় পড়ে গিয়েছিল। একজন দেখলাম স্লিপ করে পড়ে-ই গিয়েছিল। আমাদের ইচ্ছে ছিলো ঝর্ণার পানিতে গোসল করার। কিন্তু ঝর্ণার সামনে যাওয়ার রাস্তাটা একেবারেই বাজে ছিলো, তাছাড়া ঝর্ণার পানি দেখলাম ঘোলাটে। তো সবমিলিয়ে ভাবলাম যে ঝর্ণার পানিতে আর গোসল করবো না।
পরবর্তীতে আমরা প্ল্যান করলাম যে,শুভলং বড় ঝর্ণার দিকে যাওয়া যাক। শুভলং ছোট ঝর্ণার সামনে থেকে বোটে চড়ে শুভলং বড় ঝর্ণার দিকে যেতে বেশি সময় লাগবে না, সেটা বোট চালক আমাদেরকে আগেই বলেছিল। তো এরইমধ্যে ২/৩ জন মানুষ বলাবলি করছিলো, শুভলং বড় ঝর্ণার পানি নাকি একেবারেই কম। সেই লোকগুলো শুভলং বড় ঝর্ণার দিকে ঘুরাঘুরি করে, ছোট ঝর্ণার সামনে এসেছিলো,অর্থাৎ আমরা যেখানে ছিলাম সেখানে এসেছিলো। তো আমরা সেই লোকগুলোর কথা শুনে, শুভলং বড় ঝর্ণার দিকে যাওয়ার প্ল্যান বাতিল করলাম। তারপর আমরা সেখানেই বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে,আবারও বোটে চড়ে অন্য স্পটের দিকে যেতে লাগলাম। তবে ঝর্ণার পানিতে গোসল করতে না পারলেও, সেখানকার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখে ভীষণ ভালো লেগেছিল।
ভিডিওগ্রাফির পাশাপাশি কিছু ফটোগ্রাফিও করে নিয়েছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। কারণ আপনাদের সাথে যেকোনো কিছু শেয়ার করতে পারলে ভালো লাগা দ্বিগুণ হয়ে যায়। ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করতে আমার সবসময়ই ভীষণ ভালো লাগে। কারণ সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করা আমার এক ধরনের শখ বলা যায়। সবমিলিয়ে সেই মুহূর্তের অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আশেপাশে সাউন্ড ছিলো বলে আমি ব্যাকগ্রাউন্ডের অরিজিনাল সাউন্ড দূর করে মিউজিক অ্যাড করে দিয়েছি। নয়তো আপনারা হয়তোবা বিরক্ত বোধ করতেন শব্দের কারণে। যাইহোক ভিডিওগ্রাফিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
ক্যাটাগরি | ভিডিওগ্রাফি |
---|---|
ভিডিওগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২২.১১.২০২৪ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹