ক্রিয়েটিভ রাইটিং(গল্প) || বিপদ কখনোই বলে আসে না (চতুর্থ পর্ব)

mohinahmed -

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।


তৃতীয় পর্ব


প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। দুই সপ্তাহ আগে এই গল্পের তৃতীয় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে চতুর্থ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক গত পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম মোশাররফ ভাইয়ের খুব বাজেভাবে হার্ট ব্লক হয়ে গিয়েছে। যেহেতু সেদিন রবিবার ছিলো অর্থাৎ সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিলো, সেজন্য মোশাররফ ভাইকে হসপিটালের ইমারজেন্সি তে নিয়ে গিয়েছিলাম। তো হসপিটালের ইমারজেন্সি থেকে আমাদেরকে বলা হলো, যেহেতু মোশাররফ ভাইয়ের হার্ট ব্লক হয়েছে,তাই অন্য কোনো হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কারণ ইমারজেন্সি তে সেভাবে ট্রিটমেন্ট দেওয়া সম্ভব নয়।


Source


তাছাড়া মোশাররফ ভাইয়ের হার্টে রিং বসাতে হবে। তাই সবমিলিয়ে অন্য হসপিটালে শিফট করা ছাড়া কোনো উপায় ছিলো না। যাইহোক এমনিতেই সেদিন অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল, তাছাড়া পরের দিন সকালে অফিসে যেতে হবে। তাই সেটা নিয়ে বেশ ঝামেলার মধ্যে পড়েছিলাম। তাছাড়া মোশাররফ ভাইকে কোনো হসপিটালে শিফট না করে তো বাসায়ও ফিরতে পারবো না। আমরা যে হসপিটালে ছিলাম, সেখান থেকে কয়েকটি হসপিটালের নাম সাজেস্ট করলো আমাদেরকে। তাছাড়া সেসব হসপিটাল বিশেষ করে বিদেশীদেরকে কিছুটা ছাড় দেয়। এমনকি তখনও সেসব হসপিটাল গুলো খোলা ছিলো। তারপর আমরা একটু ঘাটাঘাটি করে তাদের সাজেস্ট করা হসপিটাল থেকে একটা হসপিটাল পছন্দ করলাম। তারপর আমরা সেই হসপিটালের বিল মিটিয়ে, সেই হসপিটালের একটি এম্বুলেন্সে মোশাররফ ভাইকে উঠিয়ে, আমরা রওনা দিলাম।


মোটামুটি ৩০/৪০ মিনিটের মধ্যেই আমরা সেই হসপিটালে পৌঁছে গেলাম। তো সবকিছু আগে থেকেই বলা ছিলো বিধায়, আমরা খুব সহজেই মোশাররফ ভাইকে সেই হসপিটালে ভর্তি করে ফেললাম। তারপর ডাক্তারের সাথে কথা বলে,আমরা মোশাররফ ভাইকে হসপিটালে রেখে বাসায় চলে গিয়েছিলাম। আসলে চাইলেও হসপিটালে থাকা সম্ভব ছিলো না। কারণ সকালে অবশ্যই অফিসে যেতে হবে। কারণ অফিসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিলো। তাছাড়া এতো রাতে অফিসের ম্যানেজারকে ফোন করে ছুটি নেওয়াটাও সম্ভব ছিলো না। যাইহোক বাসায় ফিরে জাস্ট ৩/৪ ঘন্টা ঘুমিয়ে সকালবেলা অফিসে চলে গেলাম। অফিসে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর হসপিটালে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম মোশাররফ ভাইয়ের কি অবস্থা। তখন বললো যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রিং বসাতে হবে।


তাছাড়া হসপিটালে কোনো লোককে থাকতে হবে মোশাররফ ভাইয়ের সাথে। কারণ একা একজন মানুষকে তো আর হসপিটালে রাখা যায় না। কিন্তু সবাই অফিসের কাজে এতটাই ব্যস্ত ছিলাম যে, সেখানে গিয়ে থাকাটা সম্ভব হবে না। তাছাড়া হসপিটালে তো কত ধরনের কাজ থাকে। তাই সারাক্ষণ একজন লোককে হসপিটালে থাকতে হবে। তারপর পরিচিত সব ভাই ব্রাদারকে জিজ্ঞেস করলাম কি করা যায় এখন। তো তারা কেউ অফিস থেকে ছুটি নিতে পারবে না। তবে একজন বললো যে পরিচিত এক লোকের নাকি চাকরি নেই। অর্থাৎ সেই লোক চাকরি খুঁজছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম সেই লোককে মোশাররফ ভাইয়ের সাথে হসপিটালে থাকতে বলবো,যদি সেই লোক থাকতে রাজি হয়। যাইহোক এরপর মোশাররফ ভাইয়ের সাথে আর কি কি হলো,সেটা জানার জন্য আপনাদেরকে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। (চলবে)



পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিগল্প (ক্রিয়েটিভ রাইটিং)
পোস্ট তৈরি@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy S9 Plus
তারিখ১৩.৯.২০২৪
লোকেশননারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমার পরিচয়

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

PUSS COIN: BUY/SELL