ক্রিয়েটিভ রাইটিং (গল্প)|| প্রবাসীদের জীবনে দুঃখের কোনো সীমা নেই (পঞ্চম পর্ব )

mohinahmed -

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।


চতুর্থ পর্ব


প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। এর আগে এই গল্পের চতুর্থ পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি এবং আজকে পঞ্চম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। আগামী পর্বেই এই গল্পের সমাপ্তি হবে। যাইহোক মোবারক ভাইয়ের কাছে টাকা পয়সা তেমন ছিলো না বলে,শেষ পর্যন্ত তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন উনাদের জমিতে কৃষিকাজ করবেন। কারণ এছাড়া আর কোনো পথ খোলা ছিলো না মোবারক ভাইয়ের সামনে। যদি মোটামুটি কিছু টাকা পয়সা থাকতো, তাহলে উনি দোকান দিয়ে ব্যবসা করতে পারতেন। মোবারক ভাই সত্যিই অসহায় হয়ে গিয়েছিলেন।


Source


উনার তখন বারবার মনে হচ্ছিলো,যদি সম্পূর্ণ টাকা পয়সা মা বাবার কাছে না পাঠিয়ে নিজের একাউন্টে কিছু জমা রাখতেন, তাহলে এই দুর্দিন উনাকে হয়তোবা দেখতে হতো না। যাইহোক মোবারক ভাইয়ের মা বাবা উনাকে বিয়ে করালেন। বিয়ের পর মোবারক ভাই উনার পরিবার নিয়ে মোটামুটি সচ্ছল ভাবে জীবনযাপন করতে লাগলেন। তবে মোবারক ভাইয়ের যখন এক ছেলে এবং এক মেয়ে দুনিয়াতে আসলো,তখন সংসারের খরচ চালাতে মোবারক ভাই হিমশিম খেয়ে যেতেন। পরবর্তীতে মোবারক ভাই চিন্তা করলেন উনি নতুন ব্যবসা শুরু করবেন। মানে উনাদের বাজারে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করবেন।


কিন্তু উনার কাছে যেহেতু ব্যবসা করার জন্য টাকা পয়সা ছিলো না,তাই উনি উনার দুই ভাইয়ের কাছে ৩/৪ লাখ টাকা ধার চাইলেন ব্যবসা করার জন্য। কিন্তু উনার দুই ভাইয়ের কেউ টাকা দেয়নি মোবারক ভাইকে। অথচ এক সময় মোবারক ভাইয়ের টাকা দিয়ে উনার দুই ভাইকে বিল্ডিং তৈরি করে দিয়েছে উনার মা বাবা। যাইহোক মোবারক ভাই উনার ভাইদের কাছে টাকা না পেয়ে, শেষ পর্যন্ত উনার বাবাকে বুঝিয়ে কিছু জমি বিক্রি করে, সেই টাকা দিয়ে ব্যবসা না করে, আবারও বিদেশে পাড়ি জমানোর চিন্তা করলেন। শেষ পর্যন্ত উনি আর্জেন্টিনাতে পাড়ি জমালেন এবং বেশ কয়েকবছর পর সেখানে নাগরিকত্ব পেলেন। তারপর আর্জেন্টিনা থেকে দক্ষিণ কোরিয়াতে পাড়ি জমিয়ে,একটি কোম্পানিতে কাজ করতে লাগলেন।


যাইহোক মোবারক ভাই বাবু ভাইয়ের রুমে ২/৩ মাস থাকার পর,পরবর্তীতে আমাদের ফ্ল্যাটের আশেপাশে একটি বাসা নিয়ে,নতুন বাসায় শিফট হয়ে গেলেন এবং নতুন বাসা থেকে যাতায়াত করে কোম্পানিতে কাজ করতে লাগলেন। হঠাৎ একদিন সন্ধ্যার পর বাবু ভাইকে ফোন দিয়ে মোবারক ভাই বললেন উনার শরীর খুব খারাপ লাগছে। তারপর বাবু ভাই আমাদেরকে ফোন দেওয়ার পর, আমরা সবাই উনার রুমে গিয়ে দেখি উনি অসুস্থ অবস্থায় রুমে শুয়ে আছে। উনাকে জিজ্ঞেস করার পর উনি বললেন যে বুকের মধ্যে প্রচন্ড ব্যথা করছে। মনে হচ্ছে যে বুকের মধ্যে কেউ পাথর চাপা দিয়ে রেখেছে। যাইহোক মোবারক ভাইয়ের সাথে এরপর কি হলো,সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।



পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিগল্প(ক্রিয়েটিভ রাইটিং)
পোস্ট তৈরি@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy S9 Plus
তারিখ২৬.৭.২০২৪
লোকেশননারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমার পরিচয়

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹