আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই ট্যুরের সপ্তম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে অষ্টম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক আমরা ছোট শুভলং ঝর্ণার দিকে গিয়ে চারপাশের দৃশ্য বেশ কিছুক্ষণ উপভোগ করার পর,সিদ্ধান্ত নিলাম যে ঝর্ণার পানিতে গোসল করবো। আমরা যখন ঝর্ণার দিকে যাওয়া শুরু করলাম, তখন দেখলাম যে ঝর্ণার দিকে যাওয়ার রাস্তাটা একেবারে কাঁদায় ভরে গিয়েছে। মানে এতটাই পিচ্ছিল ছিলো যে,পা রাখতেই কষ্ট হয়ে যাচ্ছিলো। একটু হাঁটতে গেলেই পা স্লিপ করে। আসলে সেদিন প্রায় সারাদিনই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে বলে ঝর্ণার রাস্তার অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে গিয়েছিল।
তাছাড়া আমাদের আগে যারা ঝর্ণার দিকে গিয়েছে, তারা ভিজে ভিজে রাস্তা দিয়ে চলাচল করে,রাস্তার অবস্থা একেবারে খারাপ করে ফেলেছিল। সেই রাস্তা দিয়ে ঝর্ণার দিকে যাওয়ার সময় কেউ যদি স্লিপ করে পড়ে যায়, তাহলে অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে যাবে। একজন লোক দেখলাম স্লিপ করে পড়ে গিয়েছে এবং অনেক ব্যথা পেয়েছে। যদিও সেই লোকের ভাগ্য ভালো নিচের দিকে পড়েনি। কারণ নিচের দিকে অনেক বড় বড় পাথর ছিলো। সেখানে পড়লে পাথরে লেগে মাথাও ফেটে যেতে পারতো। তাছাড়া ঝর্ণার পানি দেখলাম একেবারে ঘোলাটে। সবমিলিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে ঝর্ণার পানিতে সেখানে গোসল করবো না। আমরা সেখান থেকে শুভলং বড় ঝর্ণার দিকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং সেখানে গিয়েই গোসল করার সিদ্ধান্ত নিলাম।
বোট চালক আমাদেরকে আগেই বলেছিল, শুভলং ছোট ঝর্ণা থেকে বড় ঝর্ণার দূরত্ব একেবারে কম। বোটে চড়ে সেখানে যেতে বেশি সময় লাগবে না। একটু পর আমরা সেখানেই দু'জন লোকের কথোপকথন শুনতে পেলাম। তারা বলতে লাগলো শুভলং বড় ঝর্ণা দিয়ে নাকি পানি একেবারেই বের হচ্ছে না। এটা শুনে তো মেজাজ একেবারেই খারাপ হয়ে গেলো। তার মানে ঝর্ণার পানিতে আমাদের গোসল করা হবে না সেদিন,সেটা তখন বুঝতে পেরেছিলাম। যদিও এর মধ্যে কয়েকজন বন্ধু বান্ধব বলতে লাগলো রিস্ক নিয়ে ছোট ঝর্ণার পানিতে গোসল করবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা আর হয়নি। কারণ অনেকেই অস্বীকৃতি জানালো। তারপর আমরা সেখানে আরও কিছুক্ষণ থেকে,বোটে উঠার সিদ্ধান্ত নিলাম অন্য স্পটে যাওয়ার জন্য।
বোটে উঠার আগে আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি ক্যাপচার করে নিয়েছিলাম। যাইহোক আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম এরপর আমরা নির্বাণনগর মন্দির এবং আদিবাসী মার্কেটে ঘুরতে যাবো। অর্থাৎ তখন আমাদের ফেরার পালা। আমাদের গন্তব্য অর্থাৎ রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজের দিকে যেতে যেতে যে কয়েকটি দর্শনীয় স্থান রয়েছে,আমরা বোট থেকে নেমে সেই স্থান গুলো দর্শন করে,তারপর গন্তব্যে ফেরার প্ল্যান করলাম। তো আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই অর্থাৎ ২০ মিনিটের মধ্যেই নির্বাণনগর মন্দিরের ঘাটে পৌঁছে গিয়েছিলাম। বোটে বসেই নির্বাণনগর মন্দির দেখতে খুব সুন্দর লাগছিলো। তারপর আমরা পাহাড়ের উপরে উঠতে লাগলাম। কারণ পাহাড়ের উপর মন্দিরটা অবস্থিত। যাইহোক এরপর আমরা আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২৬.১১.২০২৪ |
লোকেশন | রাঙ্গামাটি,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹