ক্রিয়েটিভ রাইটিং পোস্ট || কিছু কিছু মেয়ে মা হওয়ার যোগ্য না (প্রথম পর্ব)

mohinahmed -

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।



প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। আসলে কাল্পনিক গল্প লেখার চেয়ে, বাস্তব ঘটনা গুলো গল্প আকারে তুলে ধরতে আমার খুব ভালো লাগে। কারণ বাস্তব গল্প পড়ার মাধ্যমে অনেকই বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সক্ষম হয়। তাই আমি সবসময় বাস্তব ঘটনা গুলো গল্প আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করি। যাইহোক রতন এবং সীমার বিয়ে হয় প্রায় ৫ বছর আগে। তো রতন ছিলো সৌদি আরব প্রবাসী। রতন এবং সীমার বাড়ি পাশাপাশি মহল্লায়। আমাদের বাসা থেকে তাদের বাসা মোটামুটি কাছাকাছি অবস্থিত। রতন বিয়ের কয়েক বছর আগেই সৌদি আরব গিয়েছিলো। তো ছুটিতে এসে বিয়ে করার পর ৩/৪ মাস বাংলাদেশে থেকে,তারপর রতন আবারও সৌদি আরব ফিরে যায়


Source


সৌদি আরব যাওয়ার পরপর রতন এবং সীমার প্রতিদিন বেশ কয়েকবার করে কথা হতো।তো তাদের বন্ডিং মোটামুটি ভালোই ছিলো। কিন্তু কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর থেকে, রতন সীমার মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করে। অর্থাৎ রতন ফোন দিলে সীমা ব্যস্ততা দেখায় এবং বেশিক্ষণ কথা বলতে চায় না। এতে করে রতনের মনে সন্দেহ হয়। তারপর রতন তার মা'কে সবকিছু খুলে বলে এবং তার মা'কে বলে সীমার দিকে নজর রাখতে। তো কয়েকদিন পর রতনের মা বললো যে, সীমা মনে হয় রাতের বেলা কারো সাথে ফোনে কথা বলে। আসলে সীমা রুমে একাই ঘুমাতো রাতের বেলা। তবে বেশিরভাগ সময় সীমা রতনের বাসায় ই থাকতো। রতনের বাসায় ছিলো তার মা বাবা এবং ছোট ভাই। রতনের ছোট ভাই কলেজে অর্থাৎ ইন্টারমিডিয়েটে পড়ে।


যাইহোক রতনের মা যখন রতনকে জানালো, সীমা রাতের বেলায় মনে হয় কারো সাথে ফোনে কথা বলে। কারণ তিনি রাতের বেলা সীমার রুমের ভিতর থেকে কথার অল্প অল্প সাউন্ড পেয়েছিলেন নাকি। যদিও তিনি নিশ্চিত ছিলেন না এই ব্যাপারে। তখন রতন তার মা'কে বললো যে রাতের বেলা সীমার রুমে ঘুমানোর জন্য। তো সীমাকে যখন রতনের মা বললো রাতে তার সাথে ঘুমাবে,তখন সীমা রাজি হতে চায় না। সে বলে যে আপনি আমার সাথে ঘুমালে আমার ঘুমের ডিস্টার্ব হবে। কারণ আমি আগে থেকেই একা ঘুমিয়ে অভ্যস্ত। তো রতন সীমাকে বললো এখন থেকে রাতের বেলা মা তোমার সাথে ঘুমাবে। এটা শুনে তো সীমা রতনের সাথে ঝগড়া শুরু করে। এক পর্যায়ে সীমা বাধ্য হয় রতনের কথা শুনতে। কিন্তু সীমা আবার বলে যে,সে কয়েকদিন তাদের বাসায় গিয়ে থেকে আসতে চায়। তো রতন সীমার কথায় সম্মতি জানালো।


তো সীমা তাদের বাসায় গিয়ে রাতে একা একাই ঘুমাতো এবং রাতের বেলা ফোনে চুটিয়ে পরকীয়া প্রেম করতো। সীমা মোটামুটি ১০/১৫ দিন বাড়িতে ছিলো এবং এরইমধ্যে রতন মাঝেমধ্যে অনেক রাতে সীমাকে ফোন দিয়ে, ফোন বিজি পেতো। তখন রতনের সন্দেহ আরও বাড়তে থাকলো। রতন যখন সীমাকে জিজ্ঞেস করতো ফোন বিজি থাকার কথা, সীমা সেটা স্বীকার করতে চাইতো না। বরং সে বলতো তার বান্ধবী ফোন করতো। এটা নিয়ে তাদের মধ্যে তুমুলঝগড়া হতো। তো রতন সীমাকে বললো তাদের বাসায় চলে যেতে। এদিকে সীমার ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও, শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে সীমাকে রতনের বাসায় ফিরে যেতে হলো। কিন্তু সীমা রতনের বাসায় গিয়ে, তার প্রেমিককে বললো যে রাতের বেলা যাতে ফোন না করে। কারণ রাতের বেলা তো রতনের মা তার সাথে ঘুমাবে। যাইহোক এরপর আর কি কি হলো,সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)



পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিক্রিয়েটিভ রাইটিং(গল্প)
পোস্ট তৈরি@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy S9 Plus
তারিখ২৩.১০.২০২৪
লোকেশননারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমার পরিচয়

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

PUSS COIN: BUY/SELL