নাটক রিভিউ || কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি

mohinahmed -

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।



আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি। এই নাটকটি সপ্তাহ খানেক আগে রিলিজ হয়েছে। মাত্র কয়েক দিনে এই নাটকটি বেশ ভালোই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যাইহোক এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে ইয়াশ রোহান এবং তানজিম সাইয়ারা তটিনী। এই নাটকটি একটি রোমান্টিক নাটক,তাই দেখতে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।



ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে


নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ


নাটককখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি
রচনা ও পরিচালনামুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ
অভিনয়েইয়াশ রোহান,তানজিম সাইয়ারা তটিনী,শহীদুজ্জামান সেলিম,শিল্পী সরকার,মাহমুদুল ইসলাম মিঠু,সমু চৌধুরী,রাজু,দিশা,রিমু রোজা খন্দকার,রিজু ইনজাম,রিপন এবং আরও অনেকে
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা ভাষা
প্রচার১৪ই ডিসেম্বর ২০২৪
দৈর্ঘ্য৫৫ মিনিট
প্লাটফর্মইউটিউব


নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী নিম্নরুপঃ


নাটকের শুরুতে দেখা যায়, ইয়াশ রোহান বাইক চালিয়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় নায়িকা তটিনীকে দেখে এবং সে দেখা মাত্রই তটিনীকে পছন্দ করে ফেলে। তারপর তটিনীর সামনে গিয়ে রোহান বলে যে, আপনাকে দেখা মাত্রই বুকে ব্যথা শুরু হয়ে গিয়েছে। এরপর তটিনীর মোবাইল টান দিয়ে নিয়ে, রোহান তার মোবাইল নম্বর সেভ করে দেয় এবং বলে যে, কখনো যদি মনে হয় তার বুকের ব্যথা কমাবে, তাহলে তটিনী যাতে রোহানকে ফোন করে। তো কয়েকদিন পর তটিনীর সৎ মা তটিনীর বিয়ে ঠিক করে এক লোকের সাথে। সেই লোকের ওয়াইফ মারা গিয়েছে, কিন্তু ২জন সন্তান রয়েছে। তটিনীর বাবাও রাজি হয়ে যায়। তো তটিনী এই কথা শুনে বাসা থেকে পালানোর প্ল্যান করে এবং রোহানকে ফোন দেয় তারা দেখা করার পর, রোহান তটিনীর মুখ থেকে সবকিছু শুনে, তটিনীকে তার বাসায় ফেরত দিতে যায়।


ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

কিন্তু তটিনীর মা বাবা তটিনীকে বাসায় ঢুকতে দেয় না। তারা বলে যে তটিনী বাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে, তাদের মান সম্মান শেষ করে দিয়েছে। তো রোহান শেষ পর্যন্ত তটিনীকে নিয়ে তাদের বাসায় যায়। কিন্তু রোহান ছিলো বেকার। তাই রোহানের বড় ভাই এবং ভাবী রোহানকে অনেক কথা শুনিয়ে দেয়। তারপর রোহান এবং তটিনী অপমানিত হয়ে, বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তারপর রোহান তটিনীকে নিয়ে তার বন্ধুর বাসায় যায়। কিন্তু তার বন্ধু তো বাসা ভাড়া নিয়ে ব্যাচেলর থাকে। তাই সেখানে থাকতেও সমস্যা হতো তাদের। তবে অনেক দিন আগে সেই বাড়িওয়ালার অনেক বড় উপকার করেছিল রোহান। তাছাড়া সেই বাড়িওয়ালা এবং তটিনীর বাবা হচ্ছে বন্ধু।


ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

তো তটিনীর বাবাকে সেই বাড়িওয়ালা ফোন দিয়ে বলে যে, তার মেয়ের জামাই খুব ভালো মানুষ। যদিও তটিনী এবং রোহান বিয়ে করেনি,কিন্তু অনেকের কাছে বলেছে তারা বিয়ে করেছে। যাইহোক তটিনীর বাবা সেই বাসায় গিয়ে রোহান এবং তটিনীকে মেনে নেয়। এরপর সেই বাড়িওয়ালা রোহানকে ভালো একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়। আর সেই অফিসে রোহানের বড় ভাই চাকরি করে। রোহান সেই অফিসে তার বড় ভাইয়ের বস হয়ে যায়। যাইহোক রোহান এবং তটিনী আলাদা ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করে। এদিকে রোহানের ভাবী রোহানের মা বাবাকে চুরির অপবাদ দেয় এবং তারা কষ্ট পেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। যাইহোক এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই নাটকটি দেখতে হবে।


ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে


নাটকের লিংক👇👇


Loading iframe


ব্যক্তিগত মতামত


আসলে কাউকে মন থেকে ভালোবাসলে সেটা প্রকাশ করতে হয়। এই নাটকে রোহান যেমন তটিনীকে মন থেকে ভালোবেসেছিল এবং তটিনীকে মনের কথা খুলে বলেছিল বিধায়, শেষ পর্যন্ত তটিনীকে নিজের করে পেয়েছে। বাস্তবেও এমনটা হয়ে থাকে। কিন্তু কাউকে ভালোবেসে সেটা যদি প্রকাশ না করা হয়,তাহলে সারাজীবন আফসোস করতে হয়। তবে রোহানের আপন বড় ভাই এবং তার ভাবী, রোহান ও তার মা বাবাকে সারাক্ষণ কথা শোনাতো। আসলে এটা মোটেই উচিত নয়। মানুষের খারাপ দিন সবসময় থাকে না। বিশেষ করে রোহানের মা বাবা, তার ভাবীর কথায় ভীষণ কষ্ট পেতো। কিন্তু রোহানের বড় ভাই সেটার কোনো প্রতিবাদ করতো না। বরং রোহানের ভাবীকে সবসময় সাপোর্ট করতো। তাইতো রোহানের ভাবী আরও সুযোগ পেতো তাদেরকে কথা শোনানোর। যে রোহান বেকার ছিলো বলে সারাক্ষণ কথা শুনতে হতো, সেই রোহান একসময় অফিসে তার বড় ভাইয়ের বস হয়। এটাই প্রমাণ করে মানুষের দিন সবসময় একরকম যায় না। সৃষ্টিকর্তা চাইলে সবকিছুই সম্ভব। যাইহোক সবমিলিয়ে নাটকটি এককথায় দুর্দান্ত লেগেছে আমার কাছে।


আমার রেটিং


এই নাটকটিকে আমি ৯/১০ দিলাম।



পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিনাটক রিভিউ
স্ক্রিনশট ক্রেডিট@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy S24 Ultra
তারিখ২২.১২.২০২৪
লোকেশননারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমার পরিচয়

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

PUSS COIN: BUY/SELL