SuperWalk "হাঁটার অভ্যাস বদলে দিল জীবনের ধারা"

mohamad786 -

আসসালামু-আলাইকুম/আদাব।

হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।হ্যাঁ, আমিও অনেক ভালো আছি।

আজ আমি আপনাদের সামনে একটি ভিন্নধর্মী পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। সম্প্রতি আমাদের প্রিয় সুমন ভাই আমাদের সঙ্গে SuperWalk নামক একটি চমৎকার অ্যাপের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। তার পরামর্শেই আমি অ্যাপটি ডাউনলোড করি এবং পরের দিন থেকেই হাঁটাহাঁটি শুরু করি। প্রথম সপ্তাহে আমি অনেক হাঁটাহাঁটি করেছিলাম। যদিও তখন কোনো স্ক্রিনশট নিয়ে রাখিনি, তবুও অভিজ্ঞতাটি ছিল দারুণ।

দুর্ভাগ্যবশত, প্রথম সপ্তাহের পর আমি কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ি। ফলে, বাসার বাইরে আর যেতে পারিনি। এদিকে, পরীক্ষার চাপ এবং ক্যাম্পাসে ফোন নিয়ে যাওয়ার সীমাবদ্ধতার কারণে হাঁটার অভ্যাসেও ব্যাঘাত ঘটে। তবে, কয়েকদিন পর আমার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে। তখন ভাবলাম, আবার হাঁটাহাঁটি শুরু করা যাক।শুরুতে কিছুটা দুর্বল শরীর নিয়ে হাঁটা শুরু করলেও, ধীরে ধীরে আমার শরীরের মধ্যে একধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করতে থাকি। শরীরটা আস্তে আস্তে শক্তিশালী এবং চাঙ্গা হয়ে ওঠে। কয়েকদিনের মধ্যেই পুরোপুরি সুস্থ বোধ করতে লাগলাম। এই অভিজ্ঞতা আমাকে নতুন করে হাঁটার প্রতি আগ্রহী করে তোলে।

আসলে ছোটবেলা থেকেই আমি হাঁটাহাঁটি করতে খুব একটা পছন্দ করতাম না। সামান্য হাঁটলেই আমি ক্লান্ত হয়ে যেতাম। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি, সুস্থ থাকার জন্য হাঁটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু শরীরকেই ভালো রাখে না, মনকেও সতেজ রাখে। প্রতিদিনের সামান্য হাঁটাহাঁটি শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য একটি আশীর্বাদস্বরূপ। SuperWalk অ্যাপটি আমার জীবনের একটি বিশেষ দিক পরিবর্তন করেছে। এটি আমাকে হাঁটার প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে। অ্যাপটি ব্যবহার করে শুধু স্বাস্থ্য ভালো রাখাই নয়, অর্থ উপার্জনের সুযোগও পাওয়া যায়। এটি এক ধরনের নতুন অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করেছে। এখন আমি হাঁটতে বেশ পছন্দ করি। প্রতিদিন সকালে বা সন্ধ্যায় হাঁটার সময় মনে প্রশান্তি অনুভব করি।

এখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস ধরে রাখব। প্রতি সপ্তাহে আমি হাঁটার অগ্রগতি এবং এর মাধ্যমে অর্জিত স্বাস্থ্যগত উন্নতি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেব। এতে করে শুধু নিজেই উৎসাহিত হব না, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করতে পারব।হাঁটাহাঁটির অভ্যাস শুরু করার পর থেকে আমি একটি জিনিস শিখেছি—মানুষের শরীর চলাফেরার জন্য তৈরি। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা বা শারীরিক কার্যক্রম না করা শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করলে শরীরের মাংসপেশি সুসংহত হয়, হাড় শক্তিশালী হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। একই সঙ্গে এটি মানসিক চাপ কমায় এবং মনের প্রশান্তি এনে দেয়।তাই, আমি আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করব যে, আসুন আমরা সবাই নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করি। আমাদের শরীর এবং মনের যত্ন নিতে এটা একদম সহজ এবং কার্যকর একটি পদ্ধতি। আর এখন তো আমরা SuperWalk-এর মতো একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্ম পেয়েছি, যার মাধ্যমে হাঁটার মাধ্যমে আয় করার সুযোগও রয়েছে।

এখন থেকে আমার লক্ষ্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা। সেই সঙ্গে প্রতি সপ্তাহে আমি SuperWalk অ্যাপের মাধ্যমে অর্জিত অগ্রগতি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। আশা করি, আমার অভিজ্ঞতা আপনাদেরকেও হাঁটার প্রতি অনুপ্রাণিত করবে।আমরা অনেক সময় ব্যয় করি এমন কাজে যা আমাদের শরীরের জন্য তেমন কার্যকর নয়। অথচ মাত্র ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি আমাদের জীবনে অসাধারণ পরিবর্তন আনতে পারে। এটা শুধু স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়, আমাদের আত্মবিশ্বাসকেও বাড়ায়। আর SuperWalk-এর মতো উদ্যোগের কারণে হাঁটা এখন আর শুধু শারীরিক অনুশীলন নয়, বরং একটি আয়ের মাধ্যমও বটে।

সুতরাং, আমি আবারও আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করব যে, বেশি বেশি হাঁটুন। স্বাস্থ্য ভালো রাখুন এবং সুস্থ জীবনযাপন করুন। যারা এখনো SuperWalk অ্যাপটি ব্যবহার করেননি, তারা অবশ্যই এটি ডাউনলোড করে দেখতে পারেন। এটি শুধু আপনার শারীরিক উন্নতিই করবে না, আপনার জীবনধারাকেও পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে।

শেষে আমি বলতে চাই, হাঁটা শুধুমাত্র একটি শারীরিক অনুশীলন নয়, এটি জীবনের এক বিশেষ ধারা। আমি এখন থেকে হাঁটার অভ্যাসকে জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে গ্রহণ করেছি। আশা করি, আপনাদের সঙ্গেও আমি এই অভ্যাস এবং অভিজ্ঞতা ভাগ করতে পারব। আসুন, আমরা সবাই মিলে হাঁটাহাঁটির মাধ্যমে স্বাস্থ্য, মন এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে উপকৃত হই।


আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

আমার পরিচয়

আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ। আমি ঘোরাফেরা, লেখালেখি এবং ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসি। ভ্রমণের মাধ্যমে নতুন জায়গা ও সংস্কৃতি আবিষ্কার করতে আমার আনন্দ লাগে। বিভিন্ন মুহূর্ত ও দৃশ্যকে ক্যামেরার লেন্সে বন্দি করা আমার শখ। লেখালেখির মাধ্যমে আমি আমার ভাবনা, অভিজ্ঞতা ও অনুভূতিগুলো শেয়ার করতে ভালোবাসি। প্রকৃতির সৌন্দর্য, মানুষের জীবনধারা এবং ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমার লেখার মূল অনুপ্রেরণা। আমি প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করার চেষ্টা করি এবং সেগুলোকে স্মৃতিতে ধরে রাখি। এসব অভিজ্ঞতা আমাকে নতুন করে জীবনকে দেখার অনুপ্রেরণা দেয়।