সিজনের প্রথম বৃষ্টি।

moh.arif -

আজ - ৫ই চৈত্র |১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | বসন্তকাল |


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।





ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

কেমন আছেন সকালে? আশা করি ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকের সকালে ওয়েদারটা একেবারেই ভিন্ন রকম ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায়। খুব সকালে যখন ঘুম ভাঙলো তখন জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে দেখি বাহিরে অন্ধকার এবং পরিবেশটা একটু ভিজে ভিজে হয়েছিল। বোঝাই যাচ্ছিল দুই এক ফোঁটা বৃষ্টি পড়ছিল তখন। এরপর বিছানার এ পাশ ওপাশ করে আবারো ঘুমিয়ে পড়ি আর সেই ঘুম ভাঙতেই দেখি তখন বেলা ১১ টা বেজে গিয়েছে।

আসলে ইদানিং খুব রাত করে ঘুমানো হয় বলে সকালে ঘুম থেকে উঠতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। যদিও সকালে খুব দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার এই বদ অভ্যাসটা একদমই গড়ে তুলতে চায় না। তারপরও কিভাবে যেন সকালে ঘুম থেকে ওঠার মধ্যে একটি আলসেমি কাজ করে আমার মধ্যে। সেই ছোটবেলা থেকেই আমার এই আলসেমিটা। যখন স্কুল কলেজে পড়তাম তখনো সকালে ঘুম থেকে উঠতে এত বিরক্ত লাগতো যে মাঝে মাঝে স্কুল মিস করা হয়ে যেত। যাই হোক, নিশ্চয়ই আমার মতো অনেকে আছে যাদের সকালে ঘুম থেকে উঠতে আলসেমি রয়েছে ।

যাই হোক, সকালে আকাশ মেঘলা মেঘলা ছিল বিধায় মনে করেছিলাম আজ সারাটাদিন ওয়েদার টা মেঘলা হয়ে থাকবে। তবে দেখি বেলা বাড়ার সাথে সাথে আকাশে চিকচিকে রোদ উঠেছে। তবে, ওয়েদারের মধ্যে শীতলতা রয়েছে এখনো। যাই হোক, আমাদের এদিকে দুই-এক দিন ধরে বৃষ্টি পড়বে পড়বে এমন একটি ওয়েদার বিরাজ করছিল । তবে আজ সিজনের প্রথম বৃষ্টি পড়েছে। তবে জানতে পেরেছি অনেক আঞ্চলেই বৃষ্টি পড়েছে কয়েকবার করে।

আমার ব্যক্তিগতভাবে, দ্বিতীয় পছন্দের ঋতু হচ্ছে বর্ষাকাল। গ্রীষ্মকালে চারিদিকে যখন রুক্ষ শুষ্ক পরিবেশ বিরাজ করে তখন একটু শান্তির পরিবেশ নিয়ে আসে একটু একটু বৃষ্টি। গ্রীষ্মের দাবানলের গরমে শীতলতা আনতে বৃষ্টির কোন বিকল্প নেই। বৃষ্টি আমার খুবই পছন্দের হলেও এটা সত্যি যে, টানা কয়েকদিন যাবত আকাশ মেঘলা গম্ভীর থাকাটা আমার খুব একটা ভালো লাগে না। তখন কেমন জানি সব কিছুতেই আলসেমি, একঘেয়েমি কাজ করে। আকাশের মন খারাপের সাথে নিজের মন খারাপটা হয়ে যায়।

তবে অনেক রোদের পরে যখন, হঠাৎ আকাশ মেঘে কালো হয়ে ঝুম বৃষ্টি নামে তখন ওই বৃষ্টিটা খুবই ভালো লাগে। এবং ছুটে চলে যেতে ইচ্ছা করে বৃষ্টিতে ভিজতে। তবে এখনো ওই সকল ঝুম বৃষ্টি হতে অনেকটাই দেরি আছে। কেননা আগে গ্রীষ্মকাল তারপরেই তো সেই বর্ষাকাল আসবে। আর এখন সবেমাত্র গ্রীষ্মের শুরু।

আসলে প্রকৃতির এই বিভিন্ন রূপ গুলো আমার খুবই ভালো লাগে। এবং আমি প্রকৃতির এই ভিন্নতা গুলো খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারি। তাইতো বেশি ভাগ সময় আমার আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু হয় এই প্রকৃতি।

যাইহোক, শুধুমাত্র যে প্রকৃতি বৈচিত্র্যময় তা কিন্তু নয় এর সাথে সাথে আমাদের জীবনেও বৈচিত্র্য তা দেখতে পাওয়া যায়। এই পৃথিবীটা যতটাই না বৈচিত্র তার থেকে বেশি বৈচিত্র্য এই পৃথিবীর মানুষগুলো। প্রত্যেকটি মানুষের ধ্যান, ধারণা, চিন্তা শক্তি সবকিছুতেই লক্ষিত হয় এই বৈচিত্র্যতা। একজন মানুষের সাথে আরেকজন মানুষের অনেক ক্ষেত্রেই ভিন্নতা দেখতে পাওয়া যায়। মানুষের সংস্কৃতি মানুষের কথাবাত্রা, খাদ্য অভ্যাস, এমনকি সাজ পোশাকেও বৈচিত্রটা খুব ভালোভাবে দেখা যায় । পুরো বিশ্বের মানুষের কথা না হয় বাদই দিলাম। শুধুমাত্র নিজের শহরে থাকা মানুষগুলোর সাথে তুলনা করেই দেখলেই বুঝতে পারবো মানুষের মাঝে কতটা বৈচিত্র।

প্রকৃতি সাথে প্রকৃতির মধ্যে থাকা মানুষগুলোর মধ্যে এত বৈচিত্রতা রয়েছে বিধায় আমি মনে করি তাই তো পৃথিবীটা সুন্দর।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

VOTE @bangla.witness as witness



OR

SET @rme as your proxy