শিক্ষা ব্যবস্থা।

moh.arif -

আজ- ৪ঠা পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শীতকাল


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।





ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

কেমন আছেন সকলে? আশা করছি ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে তাপমাত্রা মোটামুটি ভালোই রয়েছে। খুব একটা ঠান্ডা নয়। আর আমার কাছে এই ওয়েদারটাই সবথেকে বেশি ভালো লাগে। তবে এমন ওয়েদার তো সবসময় থাকবে না। ষড় ঋতুর দেশ যেহেতু সময়ের সাথে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটবে। কখনো আবার ঠান্ডা থাকবে কখনো গরম থাকবে কখনো বা ঠান্ডা বা গরম দুটোই থাকবে। এভাবে করে একটি সার্কেলের মত ঋতু চলতে থাকবে।

যাইহোক আজকে আলোচনা করব আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। আসলে দেশের অন্যান্য বিষয়গুলো থেকে আমরা আমাদের দেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় নিয়ে অনেকটা হতাশ। যদিও দেশে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এর সংখ্যা নিতান্তই কম নয়। এখন তো বর্তমানে এমন এক পরিস্থিতি হয়েছে যে প্রত্যেকটা এলাকায় প্রত্যেকটা জায়গায় জায়গায় কিন্ডারগার্ডেন স্কুল খোলা রয়েছে। অল্প কিছু সংখ্যাক স্টুডেন্ট নিয়ে এই সকল স্কুলগুলো তৈরি হয়। বলছি না বিষয়টি খারাপ। তবে এত এত কিন্ডার গার্ডেন গুলো মূলত শিক্ষা দেওয়ার থেকেও খোলা হয় শিক্ষা ব্যবসার উদ্দেশ্য নিয়ে ।

এলাকার কিছু পরিচিত কয়েকজন ব্যক্তি শেয়ারে মিলে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করে এবং এভাবেই চলতে থাকে। এবং সময়ের সাথে সাথে পরিচিতি বাড়লে সে ক্ষেত্রে স্টুডেন্টের সংখ্যা বাড়ে এবং এক সময় স্কুলগুলো ভালো একটা অবস্থানে জায়গা করি নিবে। আর যদি কয়েক বছরেও স্কুলের শিক্ষার্থী সংখ্যা না বাড়ে সে ক্ষেত্রে একসময় স্কুল গুলো দেউলিয়া হয়ে যায়। ফলে স্কুলে যে সংখ্যা স্টুডেন্ট ছিল তারা অন্য স্কুলে যেতে বাধ্য হয়।

এই তো গেল কিন্ডারগার্ডেন কিংবা এলাকাভিত্তিক সাধারণ স্কুল গুলোর কার্যক্রম এরপর যে স্কুলগুলো রয়েছে সেখানে ঘটে অন্য আরেক বিষয়। সাধারণত বিখ্যাত কিংবা নামি দামি স্কুলগুলো সব সময় চেষ্টা করে নিজেদের অবস্থানগুলো ধরে রাখতে। তারা অন্যান্য নামি দামি স্কুলগুলোর সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। ফলে তখন স্টুডেন্টদের অনেকটা চাপের সম্মুখীন হতে হয়। তাছাড়া বিখ্যাত স্কুলে আরো একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা ভালো স্টুডেন্টগুলোই নেই এবং হয় সকাল স্টুডেন্টদের কারণেই স্কুলে ভালো একটি রেজাল্ট উপনীত হয়। বর্তমানে অভিভাবকদের এমন একটি লক্ষ্য থাকে, যে করে হোক তার সন্তানদেরকে সেই স্কুল টাতে ভর্তি করাতেই হবে। এবং কোন কারনে যদি সেটি না হয় তখন সন্তানের প্রতি তারা হতাশ হয়ে পড়ে।

আমাদের দেশে পাঠ্যপুস্তক শিক্ষাকে সবথেকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। কিন্তু এর বাহিরে যে শিক্ষার একটি ব্যাপার রয়েছে সেটি সেভাবে গুরুত্ব সহকারে দেখাই হয় না। মানুষ কাগজে-কলমে শিক্ষিত হলেও মনুষত্ববোধ কর্মকাণ্ডে শিক্ষিত নয়। মানুষের পাঠ্যক শিক্ষার পাশাপাশি একজন মানুষের মত মানুষ হয়ে ওঠার সে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে আর এটি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং পরিবার পরিবেশ এ সকল কিছুর উপর প্রভাব বিস্তার করে।

আজ তাহলে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবে, সুস্থ থাকবে। দেখা হবে পরবর্তী দিনে আবার ও কোন ভিন্ন বিষয় নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

VOTE @bangla.witness as witness



OR

SET @rme as your proxy