আমরা বর্তমানে যে এলাকায় আছি। সে এলাকায় যদিও আমরা স্থানীয় নয় তবে বেশ অনেক বছর ধরেই এখানে আছি বিধায় এলাকায় সবকিছুই আমাদের চেনা জানা । আমাদের এই এলাকায় বেশ পুরনো এবং বড় একটি স্কুলের মাঠ আছে। যেখানে একসময় প্রায় যাওয়া হতো বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিতে কিংবা ক্রিকেট খেলতে। তবে শেষ কয়েক বছর ধরে আমার এই স্কুলের মাঠে তেমন একটা আসা হতো না। তবে ঐদিন বহু বছর পর ওই স্কুল এর মাঠে গিয়েছিল কিছুক্ষণ সময় কাটাতে।
তবে বহুদিন পরে স্কুলের মাঠে গিয়ে বেশ অবাকই হয়েছি বটে কেননা এই স্কুলের পুরো পরিবেশ একেবারে বদলে গিয়েছে।
তো চলুন কথা না বাড়িয়ে স্কুলের ভিতরে এবং এর আশেপাশে কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
শহীদ মিনারে বসে এই ফটোগ্রাফিটি করেছি । যার কারণে শহীদ মিনানারের ছবিটি ক্যামেরাবন্দী করতে পারলাম না। আমি যেখানে বসেছিলাম ওইটার উপর একটি বিশাল বড় গাছ ছিল যার কারণে ওখানে সুন্দর একটা বাতাস আসছিল। আর দূরের ওই খোলা আকাশ টা দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল। তাই ভাবলাম এই সুন্দর দৃশ্যের একটি ফটোগ্রফি করি। আপনার নিশ্চয়ই দূরে দেখতে পারছেন বিল্ডিং তৈরির বিভিন্ন জিনিসপত্র এখনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আসলে স্কুল তৈরীর কাজটা এখনো সম্পন্ন ভাবে শেষ হয়নি। তাই মাঠের এই অবস্থা হয়ে আছে। বড় বড় ঘাস এবং ইট-পাথরের কারণে মাঠ খেলার অনুপোযোগী। তবে বর্ষার শেষে শীত আসতে আসতে পুরো মাঠ খেলার উপযোগী হয়ে উঠবে।
এই ছবিগুলো স্কুল গেটের বাইরে কিছু বিল্ডিং এর ফুল গাছ থেকে তোলা হয়েছে। আসলে এই কয়েক বছরে স্কুলের পরিবেশ যেভাবে পরিবর্তন হয়েছে স্কুলের বাহিরের গেটের আশেপাশের পরিবেশ গুলো অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। বেশ পরিপাটি এবং খুব সুন্দর ভাবে সাজানো সবকিছু।
স্কুলের মাঠের এক কোনায় এই ছোট্ট ফুল গাছগুলো লাগানো হয়েছে । এই ফুলগুলো আমি এর আগে কখনো দেখিনি। ফুলগুলো খুবই ছোট এবং দেখতে ও খুবই সুন্দর।
স্কুলের গেটের বাহিরের একটি দোকান থেকে এই ঠান্ডা ড্রিংকসটা নিয়েছি। স্কুলের মাঠে ওই শহীদ মিনারটি তে বসে বসে খাবো বলে। বাজারে মনে হয় ড্রিংকসটি নতুন এসেছে কেননা এর আগে আমি কখনও চোখে পড়েনি। যাইহোক খুবই মজার ছিল এই ড্রিংকসটা।
এটি স্কুলের পিছনের গেট। আপনারা এখানে যে বিল্ডিংটি দেখছেন ওইটি হচ্ছে স্কুলের পিছনের দিকটা।
গাঢ় নীল আকাশ তার সাথে দেশের পতাকা। চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মত একটি দৃশ্য এটি।
গাছটির ছবি তুলছিলাম হঠাৎ দেখলাম কতগুলো পাখি উড়ে এসে গাছের মগডালে বসে পড়েছে। বিষয়টি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল। তাই জুম করে একটি ফটোগ্রাফি করেছি। যদিও ফটোগ্রাফি তেমন একটি ভালো আসেনি আর পাখিগুলো তেমন একটি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। তবে আপনারা ভালোভাবে খেয়াল করলে পাখিগুলোকে দেখতে পারবেন। আমি দেখতে চাই আপনাদের কার চোখের পাওয়ার কতটুকু। এখানে আপনারা কে কয়েকটি পাখি খুঁজে পেয়েছেন তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন কিন্তু।
শেষে সুন্দর নীল আকাশের দৃশ্য দেখিয়ে আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করছি। সকলে ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। পরের দিন ভিন্ন কিছু নিয়ে আবারো হাজির হবো। আল্লাহাফেজ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |