আমরা বাঙালিরা বরাবরই ভোজন রসিক। একটু কিছুতে কিছু হলেই আমাদের খাবারের প্রতি বায়না টা বেড়ে যায়। খাবারকে ঘিরে আমাদের সব কল্পনা জল্পনা খাবারের মধ্যেই আমরা আনন্দ পায় । যাইহোক আজ আমি আপনাদের সাথে বাঙালি অতি জনপ্রিয় একটি খাবারের রেসিপি হাজির হয়েছি।
কয়েকদিন আগে আমাদের এদিকে টানা বৃষ্টি হয়েছিল আর এই বৃষ্টিভেজা ওয়েদারে খিচুড়ি না হলে কি জমে আর তাইতো ওই বৃষ্টিভেজা ওয়েদারটাকে উপভোগ করতে বাসায় খিচুড়ি রান্না করা হয়েছিল আর সেই খিচুড়ি রেসিপি টাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
আমার পছন্দের খাবারের তালিকা গুলোর মধ্যে খিচুড়ি ও রয়েছে। বিশেষ করে ভুনা খিচুড়ি টা আমার খুবই প্রিয়। ভুনা মাছ বা মাংসের সাথে একটু আচার ও পেঁয়াজ কাঁচামরিচ দিয়ে এই ভুনা খিচুড়িটা খেতে খুব বেশি ভালো লাগে। আজ আমি আপনার সাথে যে খিচুড়ি রেসিপি টা শেয়ার করতে চলেছি সে রেসিপিটা খুবই সহজ এবং অল্প উপকরণ দিয়ে তৈরি করা যায়।
তো চলুন কথা না বাড়িয়ে রেসিপিটি শুরু করি -
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপ-১ঃ
- প্রথমে দুইকাপ চিনিগুড়া চাল এবং এক কাপ মুগের ডাল নিয়ে নিবো। ডালগুলোকে কিছুক্ষণ টেলে পানিতে ভিজিয়ে রাখব।
ধাপ-২ঃ
- এরপর ভিজিয়ে রাখা মুগের ডাল এবং চাল গুলোকে একসাথে ভালোভাবে ধুয়ে নিব ।
ধাপ-৩ঃ
- এরপর ছোট-ছোট আলু কেটে নিব এরপর আলু গুলোকে তেলের মধ্যে ভালোভাবে ভেজে নিব।
ধাপ-৪ঃ
- এরপর অন্য আরেকটি পাত্রে তেল গরম করতে দিব তেল গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, তেজপাতা, আদাবাটা রসুনবাটা এই সবকিছু দিয়ে একসাথে ভালো ভাবে তেলের মধ্যে কিছুক্ষণ ভেজে নিব।
ধাপ-৫ঃ
- মসলাগুলোকে তেলে কষিয়ে নেওয়া শেষে পূর্বে ধুয়ে রাখা চাল এবং ডালগুলোকে এর মধ্যে দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে নিব এরপর ভেজে রাখা আলু গুলোকে ও এর মধ্যে দিয়ে দিব।
ধাপ-৬ঃ
- এরপর এর মধ্যে পরিমাণ মত পানি এবং কাঁচামরিচ দিয়ে দিব।
ধাপ-৭ঃ
- ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখবো কিছুক্ষণ এবং মাঝে মাঝে নেড়ে চেড়ে দিব।
ধাপ-৮ঃ
- যখন দেখবো চাল এবং ডালগুলো ফুটে এসেছে এবং পানিগুলো টেনে গেছে তখন খিচুড়ি গুলোকে নামে নিব।
ধাপ-৯ঃ
- ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল মজাদার ভুনা খিচুড়ি।
সকলকে ধন্যবাদ।
Support
@heroism Initiative by Delegating your Steem Power