হয়রানি।

moh.arif -

আজ- ৬ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।





ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

কেমন আছেন সকলে? আশা করছি ভাল আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। গত কয়েকদিনের গরমের তুলনা আজকের ওয়েদার টা কিছুটা ভালো। আকাশটা মেঘলা মেঘলা এবং হালকা বাতাস রয়েছে। খুব সুন্দর একটি ওয়েদার দিয়ে আজকের সকালটা শুরু হল এখন শুধু এটাই দেখার বাকি দিনের অন্যান্য সময় গুলো কেমন ভাবে কাটে। আসলে দিনের শুরুটা যদি সুন্দর ভাবে কাটে তাহলে বাকি সময় গুলো অনেকটা শান্ত অনুভব হয় এবং সারাদিনের কর্মকাণ্ড গুলো খুব সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হয়। আর সকালটাই হচ্ছে দিনের শুরু আর এ সকালটা যদি বিরক্ততার সাথে শুরু হয় তাহলে বাকি সময় গুলো আমাদের খুবই অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে কাটতে হয়। তবে আজকের ওয়েদারটা যেহেতু বেশ সুন্দর তাই আশা করা যে দিনে বাকি সময় গুলো খুব ভালোভাবে কাটবে।

যাইহোক, আজকে দেশের আইন ব্যবস্থা এবং এই নিয়ে আমাদের জনগণের ভোগান্তির বিষয়গুলো আপনার সাথে শেয়ার করব।

একটা দেশের আইন তৈরি করা হয় জনগণের সুবিধার জন্য এবং দেশে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য। কিন্তু যখন দেশে প্রচলিত সে আইন গুলোই বিশৃঙ্খলের সৃষ্টি করে তখন জনগণের সুবিধা থেকে অসুবিধাটাই বেশি হয়ে থাকে। নিজের দেশ সম্পর্কে যদিও নিন্দনীয় মন্তব্য কখনোই করা উচিত নয় তারপরও কিছু বিষয়ে না বলে থাকা যায় না। কোন একটি নিয়ম যখন তৈরি করা হয়েছে সে নিয়মটি সুশৃঙ্খলভাবে পালন করাও প্রশাসনিক পর্যায়ে শাখা ও সকল ব্যক্তিদের কর্তব্য। কিন্তু সে সকল কর্তব্য গুলো যথাযথ পালন হয়ে আসছে না দিনের পর দিন ধরে।

এইতো কিছুদিন আগে আমার বোনের জন্ম নিবন্ধন সংশোধনে দিয়েছি। খুব বেশি ভুল নয় বরং খুব ছোট্ট একটা ভুল এবং ভুলটা কিন্তু তারা নিজেরাই করেছে। আসলে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোতে অযোগ্য ব্যক্তিরা ঢুকলে যা হয় আর কি।

যাই হোক, কথা ছিল সর্বোচ্চ ১০-১৫ দিনের ভিতরে সংশোধন হয়ে যাবে। দুই তিন দিনের মধ্যে হয়ে যাওয়ার কথা কিন্তু তারপরেও সর্বোচ্চ ১০-১৫ দিনের বেশি সময় লাগবে না এমনটাই আশা দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু সে ১০ ১৫ দিনের জায়গায় আজ এতগুলো দিন হয়ে গেল এখনো কোনো সংশোধনের নাম নেই।

সত্যি বলতে যে কোন বৈধ কাজ সংশোধনের ক্ষেত্রে মানুষের প্রচুর ভোগান্তির শিকার হতে হয় তাই মানুষ বাধ্য হয়ে ঘুষ দিয়ে অল্প সময়ে জরুরী ভিত্তিক কাজগুলো করিয়ে নিতে। আর যার কাছে অর্থ আছে ঘুষ দেওয়ার তাদের কাজগুলোই আগে হয় আর যারা সাধারণভাবে করতে চাই তাদের কাজগুলো দিনের পর দিন চাপা পড়ে থাকে। যেকোনো সহজ সরল বৈধ ভাবে কাজ না করলে মানুষ তো ভিন্নভাবে কাজটি আদায় করে নিবে। এখন কথা হচ্ছে প্রতি মাসে মাসে যে সরকার তাদের নিজস্ব কাজের জন্য বেতন দিয়ে থাকে তাহলে সে দায়িত্ব তারা আর কই পালন করলো।

উচু উঁচু গুরুত্বপূর্ণ আসনগুলোতে বসে থাকা মানুষগুলো তাদের কর্ম ক্ষেত্রে প্রচুর অবহেলা করে থাকে। যার ফলে দেশের পুরো কর্মকাণ্ডগুলোতে এতটা ধীর গতি সম্পূর্ণ হচ্ছে।

আমরা প্রত্যেকে প্রতিনিয়ত কাগজপত্র সংশোধনের ক্ষেত্রে এভাবে হয়রানি স্বীকার হয়ে আসছি। কিন্তু দিনশেষে আমাদের কিছুই করার থাকেনা এসব কিছু মেনে নিয়েই চলতে হচ্ছে।

আজ তাহলে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী দিন আবার ও ভিন্ন কোন আলোচনা নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

VOTE @bangla.witness as witness



OR

SET @rme as your proxy