||ক্রিটিভ রাইটিং||শীত চলে এলো||১০%@shy-fox এর জন্য

mdemaislam00 -

হ্যালো..!!
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ পরিবার
আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে
আজ , বুধবার, নভেম্বর / ১৩ /২০২৪


Source

হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শীত সম্পর্কে কিছু কথা শেয়ার করতে এসেছি। গ্রীষ্মকালের পরে শীত চলে এলো ।শীতকাল আমার কাছে অনেক ভালো লাগে ।কেননা অল্প একটু ঠান্ডা অল্প একটু গরম। অনেকজনের কাছে আবার শীতকাল তেমন একটা ভালো লাগে না। কেননা শীতকালে বেশিরভাগই মানুষ অসুস্থ হয়। সর্দি কাশি ঠান্ডা লেগেই থাকে ।বিশেষ করে যাদের বাড়িতে ছোট বাচ্চা আছে তাদের অনেক ঝামেলা হয়ে থাকে। অতিরিক্ত ঠান্ডা পড়ার কারণে বাচ্চারা প্রতিনিয়ত অসুস্থ হয়েই থাকে ।শীতকালে আবার এত কুয়াশা হয় যে প্রায় ২-১ দিন ধরে রোদের মুখ দেখা যায় না। তখন চাষীদের অনেক ক্ষতি হয়ে যায় ।কেননা তারা তাদের কাজে না যাওয়ার কারণে সংসারে অনেক আর্থিক সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় অনেকের বাড়িতে আবার ঠিকমতো চুলায় রান্নাও বসাতে পারে না।

Source

শীতকালে সব থেকে আমার বেশি ভালো লাগে বসে বসে চা খেতে। কেননা শীতকালে বিস্কিট দিয়ে বসে বসে চা খাওয়ার মজাই আলাদা ।শীতকাল আসলেই যেন পোশাকের বাহার দেখা যায় ।যে দিকে তাকায় সেদিকে যেন নতুন নতুন সবাই অনেকগুলো পোশাক পড়ে আছে ।ছোট থেকে শুরু করে সকলেই টুপি বা মজা পড়ে থাকে। এগুলো পড়া অনেক ভালো কেননা এগুলো না পড়লে বেশিরভাগই মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়বে। সব থেকে ছোটদের একটু বেশি খেয়াল রাখতে হয় ।কেননা তাদেরকে ঠিকমতো পোশাক না পড়ালে তাদের ঠান্ডা লেগে যায় ।সকালে যখন ঘুম থেকে উঠে হালকা একটু রোদ বের হয়, আর চেয়ারে বসে চা খাওয়া হয় আসলেই এই ব্যাপারটা আমার কাছে একটু বেশি ভালো লাগে। গ্রাম অঞ্চলের মানুষ তেমন একটা চা না খেলেও শহরে চায়ের প্রচলন অনেক । গ্রাম অঞ্চলে শীতকালে সকালবেলায় বেশিরভাগ দেখতে পাওয়া যায় দোকানে বসে বয়স্ক লোকদের চা খেতে।


Source

শীতকাল আসলেই মনে পড়ে খেজুর গাছে সেই ভার বাঁধার কথা । শীতকাল আসলেই চারদিকে যেন গাছে গাছে ভার বাধার একটা মেলা বসে ।শীতকালে খেজুরের রস অনেক জনপ্রিয় ।অনেকেই এই রস খেয়ে থাকে। আপনারা যদি না খান তাহলে হয়তো এর স্বাদ বুঝতে পারবেন না ।ছোটকালে আমরা অনেক খেজুর গাছে বোতল বেঁধে রাখতাম ।বদলবেঁধে রেখে সকাল সকাল রস নেওয়ার জন্য চলে যেতাম। আমাদের গ্রাম অঞ্চলে খেজুরের রস প্রচুর পরিমাণ পাওয়া যায় ।শহরে হয়তো তেমন একটা পাওয়া যায় না। কিন্তু শহরে বিক্রয় করে থাকে। অনেকের রস কিনে খাই ।খেজুরের রস দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠাপুলি তৈরি করা হয়। যখন কৃষকের মাঠে ফসল কেটে ধান ঘরে আনে। সেই ধানের ময়দা করে সেই ময়দা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানিয়ে খেজুরের রস দিয়ে ভেজানো হয়। খেজুরের রসে ভেজানো পিঠা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে খেতে। আপনারা হয়তো অনেকেই খেজুরের রস দিয়ে ভেজানো পিঠা খেতে অনেক পছন্দ করেন। অনেকে আবার খেজুরের রস দিয়ে খগর রান্না করেও খেয়ে থাকে।


Source

শীতকাল আসলেই জনপ্রিয় পিঠা হলো চৈতল পিঠা বা ভাপা পিঠা। শীতকাল আসলেই নারিকেল তিল ও ডাল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পুলি পিঠা তৈরি করে সেগুলো পানিতে সিদ্ধ করে খাওয়া হয় ।এই পিঠা খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। কেননা এই পিঠাগুলো তৈরি করে অনেক দিন সংরক্ষণ করে খাওয়া যায়। আমাদের গ্রাম অঞ্চলে এ পিঠাগুলো অনেক জনপ্রিয় ।শীতকাল আসলেই পিঠাগুলো বানানোর যেন ধুম পড়ে। শহরে দেখতে পাওয়া যায় শীতের সকালবেলায় রাস্তার পাশে চৈতল পিঠা বানিয়ে বিক্রি করে। এগুলো খেজুরের গুড় দিয়ে খেতে অনেক ভালো লাগে। অনেকে আবার ধুপি বানিয়েও সেগুলো বিক্রি করে থাকে। যখন আমরা সকালবেলায় প্রাইভেট পড়তে যেতাম তখন দেখতে পেলাম রাস্তার পাশে একটা বয়স্ক ভদ্র দাদী চৈতল পিঠা বা ধুপি বানিয়ে সেগুলো বিক্রয় করতো। শীতকাল আসলেই পুরো দিনের সে কথাগুলো আবারো মনে পড়ে যায়। একসাথে বসে আগুন পোহানো খই মুড়ি খাওয়া। একসাথে বসে আগুন পোহাতে পোহাতে গল্প করা ।এই সব কিছু যেন শীতকালের সাথে জড়িয়ে আছে । শীতকালের কথাগুলো আশা করি ভালো লেগেছে? কতটা ভালো লেগেছে কমেন্টে জানাতে পারেন?

🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹

আল্লাহ হাফেজ...! আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হবে ইনশাল্লাহ ❣️❣️❣️


ব্লগার@mdemaislam00
ব্লগিং ডিভাইসinfinix note 11pro
অনুবাদেমোছাঃ ইমা খাতুন
শ্রেণীক্রিটিভ রাইটিং
আমার নাম মোছাঃ ইমা খাতুন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বর্তমান ঠিকানা ষোলটাকা, গাংনী মেহেরপুর। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করতে অনেক পছন্দ করি এছাড়াও আমি লেখালেখি এবং ডাই পোস্ট করতে ভালোবাসি। আমি এসএসসি পাশ করেছি আমাদের গ্রাম থেকে এবং পাশাপাশি ব্লগিং করি এবং নিজের যোগ্যতাকে যোগ্য অবস্থান দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি মানুষ একদিন হয়তো থাকবে না কিন্তু মানুষের কর্ম সারা জীবন থেকে যাবে এই জন্য আমি কাজের ভিতরে আসল শান্তি খুঁজে পাই।