এলোমেলো ঘুরে বেড়ানো

kingporos -

নমস্কার বন্ধুরা,

সকাল ন'টায় বাড়ি থেকে বেরোনো আর সন্ধ্যা ছটায় বাড়ি ফিরে আসা। দুইয়ের মাঝে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি তৈরী হয়। মাঝেমধ্যে তাই খুব ইচ্ছে করে একঘেঁয়েমি জীবনটাকে একটু দূরে সরিয়ে ছুটে কোথাও চলে যাই, দুদন্ড ঘুরে আসি। কারণ একঘেঁয়েমি পনা যে কাউকে মানসিক ভাবে পর্যুদস্ত করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তবে চাইলেই তো আর ছুটে যাওয়া যায় না। কিছু দায়িত্ব থাকে সেগুলোই বারবার আটকে দেয়। তবে মাঝেসাঝে একঘেঁয়েমি কাটাতে আমি ব্যাটারি চালিত টোটোতে চড়ে আশেপাশ থেকে ঘুরে আসি। টোটো গুলোতে দশ টাকা খরচ করলেই সাত আট কিলোমিটার পর্যন্ত যাওয়া যায়।

আমি যেটা করি বাড়ির কিছুটা আগে বাস থেকে নেবে টোটোতে উঠে পড়ি, তারপর অল্প দূরে গিয়ে নেমে পড়লাম ফের দশ টাকা খরচ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। মাঝের সময়টুকু গায়ে হাওয়া লাগলেই সবরকম ক্লান্তি দূরে সরে যায়। তা সেদিন সন্ধ্যাবেলায় যখন একজন বলে উঠলো, যাবে নাকি আঙ্কেল কিছু সার স্টক করতে হতো সেগুলোই কিনতে যাচ্ছি। আহা! এ যেন মেঘ না চাইতেই জল।

মনে মনে ভাবলাম, বাহ বেশ ভাল সুযোগ পাওয়া গেছে। এই ফাঁকে কাছ থেকে ঘুরেও জায়গাটা দেখেও আসা যাবে আর রাস্তাতে হাওয়া খাওয়াও যাবে। কোন জায়গা দেখতে তো বেশ ভালোই লাগ। প্রস্তাব পাওয়া মাত্র তাকে কথা বললাম যে, আমাকে দশটা মিনিট সময় দে আমি টুক বাড়ি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে জামা কাপড়টা বদলে আসছি। যেমন বলা তেমন কাজ। বাড়ি গিয়ে কোনোমতে চোখে মুখে জলের ঝাপটা দিয়ে ঝটপট জামা কাপড় বদলে বেরিয়ে পড়লাম।

ফুরফুর করে গায়ে হাওয়া লাগাতে টোটো চলতে শুরু করলো। ততক্ষণে সন্ধ্যা নেমেছে মাত্র। সন্ধ্যার আমেজে হাওয়া খেতে খেতে কখন যে টুক করে পৌঁছে গেলাম আমাদের গন্তব্যে সেটা বুঝতেই পারলাম না। দোকানে তখন বেশ ভীড়।

সার কিনতে অনেকটা সময় লাগবে বুঝতেই পারলাম। কিন্তু সেখানে কিছুক্ষণ বসে থাকতেই আমার বড় অসহ্য লাগতে শুরু করলো কারণটা হলো রাসায়নিক সারের অদ্ভুত গন্ধ।

কিন্তু উপায় নেই। দু'দণ্ড বসতেই হবে। গন্ধের মধ্যেই বসে থাকলাম কিছুক্ষণ। মালপত্র অর্ডার দেওয়া হলে টাকা পেমেন্ট করে অবশেষে আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো মূল গোডাউনে, মালপত্র তোলার জন্য। সে ইয়া বড়ো গোডাউন। লক্ষ্যাধিক টাকার উপরে সেখানে সার জমানো। আমাদের প্রয়োজন ছিল ইউরিয়া এবং ফসফেট। আমরা সেগুলোর বেশ কয়েক বস্তা টোটোতে চাপিয়ে রওনা হয়ে গেলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে।

ফেরার সময় আমি আর পেছনের দিকে বসলাম না কারণ পেছনে বসলেই ছিল মুশকিল। ভয়ানক সারের গন্ধ থেকে বাঁচতে এক মাত্র উপায় ছিলো সামনে বসা। আহা! সামনে বসে যেন আরো বেশি আরাম। সারাদিনের সবটুকু ক্লান্তি ভাবটা টোটো চড়ে নিমেষে কেটে গেল।




||আমার বাংলা ব্লগ & ডিসকর্ড||


Support @heroism by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

|| Join HEROISM ||