গ্রাম বাংলার ঐতিহাসিক সাপ খেলার ভিডিওগ্রাফি
9 comments
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১২-১১-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি গ্রাম বাংলার ঐতিহাসিক সাপ খেলার ভিডিওগ্রাফি। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। প্রথমে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে বেশ কিছু সময় বাড়িতেই ছিলাম। তারপরে বাইক নিয়ে বের হয়েছিলাম মাছের পুকুরের খাবার দেওয়ার জন্য। মাছের পুকুরে খাবার দেওয়া শেষ করে এসে বাড়িতে হাতমুখ ধুয়ে সকালবেলার নাস্তা খেয়েছিলাম। তারপরে আমি puss কয়েন প্রচারের জন্য বেশ কিছু সময় টুইটারে এবং কয়েন মার্কেটক্যাপে এবং আমাদের অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে বেশকিছু সময় সক্রিয় ছিলাম। আমি আবার জায়গা থেকে চেষ্টা করছি প্রতিনিয়ত puss কয়েনের প্রমোশন করার জন্য। দুপুর বেলায় একটু মাঠে গিয়েছিলাম মাঠ থেকে বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ভাবলাম আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট শেয়ার করা দরকার। মোবাইলের গ্যালারিতে ঢুকে দেখি কিছুদিন আগে আমাদের এলাকায় সাপ খেলা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল সেখান থেকে একটি ভিডিওগ্রাফি আমি সংগ্রহ করেছিলাম সেটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক।
আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন প্রথম ছবিটাতে দুইটি ছাপ একটি মঞ্চের উপরে তুলে দেওয়া হয়েছে দুইটি সাপ মাথা খাড়া করে দাঁড়িয়ে আছে অন্যদিকে একজন সাপুড়ে সাপের সামনে নাচ গান করছিল এবং বক্সে সাপের গান বাজছিল সত্যি তালে তালে গানগুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগছিল। যে সাপুড়ি সাপের সামনে নাচানাচি করছিল দেখে সত্যি আমি বেশ মুগ্ধ হয়ে ছিলাম আসলে তিনি অনেক কষ্ট পেয়েছিল আমার কাছে মনে হয়েছিল। প্রত্যেক জন প্লেয়ারের তার দুইটি করে সাপ মঞ্চের উপরে দিবে এবং ১৫ মিনিট যদি মাথা খাড়া করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে তাহলেই এক পয়েন্ট পাবে এখানে পয়েন্টের খেলা চলছিল। অনেক দূর দুরান্ত থেকে অনেক এলাকা থেকে গ্রামের মানুষ এসেছিল এই খেলা দেখার জন্য সত্যি আমার কাছে বেশ চমৎকার লেগেছিল এই খেলা দেখতে। আপনার উপরে আরো লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন সাপের খেলা দেখানোর মঞ্চের নিচে অনেকগুলো সাপের হাঁড়ি রয়েছে প্রত্যেকটি হাঁড়ির মধ্যে একটি করে সাপ রাখা ছিল। প্রত্যেকটি সাপ ছিল কুলিন সাপ।
আমি উপরে আবারো আপনাদের মাঝে চমৎকার ছবি শেয়ার করেছি। আসলে দুটি সাপ মঞ্চের উপরে যখন মাথা খাড়া করে দাঁড়িয়েছিল এবং সাপুড়ি যখন সাপ দুটি সামনে নাচানাচি করছিল। বিপক্ষ টিমের প্লেয়াররা সাপের খেলা দেখানোর মঞ্চের পাশে বসে মন্তর পড়ছিল এবং সাপকে কিভাবে মাথা খাড়া করা থেকে নিচে নামানো যায় এই পদ্ধতি অবলম্বন করছিল। সত্যি এখানে দুই পক্ষ খেলা দেখতে আমার কাছে কি যে ভালো লেগেছিল বলে বোঝানো যাবে না। আমি বিকেল বেলার দিকে এই খেলা দেখতে গিয়েছিলাম সেদিন দুপুর থেকে খেলা শুরু হয়েছিল কিন্তু ফাইনাল খেলা শেষ হতে হতে অনেক রাত্রি হয়ে গিয়েছিল। আপনাদের মাঝে ভিডিওটি শেয়ার করলে আপনারা সব থেকে বেশি মজা পাবেন দেখে। সাপ খেলা দেখতে গিয়েছিলাম আমি এবং আমার কাকা। আসলে আমার কাকা চাকরি করে বাড়িতে আসার পর থেকে দুজন প্রায় একই সময় সারাদিন ঘোরাঘুরি করি। তবে চলুন আপনাদের মাঝে ভিডিওটা শেয়ার করা যাক।
আপনারা উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে সাপ খেলার ভিডিওগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আমি আশা করি আপনারা গ্রাম বাংলার এই সাপ খেলার প্রতিযোগিতার ভিডিও দেখলে বেশ ভালো লাগবে। আসলে এর আগেও আমি সাপ খেলা দেখেছিলাম কিন্তু এরকম প্রতিযোগিতা কখনোই দেখেছিলাম না আমার কাছেও বেশ অবাক লেগেছিল। তবে যে সাপুড়ে সাপের সামনে নাচানাচি করছিল সত্যি কি যে কষ্ট পেয়েছিল বলে বোঝানো যাবে না প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট সাপের সামনে নাচানাচি করছিল। অবশেষে তিনি যখন খেলা শেষ করলেন মঞ্চের এক সাইডে তার টিমের প্লেয়াররা ধরে তাকে বসিয়ে রেখেছিল। আমার কাছে সব থেকে এই সাপ খেলাটি বেশি ভালো লেগেছে আমি এখনো আপনাদের মাঝে বেশ কয়েকটি পোস্ট শেয়ার করবে এ বিষয় নিয়ে। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
শ্রেণী | ভিডিওগ্রাফি |
---|---|
লেখক | @kibreay001 |
ডিভাইস | oppo f21s pro |
লোকেশন | গাংনী,মেহেরপুর |
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছি। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Comments