আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি
@kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি কবুতর সম্পর্কে কিছু আলোচনা । আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই হালকা একটু নাস্তা খেয়ে কোচিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। কোচিং শেষ করার পর বন্ধুরা মিলে কোচিং এর পাশে একটি কফি হাউজে বেশ কিছু সময় আড্ডা দিয়েছিলাম। আড্ডা দেওয়া শেষে অতিরিক্ত রোধের তাপমাত্রার কারণে আমি খুব দ্রুত বাড়িতে চলে এসেছিলাম। আসলে আমাদের এলাকায় রোদের বর্তমান তাপমাত্রা প্রায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাড়িতে এসে রুমের মধ্যে প্রবেশ করার পরে মনে হচ্ছে আমি গরমে শেষ। বাইরে বাগানে বেশ কিছু সময় বসে ছিলাম তখনই ভাবলাম আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট শেয়ার করে ফেলি। তবে চলুন আজকে আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট শেয়ার করা যাক.......
আসলে আমি অনেক ছোটবেলা থেকেই কবুতর পালন করতে বেশ পছন্দ করি। আমি যখন ক্লাস ফোরে পড়তাম তখন আমার আব্বু আমাকে দুইটা কবুতরের ঘর বানিয়ে দিয়েছিল সেখান থেকে আমি মূলত কবুতর পালন শুরু করেছিলাম। সেই ঘরে আমি প্রথমে আমাদের বামুন্দি বাজার থেকে প্রায় ছয় জোড়া কবুতর কিনেছিলাম। সেই ছয় জোড়া কবুতর থেকে এখন আমার প্রায় ৪৩ জোড়া কবুতর রয়েছে। তবে আমি বাজারে কবুতর কিনতে গিয়েছিলাম আমার নানীদের জন্য। আমি এবং মোস্তাফিজের মামা বেশ কিছুদিন আগে মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স আনার জন্য মেহেরপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। সেখান থেকে আমরা মূলত কবুতরের বাজারের মধ্যে প্রবেশ করেছিলাম কিছু কবুতর কেনার জন্য। তবে আমাদের এলাকার তুলনায় মেহেরপুরে কবুতরের দাম অনেক বেশি। তবে কবুতরগুলো দেখে আমার কাছে বেশ পছন্দ হয়েছিল।
আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও অনেক সুন্দর ভাবে দুইটি ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে আমার কাছে তিলি তিলি কবুতরগুলো দেখতে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। নিচের ছবিতে আপনারা যে দুইটা ডেইগী কবুতর দেখতে পারছেন আমি এই দুইটা কবুতর নেওয়ার জন্য মেহেরপুর থেকে পছন্দ করেছিলাম। কিন্তু আমার কাছে কবুতর দুইটির দাম বলেছিল ৭০০ টাকা। কিন্তু আমাদের এলাকায় প্রাপ্তবয়স্ক বাচ্চা দেওয়া কবুতরের দাম ৬০০ টাকার নিচে। তাই সেখান থেকে আর কবুতর কিনেছিলাম না শুধুমাত্র কবুতরের ছবিগুলো তুলেই বাড়ির উদ্দেশ্যে আবারো রওনা দিয়েছিলাম আমরা। তবে বাজারের মধ্যে সব কবিতাগুলোর মধ্যে আমার কাছে এই দুইটা কবুতর বেশ পছন্দ হয়েছিল তাও পরবর্তীতে আমি ৬০০ টাকা দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু কবুতর আমাকে দিয়েছিল না।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে কবুতরের ছবি তুলে শেয়ার করেছি। বাজারের মধ্যে খাঁচার মধ্যে বিক্রয় করার জন্য কিছু কবিতা রাখা হয়েছে। সেই কবুতর খাঁচার মধ্যে ডিম দিয়ে বাচ্চা তুলেছে সত্যি দেখে আমি একটু অবাক হয়েছিলাম। এর আগে আমি কখনো খাঁচার মধ্যে কবুতরের বাচ্চা তুলতে দেখেছিলাম না। কুচকুচে কালো কালারের কবুতর দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। বাজারের মধ্যে কবুতরের ব্যাপারীরা কবুতরকে শুধুমাত্র গম খাওয়াতে ছিল। কিন্তু কবুতরের সবথেকে ফেভারিট খাবার হচ্ছে ধান। আশা করি আজকের লেখা পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।