নাটক রিভিউ // ধনী গরিবের লড়াই (পর্ব-৩)
7 comments
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৯-১২-২০২৪)
নাটকটি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
নাটকের নাম | ধনী গরিবের লড়াই (পর্ব-৩) |
---|---|
পরিচালক | ঈগল টিম |
অভিনয় | ইফতেখার ইফতি, জান্নাতুল মাওয়া, মায়া মিম, লিপু মামা, সুমন রেজা, আরো অনেকেই, |
দৈর্ঘ্য | ২৩ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ০৫ জুলাই ২০২৪ ইং |
নাটকের সারসংক্ষেপ
ধনী গরীবের লড়াই নাটকের প্রথম পর্ব থেকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা শুরু করেছি। আমি চেষ্টা করব আপনাদের মাঝে প্রত্যেক সপ্তাহে ধারাবাহিকভাবে পর্বগুলো শেয়ার করার জন্য। আসলে পর্ব আকারে তৈরি করা নাটকগুলো দেখতে সত্যি বেশ ভালো লাগে যদি সিরিয়াল মেন্টেন করে নাটকগুলো দেখা যায়। আমি প্রত্যেক সপ্তাহে একটি করে সিরিয়াল মেন্টেন করে নাটক দেখে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করি। আজকে সকাল বেলায় যখন আমি নাটক দেখা শুরু করেছিলাম সত্যিই কি যে ভালো লেগেছিল বলে বোঝানো যাবে না। আসলে ভালোবাসার মানুষকে যদি অন্যজনের হাতে ধরিয়ে দেয় তাহলে বেশ কষ্ট হয়। প্রথমে ভালোবাসার মানুষ তার ঘরে তার বড় বোনের হাতে ধরা পড়েছিল বড় বোন তার বাপ এবং ভাইদের হাতে তুলে দিয়েছিল ছোট বোনের ভালোবাসাকে। অবশেষে নায়িকা অনেক আকুতি মিনতি করে তাকে না মারার জন্য কিন্তু নায়িকার ভাইরা ছিল হচ্ছে মোড়ল বাড়ির সদস্য। মোড়ল বাড়িতে কোন ক্ষমা নেই তার জন্য তাকে ধরে নিয়ে যায় মারার জন্য এবং সেই মেয়ে অনেক কান্না করতে থাকে অর্থাৎ নায়িকা।
নাটকের শুরুতেই নায়ক বেশ সাহসের পরিচয় দিয়েছিল সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল এই জায়গা নাটকটি দেখতে। আসলে নায়ক কে মারার জন্য ধরে নিয়ে যাচ্ছে কিন্তু নায়ক তাদেরকে কিছুই মনে করেছিল না। মোড়ল বাড়ির বড় ছেলে এবং বড় বউ দুজন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আলোচনা করছিল মোড়ল বাড়ির মেয়েও নাকি সেই ছেলেটার ভালোবাসা হাবুডুবু খাচ্ছে তাই সেই ছেলেটাকে বাঁচানোর জন্য অনেক জনের হাতে পায়ে ধরতেছে সেই মেয়েটি। এদিকে মোড়ল বাড়ির আরো দুটি ছেলে এবং নায়িকার বড় বোন সেই ছেলেটিকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে মোড়ল সাহেবের কাছে মারার জন্য। অবশেষে মডেল বাড়ির বড় ছেলে আসে সেখানে যোগ দেয় সেখানেই নায়ককে বেশ কয়েকটা মার মেরেছিল মোড়ল বাড়ির ছেলেরা। নায়ক সেখানে দাঁড়িয়ে শুধু মার খাচ্ছিল কিন্তু তাদের কোন জবাব দিচ্ছিল না। এদিকে গরিব রিক্সাওয়ালা তার ছেলের জন্য পাগল হয়ে যায় সোহাগের বাবা-মা এবং বোনসহ গ্রামের সকল জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছিল কিন্তু কোথাও খুঁজে পায়না। অবশেষে নায়ক সোহাগের বাবা তার স্ত্রী এবং মেয়েকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় এবং তিনি মোড়ল বাড়িতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে এখানে বেশ দারুন লেগেছিল।
অবশেষে নায়ক কে মোড়ল বাড়ির সকল ছেলেরা ধরে নিয়ে চলে এসেছিল মোড়ল সাহেবের কাছে আম বাগানের মধ্যে। সেখানে মোড়ল সাহেব সহ আরো বাড়ির অনেক সদস্য ছিল। সকল ছেলেরা বলেছিল সবাই মিলে নায়ক কে মারবে কিন্তু লাঠিয়াল তখন বলে ওই ছেলেটি আমাকে মেরেছে শুধু আমি ওই ছেলেটিকে মারবো। লাঠিয়াল পড়ে তার লাঠি দিয়ে নায়কের মাথায় আঘাত করার কারণে নায়ক সেখানে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। লাঠিয়াল তখন বলে লাঠিয়ালের একটা আঘাত যার গায়ে পড়েছে সে কখনো জীবিত থাকতে পারে না তাই মারা গেছে। তারপরে নায়কের দুই বন্ধুকে সেখানে মেরে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল এবং নায়ক কে বস্তার মধ্যে পরু নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সত্যি এই জায়গায় এই কথাগুলো শুনে আমার কাছে বেশ ভয় লাগছিল। কিন্তু এইদিকে নায়িকা বেশ কিছুদিন খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে এবং তার মাকে জিজ্ঞেস করে সেই ছেলেটিকে কোথায় এখন কিভাবে আছে তাকে মারেনি তো। তবে মোড়ল বাড়ির সকল মেয়েরা সেই নায়কের সাহস দেখে অবাক হয়েছে। আমিও প্রথমে ছেলেটির সাহস দেখে বেশ অবাক হয়েছিলাম।
নায়কের বাবা তার ছেলেকে পাগলের মত খুঁজতে খুঁজতে মোড়ল বাড়িতে চলে এসেছিল। এসে মোড়ল সাহেবের সাথে দেখা মোড়ল সাহেবকে জিজ্ঞেস করে আমার ছেলেকে কোথায় রেখেছেন আমার কাছে দিয়ে দিন আমি বাড়িতে নিয়ে যাব। তখনই মোড়ল সাহেব বলে তোমার ছেলেকে মেরে নদীতে ফেলে দিয়েছি। তখনই সহজ সরল রিক্সাওয়ালা রেগে মোড়ল সাহেবদের বলে তোমাদের কলজা টেনে ছিড়ে ফেলব যদি আমার ছেলের কিছু হয়। মোড়ল সাহেব তখন বেশ ভয় পেয়ে যায়। নায়িকা এবং নায়িকার বড় বোন দুজন যখন রাতে একই রুমে ঘুমাতে যাবে তখন নায়িকের বড় বোনকে বলে তুমি আমার বোন না তোমাকে বোন বলে পরিচয় দিতে আমার ঘৃণা হচ্ছে। কারণ তুমি আমার ভালবাসাকে ধরিয়ে দিয়েছো এভাবেই তাদের মধ্যে বেশ তর্কবিতর্ক সৃষ্টি হয়। এদিকে নায়ক কে বস্তার মধ্যে পরু নদীতে ফেলে দিয়েছিল ফেলে দেওয়ার পরে যখন লাঠিয়াল চলে গিয়েছিল তখন নায়কের বন্ধুরা আবার নায়ককে নদী থেকে তুলে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল সত্যিই এই জায়গায় বন্ধুত্বের পরিচয় আমাকে বেশ পাগল করে তুলেছিল। বিপদে যে পাশে থাকি সেই হচ্ছে প্রকৃত বন্ধু আমি আবারও একবার প্রমাণ পেয়েছি এই নাটকের মাধ্যমে।
নায়কের বাবা-মা যখন রাতে বাড়িতে বসে তাদের ছেলের জন্য টেনশন করতেছিল তখনই নায়কের দুই বন্ধু এসে তার বাবা আমাকে খবর দেয় আন্টি আপনাদের ছেলের কিছু হয়নি আমরা উদ্ধার করে আমাদের বাড়িতে রেখেছি। তখন নায়কের বাবা-মা এবং বোন নায়ক কে দেখার জন্য তাদের সাথে রাতে রওনা দিয়েছিল তাদের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে দেখে নায়ক এর মাথায় ব্যান্ডেজ করা এবং নায়ক খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছে। সেখানে নায়কের মা নায়ককে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ে। তখন নায়কের বাবা বলে ওই মোড়ল বাড়ির মেয়েকে আমি বৌমা হিসেবে বাড়িতে নিয়ে আসব তুই পারবি তো বাবা। নায়ক তখন বলে তুমি শুধু আমার সাথে থাকবে আর দোয়া করবে অবশ্যই আমি পারবো। এদিকে নায়িকা বেশ কিছুদিন ধরে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে তাই মোড়ল সাহেবের কাছে বিচার দিয়েছে মোড়ল বাড়ির কিছু সদস্য। অবশেষে নায়িকা গলায় দড়ি দিয়ে নিজের জীবন শেষ করে দিতে চেয়েছিল এখানেই নাটকটি শেষ হয়ে যায় আশা করি পরবর্তী পর্বে আবারো আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
ব্যক্তিগত মতামত
ধনী গরিবের লড়াই (পর্ব-৩) আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে এসেছি। আসলে নাটকটি যখন সকালবেলায় আমি দেখেছিলাম প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখতে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আসলে একজন প্রেমিক আর একজন প্রেমিকের জন্য জীবন বিলিয়ে দিতে পারে এই নাটক না দেখলে হয়তো কেউ বুঝতে পারবে না। নায়িকা যখন জানতে পারে তার ভালোবাসার মানুষকে মেরে ফেলেছে তখন তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আমিও এই পৃথিবীতে আর থাকবো না আমিও তার কাছে চলে যাব। কিন্তু নায়ক জীবিত ছিল এই কথা জানত না আশা করি পরবর্তী পর্বে আরো ভালো কিছু চমক অপেক্ষা করছে সকলের জন্য। ধৈর্য ধরে সকলে অপেক্ষা করুন।
ব্যক্তিগত রেটিং
এই নাটকটিতে আমি আমার ব্যক্তিগত রেটিং পয়েন্ট দিতে চাই ১০/৯.০০
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Comments