আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি
@kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের ৪০ তম পর্ব। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আসলে গত কয়েকদিন ধরে শারীরিকভাবে একটু অসুস্থতার মধ্যেই রয়েছি। আসলে শারীরিকভাবে যদি অসুস্থ থাকা যায় কিছুই ভালো লাগেনা। তবে সারাদিন রুমের মধ্যেই থাকে চেষ্টা করছি অল্প কিছু সময় আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য। ঘুম থেকে উঠে হালকায় হাতমুখ ধুয়ে নাস্তা খাওয়ার পরে প্রথমে অনলাইনে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু ডাক্তার আমাকে বলে আপনাকে না দেখে ট্রিটমেন্ট দেওয়া সম্ভব না। তাই আমরা গতকালকে রাজশাহী যাব বলে বাড়ি থেকে ডিসিশন নিয়েছি। তারপরে একটু টেনশনের মধ্যে পড়ে গেছি। এর মাঝেও চলে আসলাম একটু মন মাইন্ড ফ্রি করার জন্য আপনাদের মাঝে সময় অতিবাহিত করার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক............
আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি চমৎকারভাবে দুইটি ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করে শেয়ার করেছি। ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর পৌঁছানোর পরে আমরা যেখানে বাস থেকে নেমেছিলাম সেখানে আমি বেশ কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলাম এবং দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম হোটেলে সকল বন্ধুবান্ধব এবং স্যার ম্যাডাম একসাথে মিলে। সত্যি সকলের সাথে হোটেলে খাওয়ার অনুভূতিটা বেশ দারুন ছিল। তারপরে আমরা নদীর পাড়ে গিয়ে নৌকা নিয়ে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর পিকনিক স্পটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আসলে প্রায় অনেক সময় নদী পথ পাড়ি দিতে হয়েছিল আমাদের। যখন আমরা নৌকার মধ্যে নদী পথ পাড়ি দিয়েছিলাম তখন বেশ কিছু ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরাবন্দি করে রেখে দিয়েছিলাম। পানির স্রোতে নৌকা এদিক ওদিক হেলে বেড়াচ্ছিল তখন বেশ ভয় লাগছিল আমার। এর মাঝেও নৌকার মাথায় গিয়ে বসে বেশ দারুন ভাবে কিছু ছবি তুলেছিলাম সেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। চেষ্টা করব পর্যায়ক্রমে আপনাদের মাঝে সব ছবিগুলো শেয়ার করার জন্য।
প্রথমে আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি চমৎকার ভাবে আপনাদের মাঝে দুটি ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দী করে শেয়ার করেছি। এই দুটি ছবি আমি আমার মোবাইলে সংগ্রহ করেছিলাম সিলেট ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর থেকে। আমরা যখন গোসল করতে নেমেছিলাম পানির মধ্যে তার আগেই ডিএসএলআর ক্যামেরা ভাড়া করে নিয়েছিলাম। আমাদের গোসল করার মুহূর্তের ছবিগুলো খুবই সুন্দর ভাবে ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে ক্যামেরা বন্দী করা হয়েছিল। সেখানে উপর থেকে যখন স্রোত নদীর মধ্যে এসে নাম ছিল তখন সত্যিই সেই স্রোতের সামনে গিয়ে দাঁড়াতে বেশ ভালো লেগেছিল। তবে সেখানকার পানিটা ছিল এতটাই পরিষ্কার দেখে আমি বেশ মুগ্ধ হয়েছিলাম। সেখানে গোসল করার জন্য আমাদের কোন শ্যাম্পু প্রয়োজন হয়েছিল না মাথার চুল এমনিতেই ফুরফুর করে সব উড়ে বেড়াচ্ছিল। ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরের বন্ধুরা সকলে একসাথে গোসল করেছিলাম এবং দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলাম।
আপনারা এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি চমৎকারভাবে আপনাদের মাঝে দুইটি ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দী করে তুলে ধরেছি। উপরে যে ছবি দুইটা আপনারা দেখতে পারছেন সিলেট লালাখাল থেকে এই ছবি দুইটা তোলা হয়েছিল। বাংলাদেশের সব থেকে ঘন বৃষ্টিপাত এলাকা হচ্ছে সিলেট লালাখাল। এখানে প্রায় প্রত্যেকদিন প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। সেখানে আমরা নৌকায় খালের মধ্যে দিয়ে লালাখাল গিয়ে পৌঁছেছিলাম। সেখানে যাওয়ার পর আমরা বন জঙ্গল দেখে সত্যি বেশ মুগ্ধ হয়েছিলাম। বেশ দারুন সময় বন্ধুদের সাথে বেশ আনন্দে উদযাপনে কাটিয়েছিলাম সেখানে। তবে কলেজ লাইফে আমার সব থেকে কাছের বন্ধু ছিল পারভেজ। তাকে সাথে নিয়ে সারা সিলেট শহর ঘুরে দেখেছিলাম রাতের বেলায় আমরা সকলে মিলে। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।