আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
তুলনামূলক এই সপ্তাহে একটু বেশিই ব্যস্ত বলা চলে সপ্তাহের সাত দিনের চার দিনেই কুষ্টিয়াতে কাজের উদ্দেশ্যে সকালবেলা বেরিয়ে পড়তে হতো। তাই কমিউনিটিতে সপ্তাহে তুলনামূলক খুব একটা সময় দিতে পারিনি। এসপি অফিস থেকে একটা ডকুমেন্টস তুলে সেটা কুরিয়ার করে ঢাকায় পাঠানোর কথা ছিল মূলত আগে এসপি অফিস থেকে কোন ডকুমেন্ট তুলতে গেলে কমবেশি কিছু টাকা লাগতো কিন্তু এখন পুরো প্রসেসটা কমপ্লিট হতে বাড়তি কোন টাকা লাগে না। স্বাভাবিকভাবে অনলাইনে যে কাজগুলো আছে সেগুলো নিজে নিজেই করি। গত নভেম্বর মাসের ২৪ তারিখে একটা আবেদন করেছিলাম সেটা কনফার্ম করার জন্য আমাদের নিজস্ব থানায় একটা ভেরিফিকেশন এসেছিল। এর আগের আবেদনে ভেরিফিকেশনে টাকা দিতে হয়েছিল তবে এবারে ভেরিফিকেশনও কোন টাকা দিতে হয়নি অর্থাৎ শুধু সরকারের বাধ্যতামূলক যে পেমেন্ট ছিল সেটা ছাড়া বাকি কোন টাকা লাগেনি। পুরো প্রসেসটা যখন কমপ্লিট হল তখন মনে হচ্ছিল না আসলেই দেশটা হয়তোবা কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। এই সামান্য ডকুমেন্ট তুলতে ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা খরচ হতো আর এবার সেটা সরকারি ৫০০ টাকা ফ্রি দিয়েই হাতে পেয়ে গেলাম অর্থাৎ ২ হাজার টাকা সাশ্রয় হলো।
যেহেতু আমি নিজে নিজে অনলাইন থেকে আবেদন করেছিলাম সেহেতু আমার আবেদন টা কোন পর্যায়ে আছে সেটা দু একদিন পরপর অনলাইনে ঢুকে চেক করতাম। আবেদনের ১৫ দিনের মধ্যেই পুরো প্রসেসটা কমপ্লিট অর্থাৎ এসপি অফিসে সেই সার্টিফিকেটটি চলে এসেছিল। অনলাইনে সার্টিফিকেট ডেলিভারি হওয়া দেখে এই সপ্তাহের রবিবারে আমি এসপি অফিসে গিয়েছিলাম। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে যে প্রসেস গুলো আছে সেই প্রশ্নের গুলো কমপ্লিট করে কিছু ডকুমেন্টস জমা দিয়ে একটা রেজিস্টার বইয়ে নিজের স্বাক্ষর প্রদান করে আমি আমার ডকুমেন্ট তুলে নিলাম। দেখলাম আমার মত আরও অনেকেই সেখানে এই সার্টিফিকেট তুলতে গিয়েছে তবে লোকজনের ভিড় থাকার কারণে তুলনামূলক একটু বাড়তি সময় লেগেছিল। অবৈধ কোন কাজের সুযোগ নেই এই বিষয়টা অনেক বেশি ভালো লাগলো। হঠাৎ আগের তুলনায় অফিস পর্যায়ে ঘুষ আদান-প্রদানের বিষয়টা প্রায় বিলীন হয়ে গিয়েছে। অন্যান্য সরকারি অফিসে কেমন কি চলছে সেটা জানিনা তবে আমাদের কুষ্টিয়া এসপি অফিসে এই বিষয়টা লক্ষ্য করলাম।
সেখান থেকে সার্টিফিকেট কালেক্ট করে সোজা চলে গেলাম আমাদের কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তা মোড়ে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের অফিসে। আমার এই ডকুমেন্ট ঢাকা মগবাজার পাঠাতে হবে সেহেতু সহজ মাধ্যম হচ্ছে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস স্বাভাবিকভাবে সুন্দরবন বাংলাদেশের মধ্যে বড় একটা প্রতিষ্ঠান। জিজ্ঞেস করলাম আমি একটা ডকুমেন্ট কুরিয়ার করব তখন তিনি আমাকে পাশের ডেকসের এক আপুর কাছে যেতে বলল। আপুটা অনেক সিনিয়র হবে। শুরুতে কিছুই বিস্তারিত বলার পরে তিনি আমাকে বললেন ১৩০ টাকা খরচ পড়বে। তবে তার কথাবার্তার ধরনটা ভিন্ন রকম ছিল মনে হচ্ছিল বাসা থেকে তার বরের সাথে ঝগড়া করে আসছে আরে সেই রাগ আমার উপরে দেখাচ্ছে হা হা হা। যাই হোক আমার যেহেতু একটু তাড়াতাড়ি ছিল তাই বাড়তি কথা না বলে আমি দ্রুত ১৩০ টাকা বের করে দিলাম তিনি আমার ডকুমেন্ট নিয়ে একটা কাগজের খামে ঢুকিয়ে রেখে দিলেন। সেই সাথে আমার নাম্বার এবং আমি যেখানে পাঠাবো সেখানকার ঠিকানা এবং নাম্বার নিয়ে নিলেন। আমাকে সেখান থেকে একটা রিসিভ ধরিয়ে দেওয়া হল আমি রিসিভ টা নিয়ে সোজা আবার পরবর্তী কাজের জন্য বেরিয়ে পড়লাম।
পরবর্তীতে আমি স্বপ্নের শোরুমে গেলাম। অল্প কিছু কেনাকাটা ছিল তবে মূল টার্গেট ছিল গিয়ে শীতের কম্ফটার দেখব দেখব। স্বপ্নে গিয়েছিলাম এজন্যই কারণ সেখানে একটু ডিসকাউন্ট ছিল তাই গিয়ে বড় সাইজের গোলা দেখলাম। মোটামুটি কোয়ালিটি ভালোই ছিল। সেখানে ডিসকাউন্ট চলছিল ২৭৫০ টাকার জিনিস মাত্র ২০৫০ টাকা। তবে কালারগুলো সিলেক্ট করতে একটু ঝামেলা হচ্ছিল মূলত কোন কালারটা নিব সেটা ডিসাইড করতে পারছিলাম না। পরবর্তীতে ভাবলাম আরো কিছু কেনাকাটা আছে সেগুলো সেরে নিই। নিজের ডায়েট করার জন্য কাজুবাদাম সহ বেশ কিছু আইটেমের বাদাম নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে এসে একটা কম্ফটার সিলেক্ট করলাম। উপরে অবশ্য তিনটার ছবি দেয়া আছে সর্বপ্রথম যেটা দেখতে পাচ্ছেন সেটা সিলেক্ট করে নিয়েছিলাম। এগুলোর সুবিধা হল ময়লা হওয়ার পরে আপনি আবার ধুয়ে নিতে পারবেন।
কেনাকাটা শেষ নিজের কাজগুলো কমপ্লিট হয়ে গিয়েছে সময় তখন তিনটা পার দিয়েছে। দুপুরের খাওয়া দাওয়া হয়নি তাই আর খুব বেশি দেরি না করে সবকিছু বাইকের পেছনে ঝুলিয়ে দিয়ে সোজা বাসায় ফিরে এলাম। এভাবেই প্রতিনিয়ত ব্যস্ততার মাধ্যমে দিন কেটে যায়। আজকের এই পোষ্টের মেইন বিষয় হচ্ছে আগে যেমন অফিসিয়াল কোন কাজে গেলে ঘুষ ছাড়া সেই কাজ কমপ্লিট হতো না এখন সেই ঝামেলার বিষয়টি বদলে গিয়েছে অর্থাৎ আপনি ঘুষ ছাড়াই আপনার কাজ কমপ্লিট করতে পারবেন।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | ডিসেম্বর,২০২৪ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |