আমরা অসহায়। || by @kazi-raihan

kazi-raihan -

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ - ১১ই শ্রাবণ | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | বর্ষা-কাল |


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



Canva দিয়ে তৈরি



আসলে মানুষ যখন সব দিক থেকেই দিশেহারা হয়ে যায় তখন নিজেকে অসহায় মনে করে তবে তাই বলে নিজেকে অসহায় মনে করে সবকিছু ছেড়ে বসে থাকলে চলবে না যে কোন পরিস্থিতিতে নিজেকে সচল রাখতে হবে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে সব সময় নিজেকে অটুট রাখতে হবে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিষয় সম্পর্কে সবাই অবগত আছেন। ছাত্র সমাজের ওপরে কি পরিসরে নির্যাতন চলছে সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢুকলেই দেখা যায়। একটি দেশের আইন ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের যতটুকু মূল্যায়ন করা উচিত বা একটি দেশের সরকারকে শিক্ষার্থীদের যতটুকু মূল্যায়ন করা উচিত তার বিন্দু পরিমাণ মূল্যায়ন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে না। মূল্যায়ন তো দূরের কথা শুধু শিক্ষার্থীদের উপরে কঠোর নির্যাতন চলছে। শিক্ষা প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের যদি রক্তাক্ত করা হয় শিক্ষার্থীদের ওপর যদি কঠোর নির্যাতন করা হয় তাহলে সে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে একটু চিন্তা করেছেন।

যেখানে একটি দেশের আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা দেশের প্রতিটা বিষয় সুখ ভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে সেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আইন লঙ্ঘন করে শিক্ষার্থীদের ওপর কঠোর নির্যাতন করছে শুধু তাই নয় শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি বর্ষন করছে। পাখিকে যেভাবে গুলি করে হত্যা করা হয় ঠিক সেভাবেই একজন শিক্ষার্থীকে রাস্তার উপরে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে তাহলে এই দেশের আইন ব্যবস্থা কে আপনি কি বলে আখ্যায়িত করবেন বলেন তো?? একজন ভার্সিটি স্টুডেন্ট যখন রাজপথে দাঁড়িয়ে বুক পেতে দেয় সে কখনোই আশা করেনা সেই দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তার উপর গুলি চালাবে। তবে তারপরেও এমন সাহসিকতার প্রাধান্য দিতে হয় সেই শহীদ ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ইচ্ছে করে আর ধিক্কার জানাতে ইচ্ছে করে সেই আইন ব্যবস্থা কে। ধিক্কার জানাই সেই আইন ব্যবস্থাকে যে আইন ব্যবস্থা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে।



সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই চোখে পড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর নির্যাতনের দৃশ্য ছেলে-মেয়ে উভয়কেই রক্তাক্ত করা হচ্ছে রাস্তার উপরে বেধর পেটানো হচ্ছে এটা কোন দেশের আইন ব্যবস্থা মেনে নেবে বলে আমার মনে হয় না। ছাত্র সমাজ কোটাবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে নেমেছে তাই বলে তারা রাষ্ট্রীয় কোন ক্ষতি সাধন করেনি বরং তারা সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছে। সরকারের কাছে কোন কিছু আবদার করলে তার বিনিময়ে জীবন দিতে হয় সেটা বাংলাদেশের আইন ব্যবস্থায় সম্ভব। আমি একজন স্টুডেন্ট আমি নিজেও চাইবো কোটার বিবেচনা না করে মেধার বিবেচনা করা হোক তাহলে দেশে দুর্নীতি কমবে দেশের উন্নতি হবে কিন্তু মেধার বিষয়টি খুব কম বিবেচনা করা হচ্ছে। মাঝে মাঝে মনে হয় আজকের এই দিনগুলো দেখার জন্যই কি ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছিল??



দিনশেষে আমরা সবাই অসহায় শুধু গোলাবারুদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হচ্ছে। একটা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উপরে যদি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গনে যদি সে দেশের প্রশাসন অস্ত্র নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামে সেক্ষেত্রে সেই দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কি অবস্থা হতে পারে একটু চিন্তা করে দেখুন। তবে আমার সবচেয়ে বেশি মেনে নিতে কষ্ট হয়েছে যে বিষয়টি সেটা হচ্ছে ছাত্রদের পাশাপাশি ছাত্রীদের ও প্রচন্ড আকারে নির্যাতন করা হয়েছে সবাইকে রক্তাক্ত করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিনিয়ত এই বিষয়গুলোই চোখের সামনে ভেসে আসছে। যখনই বিষয়গুলো দেখছি তখনই মনের কষ্ট আরো বেড়ে যাচ্ছে নিজেকে প্রতিনিয়ত অপরাধী মনে হচ্ছে আমাদের স্বাধীন দেশে এটা কেমন কর্মকাণ্ড। মাঝে মাঝে নিজের কাছেই প্রশ্ন করি আসলে আমরা কি স্বাধীন দেশে বসবাস করছি?? নিজের কাছে প্রশ্ন করলে অবশ্য উত্তরটা পাওয়া যায় আপনি নিজের কাছে প্রশ্ন করুন উত্তরটা পেয়ে যাবেন আশা করি।



যাইহোক আর খুব বেশি কিছু বলতে চাই না সব শেষে মন থেকে একটাই আশা যেন শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি অর্জন করে বাসায় ফিরতে পারে সেই সাথে এই বিষয়টার একটা স্থায়ী সমাধান হোক আর কোন শিক্ষার্থীর প্রাণ যেন প্রাণ দিতে না হয়। একজন শান্তিপ্রিয় মানুষ হিসেবে সব সময় চাইবো দেশের শান্তি বিরাজ করুক স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করুক অন্যায় অবিচার কারো ওপরে না হয়। শুধু কোটা নয় যেন মেধার প্রাধান্য দেয়া হয়। যারা মেধাবী তাদেরকে সুযোগ করে দেয়া হোক কোটার মাধ্যমে যেন মেধাবীদের অবহেলা না করা হয়। যদি ভুল কিছু বলি তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। কেননা আমি শুধু চাই দেশে শান্তি ফিরিয়ে আসুক সবাই স্বাভাবিক জীবন যাপন করুক। আর কোন মায়ের কোল যেন খায় না হয় কোন বোনের ভাই যেন বোনের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত না হয়।



🔚সমাপ্তি🔚


এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।